বাংলা মুভি রিভিউ : রিকশাওয়ালার প্রেম
ঘটনাক্রমে কেটির বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা কেরামত জেনে গেলো। সে তার বন্ধুদের পরামর্শে সফদর সাহেবের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেল। কিন্তু সফদর সাহেব কেরামতকে দেখেই ক্ষেপে গেলেন এবং বললেন কেটিকে বিয়ে করার কোন যোগ্যতাই তার নেই। সফদর সাহেব কেরামত কে বললেন তারা ধনী আর কেরামত গরীব। ধনী-গরীবের মধ্যে এইরকম সম্পর্ক অসম্ভব। কিন্তু কেরামত, সফদর সাহেবকে বিভিন্ন বাংলা সিনেমার রেফারেন্স দিয়ে বলল, “পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই”। অতপর সফদর সাহেব তাদের গ্যারেজ ভরা গাড়ির কথা বললে কেরামতও তার রিক্সার গ্যারেজের কথা বলে ও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রিক্সার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে। এরপর সফদর সাহেব কেরামতকে তাদের বিশাল সম্পত্তি ও জমি-জমার হিসাব শুনালে কেরামতও জানিয়ে দেয় মিরপুরে তাদের ২ বিঘা জমির কথা। কেরামত ওই জমিতে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি করার যে স্বপ্ন দেখে তাও সে কেটির বাবাকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় না। কেটির বাবা কোন মতেই কেরামত কে মেয়ের জামাই হিসেবে পছন্দ করতে পারে না। শেষে সফদর সাহেব কেরামতকে visionless ছেলে বললে কেরামত এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। নিজের একটা ওয়ার্কশপের যে স্বপ্ন সে বুকে ধারণ করে আছে তা সে সফদর সাহেবকে জানায়। ঢাকা শহরে নিজের একটা রিক্সার ওয়ার্কশপ থাকা যে কতটা সম্মানের এবং রিক্সার পিছনে ‘কেরামত মিস্ত্রি’ লেখা থাকা যে কি দারুন একটা ব্যাপার তা সে কেটির বাবাকে বুঝানোর সাধ্যমত চেস্টা করে। অবশেষে যুক্তি দিয়ে কেরামতকে পরাস্ত করতে না পেরে সফদর সাহেব তার দারোয়ান দিয়ে কেরামতকে বাড়ি থেকে অপমান করে বের করে দিলেন। সিনেমার এই পর্যায়ে আরো একটি দুঃখের গান(৩)।
এদিকে ওইদিনই ড্যানির মেয়ে দেখতে কেটিদের বাসায় যাওয়ার কথা। কিন্তু পথিমধ্যে কোন এক অজানা কারনে ড্যানির গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। বেচারা ড্যানির গাড়িহারা হওয়ায় রিক্সা ছাড়া কোন গতি রইল না। আশ্চর্যজনকভাবে ঠিক ওই সময় অপমানিত কেরামত মনের দুঃখে ‘বুকটা ফাইট্টা যায়’ গাইতে গাইতে রিক্সা নিয়ে পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তায় এত রিক্সা থাকতে ড্যানিও কেরামতের রিক্সায়ই উঠে বসল।
যাত্রাপথে আরেক কাহিনী। রাস্তা দিয়ে গার্মেন্টসকর্মী সখিনাকে হেটে যেতে দেখে আবারো শিষ দিল। কিন্তু এইবার শিষটা কেরামত দিল না, দিল লুইচ্চা ড্যানি। সখিনাকে কেরামত কেটির ব্যাকআপ হিসেবে দেখত। তাই সখিনার সাথে এরূপ ফাইজলামির সে প্রতিবাদ জানায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ড্যানি কেরামতের গায়ে হাত তোলে। কেরামত এতে চরম ক্ষেপে গিয়ে ড্যানিকে পিটিয়ে তুলোধুনো করে ও অবশেষে নায়কসুলভ সহানুভূতি দেখিয়ে তাকে হাসপাতালে পৌছে দেয়। বেচারা ড্যানির আর সেদিন মেয়ে দেখতে যাওয়া হল না।
দুইদিন পর ড্যানি সুস্থ হয়ে কেটির বাসায় গেল। সেদিন আবার কেটি কেরামতের সাথে পালানোর প্ল্যান করেছিল। প্ল্যান মোতাবেক কেটি তার পেন্সিল হিল স্যান্ডেল দিয়ে জানালার কাচ ভেঙ্গে বিছানার চাদর দিয়ে তৈরী দড়ি বেয়ে নিচে অপেক্ষমান কেরামতের কাছে আসল। এদিকে কেটির রূমে এসে কেটিকে না পেয়ে তার বাবা ড্যানিকে জানাল। ড্যানি কেটিকে খুজতে বাইরে এসে দেখল কেটি কেরামতের সাথে রিক্সা নিয়ে পালাচ্ছে। কেরামতকে চিনতে পেরে প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ড্যানি তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে ওদের তাড়া করে। কেরামত পালানোর অনেক চেষ্টা করলেও ফার্মগেটের জ্যামে পড়ে ধরা খেয়ে যায়। ড্যানির বেদম প্রহারে কেরামত জ্ঞান হারায় আর কেটিতে ড্যানি তার গোপন আস্তানায় নিয়ে যায়।
বাংলা মুভি রিভিউ : রিকশাওয়ালার প্রেম
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




