somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ লিখবো ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে। কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন। পর্ব - ০১।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা যে কি তা সুধী সমাজকে বলে বোঝাতে হবে না। গাড়ি বা বাইক চালানোর পূর্বশর্তই হলো একটি ভ্যালিড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স শুধু একটি লাইসেন্সই নয়, একটি পরিচয়পত্রও বটে। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা এখন স্মার্টনেসেরও অংশ। সঠিকভাবে চর্চা করে গাড়ি বা বাইকের লাইসেন্স অর্জন করলে সেই চালকের দূর্ঘটনায় পড়ার হার বহুলাংশে কমে যায়। তা না হলে আমরা পত্রিকা খুলে পড়তেই থাকবো "বিভিন্ন জেলায় আজ সড়ক দূর্ঘটনায় .... জনের প্রানহানি"। আর ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব শুধু "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলন করেই যাবেন। সচেতন মানুষ মাত্রই আশা করে থাকেন যে নিজের একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকুক। কিন্তু বিআরটিএ এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার/কর্মচারীর কারণে সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পোহাতে হয় দূর্ভোগ, হতে হয় হয়রান অথবা দিতে হয় অতিরিক্ত কিছু টাকা ঘুষ।
যারা এই পোষ্ট পড়বেন, তাদের অনেকেই হয়তো লাইসেন্সধারী। অনেকেই আশা করছেন লাইসেন্স করবেন। যারা লাইসেন্স করতে যাবেন বা করবেন, তাদের জন্যই এই পোষ্ট। সঠিক নিয়ম মেনে, ড্রাইভিং চর্চা করে লাইসেন্স পাবার চেষ্টা করুন। স্পিড মানি দেয়া বন্ধ করতে সচেষ্ট হউন। নিজে বাচুঁন, অন্যকে বাচঁতে দিন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মঃ-
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে আপনাকে শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হবে। শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম http://www.brta.gov.bd থেকে ডাউনলোড করে নিন অথবা লাইসেন্সিং অথরিটি (সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ) থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। তারপর ওই ফরম যথাযথভাবে পুরণ করে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সহ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সিং অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ-
১. বয়সের প্রমানপত্র: স্কুল সার্টিফিকেট / পাসপোর্ট / জন্মনিবন্ধন সনদ / জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি (যে কোন একটি)। পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ২০ বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
২. জাতীয়তার প্রমানপত্র: জাতীয় পরিচয় পত্র / পাসপোর্ট/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। এক্ষেত্রে ১নং এ যা দিয়েছেন, ২নং এ সেটি না দেয়াই ভালো।
৩. ঠিকানার যাচাইপত্র: আবারও জাতীয় পরিচয়পত্র/ পাসপোর্ট/ পানি/ গ্যাস/ বিদ্যুৎ বিলের সত্যায়িত কপি। (আমার মতে, একটি জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট এর কপিই উপরোক্ত ৩টি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানেই একজনের প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকে। তারপরও যাদের এসব নেই, তাদের জন্য বাকি অপশনগুলো।)
৪. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক আবেদনকারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ নির্ধারিত ফরমে মেডিক্যাল সাটিফিকেট জমা দিতে হবে। এই ফরম http://www.brta.gov.bd এই সাইট থেকে বা বিআরটিএ এর অফিসে পাওয়া যাবে।
৫. ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৬. নির্ধারিত ফি: পেশাদার - ৩৪৫/= টাকা, অপেশাদার - ৫১৮/= টাকা বিআরটিএ'র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ (ব্যাংক এর তালিকা http://www.brta.gov.bd এখানে পাওয়া যাবে। )

আবেদনপত্র, ফি জমা রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাইসেন্সিং অথরিটিতে জমা দেয়ার পর প্রার্থীকে বিআরটিএ'র সংশ্লিষ্ট অফিস হতে তিন মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে। এই লাইসেন্সে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার স্থান, সময় ও তারিখ উল্লেখ থাকে। ভাইয়েরা- আপারা প্র্যাকটিস কইরেন, প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নাই। টাকা দিয়া হয়তো (সু+অল্প =) স্বল্প সময়ে, কম হয়রানিতে লাইসেন্স বের করতে পারবেন কিন্তু দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না। দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে প্রশিক্ষিত ড্রাইভার, সঠিক নিয়ম-কানুন ও তার প্রয়োগ, নিজের ও অন্যের জীবনের মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ।

আগামী পর্বে লিখবো স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন।
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×