somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্ষবরনে বস্ত্রহরন : অতীত-বর্তমান ১৯৭৩ থেকে ২০১৫

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বর্ষবরনের অনুষ্টানে আবারো নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা এবারে প্রথম ঘটলো তা নয়। নববর্ষের সন্ধ্যায় যখন নারীদের বিবস্ত্র করা হয় তখন কিছুদূরে পুলিশ দাড়িয়ে ছিলো কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের এই নীরবতার কারন বোঝা খুব অস্পষ্ট নয়। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তারা পুলিশের চেয়েও ক্ষমতাশালী। কিন্তু বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম এই যুবকদের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেনি।টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ৩০-৩৫ জনের ওই যুবকের দল। তারা কারও কারও শাড়ি ধরেও টান দিয়েছিল। তখন পুলিশ কয়েক দফা লাঠিপেটা করলেও ভিড়ের মধ্যে ওই যুবকদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।

ঘটনা যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটছে তা নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনা ঘটেছে। যারা ঘটিয়েছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ও জানা গেছে। ক্ষমতার রাজনীতির ছায়ায় থাকার কারনে তারা এ ধরনের অপকর্মের দু:সাহস দেখাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০০০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইংরেজি নববর্ষের রাতে শাওন আকতার বাধান নামে এক নারীকে বিবস্ত্র করা হয়েছিলো। তখনও যে সোনার ছেলেরা এই অপকর্ম করেছিলো তারাও ক্ষমতার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। তখনও বর্তমান ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। পুলিশ ছিলো নীরব। এ নিয়ে মামলা হলেও আসামিরা সবাই মুক্তি পেয়েছিলো। কারন প্রবল চাপের কারনে বাধন নিজেই দেশ ছেড়ে চলে যান।
এরও আগে ১৯৭৩ সালে শহীদ মিনারে ছাত্রীদের হামলে পড়ার সাথে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে আছে। তাদের বর্তমান উত্তারাধিকারীরা সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রেখেছে। এই ছাত্রলীগ তৈরি করেছে ধর্ষনে সেঞ্চুরি করা মানিককে। সত্যিই সোনা আর মানিকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ছাত্রলীগ। এরাই এখন শ্লোগান দেয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বর্ষবরনে বস্ত্র হরন তার আরেকটি উদহারন মাত্র।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×