আজ আমার বিয়ে। না এটা কোন উপন্যাস নয়, সত্যিই আজ আমার বিয়ে।
ভোর রাতে আপনাদের ভাবী আমাকে এসএমএস করে জানিয়েছে আজ আমার বিয়ে। তারপর আমিও তাকে জানিয়েছি যে আজ তোমার বিয়ে।
তারপর কল দিলাম, কথা বললাম কারণ আজ তার বিয়ে। কথায় কথায় সে আমাকে জানিয়েছে "সে আমাকে খুব ভালোবাসে; সারা জীবন বাসবে। এখন কলেজে আছে, ম্যাডাম ক্লাশে আসছে তাই বেশি কথা বলার সময় নেই। ভালবাসি বলেই ফোন রেখে দিল।"
এই দিনে সত্যিই সত্যিই আমার বিয়ে হয়েছিলো। আজ ১৮ই সেপ্টেম্বর, সেদিনও ছিলো ১৮ই সেপ্টেম্বর। আসলে বিয়ের হওয়ার কথা ছিলো ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১০ দুপুরে "সারা'র" সাথে। কিন্তু সে কথা রাখেনি। ১৭ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার সময় জানায় তার পক্ষে আমাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমিও আর বেশি চাপাচাপি করি নাই তাকে। ৫ বছর প্রেম করে, অভিবাবকদের হাতে ধরা-টরা পড়ে যখন সবাই রাজি হয়ে বিয়ের দিনক্ণ ঠিক করে বিয়ে দিতে প্রস্তুত, তখন কনেই বিয়েতে রাজী না। আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা পার হলেই বিয়েটা হয়ে যেতো। দুজনেরই গায়ে হলুদ হয়ে গেছে। কনের বাড়িতে রান্না-বান্না হচ্ছে। সকালে কনের বাবা, আন্টি, কাকার সাথে কথা হয়েছে। তারপরও যদি এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেউ তাকে ফেরানোর প্রশ্নই উঠে না। এমন তো না যে তাকে আমার সাথে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে। আমার সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে তার মায়ের হাতের অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মার খেতে হয়েছে, মোবাইল হারাতে হয়েছে। আমি মোবাইল কিনে দিয়েছি, নাকফুল কিনে দিয়েছি। কত দিন রুম ডেটিং হয়েছে; আরও কত কি?
সারা'র বাবাটা ভালো ছিলো অনেক; আমাকে পছন্দ করতো ভীষন!!! আমাকে দেখতে এসেছিলো। মেয়ে বিয়ে দেয়ার আগে ছেলেকে দেখতে আসা আরকি। ফিরে গিয়ে বাসায় গল্প করেছিলো সারার মায়ের সাথে যে তোমার মেয়েকে এই ছেলের কাছে বিয়ে দিলে তোমার নাতি-নাতনী যা হবে না, দেখবে একেবারে ইউরোপিয়ানদের মতো। আমার মেয়েও ভালো, ছেলেও ভালো। সারা এই কথা শুনেই আনন্দে উদ্বেলিত সুরে আমাকে জানিয়েছিলো।
আজ আমার বিয়ের ৩ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। বিয়েটা ভাঙ্গার পরের দিন সারা'র সাথে জিদ করে বিয়ে করি প্রত্যন্ত গ্রামের ক্লাশ টেন পড়ুয়া পঞ্চদশী এক মেয়েকে। বিয়ের সময় সে শুধুই মেয়ে ছিলো। এখন সে একাধারে মেয়ে, কলেজের ছাত্রী, আমার বউ, আমার প্রেমিকা, আমার বাবার আদরের ছোট মেয়ে, বড় আপার বিয়াইন আর বড় দুলাভাইয়ের ছোট বোন। প্রতিবেশিরাও তাকে বেশ পছন্দ করে। সবই সম্ভব হয়েছে তার ধীর, সংযত আচরন আর অন্যর কথার মুখে কথা না বলায়। তবে আমি তাকে কখনোই তার কাজের প্রশংসা করি না। খুব জোরাজুরি করে কোন কোন দিন বাধ্য করে তার প্রশংসা করতে বা ভালোবাসি বলতে। আজকে তাকে বলেছি ভালোবাসি। সংসারের কর্তী এখনও হতে দিই নি। তাহলে আর পড়াশোনাটা হবে না। আমি চাই সে মাস্টার্স পর্যন্ত যাবে। যদিও আমি প্রবাসে থাকি, বউ থাকে আমার বাবা মায়ের সাথে। কিন্তু সবাইকে এক বাক্যে বলে দিয়েছি আমি ওকে পড়াশোনা করাব।
এই ৩ বছরে বউ আমাকে বা আমি বউকে কাছে পেয়েছি ৪ মাস ১৩ দিন। কি আর করা, প্রকৃতি সবাইকে একসাথে সবকিছু দেয় না। আমার পুতুল বউটার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
বউ তোরে খুউব ভালো-বাসি। কিন্তু তোর সামনে আমি মুখে বলি না। তুই বুঝে নিস। ভালোবাসাটা মুখে প্রকাশ করাটা হয়ে যায় বাসি। কিন্তু অন্তরে পুষে রাখলে সেটা থাকে সর্বদাই তাজা, সজীব।
আলোচিত ব্লগ
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।