অনেক তো হল বোঝাবুঝি,
অহ নিশি ভোর সুখ খোঁজাখুঁজি-
দিগন্ত সূর্য মিশে,
খেরো খাতার হিসেব শেষে,
একঘেয়ে কবিতার প্রত্যাবর্তন,
মিছেমিছি কানামাছি,
হইহই হট্টগোল, বিরান জীবন।
এভাবেই বয়ে যত দিনরাত ক্ষণ,
উত্তাপ মুছে গিয়ে ক্লান্ত বদন,
একাকি অন্ধ ঘোর-
তবুও দেখেছি লাল দিগন্ত, রক্তজবা ভোর-
দেখেছি সুর্য, নাগরীর বাহুডোর।
ফুলশয্যা সেতো
কবিতার পাতায় এঁকেছিল কবি,
তুলতুলে পেলব মায়াবী,
লাল নীল জলরঙ ছবি।
জানি মিথ্যে নয় সবি-
ছুঁয়ে দেখি, শ্বাস নেই,
বুকের গহীনে জ্বালি ধিকিধিকি রবি।
তবুও বদ্ধ দেওয়ালে আঁকা মেকি সুখ যত,
শুকিয়ে ঝরে যায় ঝরাপাতা মত,
আনমনে রংতুলির কেটে যাওয়া দাগ,
আমাকে বলেছিল, শহর সে আমারি থাক।
আসল রঙের ঢং দেখবে যদি,
ঘুরে যাও সাগর চর বহতা নদী।
নগর জীবনে যত ফেরারীর গান,
সব ভুলে মেখে নাও সমুদ্রচারী স্নান।
কথা শুনে ভাবি-
জলছবি আঁকি,
প্রবালদ্বীপের তলে সমুদ্র অমরায়,
নোনা জলে ফিন ফিনে ফেনিল ধারায়,
চিকচিক করে ওঠা অভ্র নীল ঢেউ,
দেখেছে অনেকে আগে, আঁকেনি তো কেউ।
নিপাট ভদ্রবেশী ঝিনুকের খোলসে-
আহা! কি শ্লথ মাংসাশী সৌন্দর্য ঝলসে!
ইরাবতীর নরম পেলবতর কাঁধে
সমুদ্রের সুতীক্ষ্ণ চুম্বন ভর দুপুর সাঁঝে,
উড়ন্ত গাঙচিল ডানায় রোদেলা গন্ধ,
ঝিরিঝিরি হাওয়ায় মরি প্রানে একি ছন্দ!
সুখের ফুটন্ত জলদ, ছুঁয়ে দেখি ক্ষণ,
আহ! কি হিমেল পরশ, মুদি ক্লান্ত দু-নয়ন!
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২