হয়ত এই তপ্ত রোদে কংক্রিট বনে আমি ফিরে আসব,
দেখব তোমার কোলাহল মাখা প্রতিটি বিকেল।
ক্যাফেতে বসে রাতের নিয়ন আলোতে ছুয়ে দিব,
তোমার হাসির অফুরন্ত ফোয়ারা!
তখন তোমার জমকেলে চাঁদের আলোর
পাশে হব কিছু খসে পড়া জোছনা,
জোড়া পেয়ালার টঙ্কারে উথলে ওঠা মদের মত,
দেখাব তোমায়, আমার প্রাচীন তৃষ্ণা দিঘি।
সেদিন পারলে তুলে নিও, দু একফোঁটা জল।
শতশতাব্দী প্রাচীন হলেও তার লবানাক্ততা কমেনি।
বরং বেড়েছে আমার চোখের জলে,
তাই স্বাদ নিতে যেওনা যেন!
তারথেকে বরং চেয়ে থেকো আমার দীঘির দিকে।
দেখবে সবুজ জলে ভেসে উঠেছে,
মেঠো পথ, রুপকথা, দারুচিনি দ্বীপের গল্প,
আর কিছু অদ্ভুত ভাঙ্গা স্মৃতির সুটকেস।
দীঘির বুদবুদে ভেসে ওঠা ছেঁড়া
ডায়েরীটা কেঁদে নালিশ জানালে,
ভুলেও তখন আমার চোখের দিকে তাকিও না।
ওতে তোমার আততায়ী ভালবাসা এখনো যে ভাসমান।
সেদিন পারলে তুলে নিও তোমার কাঙ্ক্ষিত প্রতিশোধ,
দুটি অপমানে অভিমানে।
তবুও পুরনো সুরে যেন বলে যেও না,
কবি আমাকে মাফ করে দিও!
নইলে প্রাচীন ঝড়ে দীঘির জল উথলে পড়বে,
তোমার কফির টেবিলে,
সশব্দে ভেঙ্গে পড়বে কিছু কাঁচের গ্লাস,
অথবা তোমার কাঁচের চুড়ি!!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২১