পরীক্ষা ছাড়াই ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই ভর্তি হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য ওই দুই পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ-৮ থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহউপাচার্য রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধাবীরা ভালো করেছে। কিন্তু তারা মেডিকেলে পড়ার উপযুক্ত কি না তা দেখার সুযোগ রইল না। তিনি বলেন, “পরীক্ষা না নিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তি করানো যথাযথ হবে কি না সে বিষয়ে আমার সংশয় আছে”।
নতুন সিদ্ধান্ত, সময়ই বলে দিবে সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল। এরপরও মেডিকেল পড়ুয়া একজন ছাত্র হিসেবে কিছু না বলে পারলামনা।
যেখানে আমাদের সরকারী মেডিক্যাল কলেজসমূহে আসন সংখ্যা ২৮শ এর মত, আর বেসরকারিতে চার হাজারের মত, কিন্ত আমাদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ (মোট জিপিএ ১০) পেয়েছে প্রায় বিশ হাজার ছাত্র; সেখানে জিপিএ ৮ পাওয়া ছাত্ররা আবেদন করা মানেই অবৈধ লেনদেন এর সুযোগ থাকা।
কিছু বিশ্লেষণঃ
১. কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে।
২. ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঝামেলা থেকে বাঁচা যাবে।
(এসব বাইরে বলা কথা, কিন্তু আসল কথা এরপর............)
৩. হাজার টাকার কোচিং বাণিজ্যের বদলে লাখ লাখ টাকার অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য শুরু হবে।
৪. সরকারদলীয় ছাত্রসংঠনের নেতাকর্মী, মন্ত্রী, এম.পি, দালালদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
৫. ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসগুলো হয়ে উঠবে সঙ্ঘাতমুখর।
সর্বোপরি, মেডিক্যাল ভর্তিতে মেধার চেয়ে অবৈধ টাকায় হয়ে উঠবে আসল মাপকাঠি।
আমি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সরকারী মেডিক্যাল এ ভর্তির সুযোগ পায়নি, বেসরকারিতে পড়তেছি। তবুও আমি বলব, মেডিক্যাল ভর্তিতে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির বিকল্প নেই। এখনি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা প্রয়োজন, নয়তো দুর্নীতির সাগরে আরেকটি শাখা নদী হিসেবে যুক্ত হবে এই মেডিক্যাল ভর্তি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



