সামুঃ
বাঁধ ভাঙার আওয়াজ শিরোনাম নিয়ে ব্লগিং এর মুক্ত মঞ্চ। যদিও প্রকৃত পক্ষে কতটা মুক্ত সেটা পরিষ্কার না। বিতর্কিত কিংবা অসচ্ছ মডারেসন । নির্বাচিত পাতার নামে প্রহসন। আসলে অনেক বিতর্কের সাথে ওনারা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িরে আছেন।
সাম্প্রতিকঃ
ধর্ষণ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সামু বিষণ উত্তপ্ত। যেহেতু সবারই অধিকার আছে তার মুক্ত চিন্তার অভিমত দেবার, যে-যার মত পোস্ট দিচ্ছে মন্তব্য ও করছে। কেউ কেউ মত দিচ্ছেন নাড়ির অসালিন পোশাক ধর্ষণের জন্য দায়ি।আবার কেউ এই কথার ঘোড় বিরধিতা করে বলছেন মেয়েরা যা খুসি পরবে তাতে পুরুষের কি ? কয়েকদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম ধর্ষণের জন্য দায়ি প্রকৃত ব্যপার গুলু কেঊ বলেকিনা। কিন্তু এতো ক্যচালের মাঝে আসল কারন হাড়িয়ে গেছে।
ধর্ষণের জন্য দায়ি কেঃ
পোস্ট স্টিকি করে, আর আন্দোলন করে এই সমস্যার একটা চুল ও নারানু সম্ভব না। কারন এই সমস্যা আমদের খুব গহীনে ডুকে গেছে। একবার কেউ কি ভেবে দেখেছেন আসল সমস্যাটা কোথায়। অনেক কারন বলা যাবে তার মধ্যে ৫ টা প্রধান কারন বলি। (আমার যুক্তির সাথে অনেকেরি দ্বিমত থাকতে পারে)
১) পর্ণ গ্রাফিঃ
এদেশে সবচে সহজ লভ্য একটা জিনিস। গুলিস্তান, ফার্ম গেট, মালিবাগ মোর, সাইন্স ল্যাবরেটরি সহ অনেক যায়গায় ফুতপাতেই কিনতে পাওয়া যায়। পুলিশের সাম্নেই বিক্রি হয় ।আর অলিতে গলিতে সিডির দোকানের কথা আর কি বলব? কোন একটা সেক্স স্কেন্ডাল ছরানুর আগেই দেশের সব মোবাইল ফোনের এসডি কার্ড -এ পৌঁছে যায় সেই বিডিও। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা মোবাইল সার্বেসিং এর দোকানে ২০/৩০ টাকার বিনিময়ে ২জিবি মেমরি ফুল করে নেওয়া যায়। এসব দোকান এর কম্পিউটার খুজলে দেখা যাবে লাখ লাখ পর্ণ ফোল্ডার। প্রশাসন এসব জানে কিন্তু ওদের কোন মাথাব্যথা নেই । কথার মাজে একটা কথা মনে পরল, ( পড়ালেখার খাতিরে আমি জাপানে ছিলাম অনেক দিন, যখন আমি জাপানে যাই আমার বয়স ছিল ১৯ বছর। তো মোবাইল এর দোকানে গেলাম একটা মোবাইল নিতে, কিন্তু ওরা সাফ বলে দিলো আপনাকে মোবাইল দেওয়া যাবেনা। আমিত টাস্কি। জিজ্ঞেস করলাম কেন?? ওরা বলল ২০ বছর হওয়ার আগে আমরা বাবা- মার পারমিশন ছারা কাউকে মোবাইল দেইনা , একটা ফ্রম দরিয়ে দিয়ে বলল নেন এটা দেশে পাঠান আর আপনার পেরেন্টস কে বলেন এই কাগজে সাইন করে পাঠাতে তবেই আপনি মোবাইল পাবেন। )আর আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত মোবাইল শিম এর নিবন্ধন করাটাই বাধ্যতা মুলক করা সম্ভব হয়নি। বাবা মা বয়স এর কথা মাথায় না রেখেই ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে। কোন রকমের নিয়ম নিতি নাই ।
( পারবেন এই পর্ণ ব্যবসা চির তরে বন্ধ করে দিতে)
২) চলচিত্র, মিডিয়া ইত্যাদিঃ
কয়টা ছবির নাম বলতে পারবেন যেটাতে ধর্ষণের সিন নাই?কিংবা দেখানো হয়নাই বিলেন নাইকাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গরম মশলায় ভরপুর গান। আর পোশাকের কথা নাই বললাম। কি সিখাচ্ছে এস সব চলচিত্র? মিডিয়া মানেই হয়ে গেছে মেয়েদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা। প্রতিনিয়ত বেরেই চলছে নোংরা এড। আর এড এর ডায়লগ শুনলে জিবে জল এসে যায়। (হরলিক্স মিসাও দুধের শক্তি বারাও) টাইপের অনেক কথাই আজকাল ইভ টিজারদের নতুন অস্র। একটা সময় ছিল নাটকে সর্বচ্চো নায়ক নায়িকার হাত ধরা, আর এখন নাটকে কি দেখায় কি সেখায় সেটা আপ্নারাই ভাল যানেন।
(পারবেন এসব পরিবর্তন করতে?)
৩) ভারতীয় আগ্রাসী কালচারঃ
হাহা এটা আসলেই আগ্রাসন। পুরুপুরি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের কালচারকে। মুন্নি আর শিলারা যা দেখায় , পোলাইন ধর্ষণের প্রতি আকৃষ্ট হওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক না।
(পারবেন ভারতীয় এই আগ্রাসী কালচার পরিহার করতে)
৪) প্রেম নামের ফাজলামিঃ
হাহা প্রেম নামের মহামারী চলছে এখন দেশে। রাস্তায় গাটে গ্রামে গঞ্জে সেকি প্রেম। হর হামেশা পারলে একজন আরেকজনের ভিতরে ডুইকা একজন হইয়া যায়। কি মজা। কিন্তু এসকল দৃশ্য যারা দেখছে তাদের মনে এর প্রভাব কি পরিমান পরে ।
( পারবেন ছেলে মেয়েদের এই বেলেল্লা পনা থামাতে???)
৫) অতিমাত্রায় আধুনিকতাঃ
আমার এক ফ্রেন্ড বলে যারা আওয়ামিলিগের সমর্থক তারা শেখ হাসিনার চে বেশী আওয়ামিলিগ(মাফচাই লিগ ভাই গন কথা প্রসংগে বলে ফেলেছি , কোন কিছু মনে কইরা ব্লিনাই)। আজকাল আমরা যুগেরচে বেশি আধুনিক হয়ে গেছি। ইংলিশ মুভি ছারা দেখিনা, পোলা মাইয়া বন্দুত্ব করি, ডিজে পার্টি, ৩১ স্ট নাইট, কত কি করা লাগে। হাহাহা এগুলু থেকে যে কিছু বড় রকমের খারাপ প্রভাব যুবক পোলাপাইনের উপ্রে পরে সেটা কারো মাথায় নাই।
(পারবেন আধুনিকতার নামে এই প্রহসন থামাতে)
*** এবার সার কথায় আসি, যারা মেয়েদের পোশাকের দোহাই দিছেন তাদের কে বলি, আমি নিজেও মনে করি এমন পোশাক মেয়েদের মোটেও পরা উচিৎ না যেটা দেখে পোলাপাইন চোখ দিয়াই ধর্ষণ কইরা ফালায় । আপুদের আর অনেক গুছিয়ে চলা উচিৎ , নিজেকে সাম্লে রাখা উচিৎ। কিন্তু ধর্ষণের সাথে পোশাকের কোন সম্পর্ক না থাকলেও কারন গুলির অন্তভুক্ত হতে পারে বইকি।
*** যারা বলেন যা খুশি তাই পরুক তাতে ছেলেদের কি?? ভাই ও আফা গন পুরুষরা তো পুরুষ , (মহিলা, হিজ্রা কিংবা মুর্তি না) যে আফার যা ইচ্ছা পরবে আর পুরুষরা ফেরেশতা হইয়া বইসা থাকবে। শালীনতা প্রয়োজন সবার জন্য, কারন শালীনতাই পারে এই ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে বাঁচাতে।
যানি আমরা আসলে বদল হওয়ার নই। আমাদের রুন্দ্রে রুন্দ্রে ডুকে গেছে অনাচার। তবু উপর তলার তিনারা চাইলে হয়তো অনেক কিছুই বদলে ফেলা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১