somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বহুল প্রতীক্ষিত: প্রচলিত তাবলীগ জামাত বনাম আমাদের ইসলাম (২য় পর্ব)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি আমাকে আবারো তাবলীগ জামাত সংক্রান্ত চলমান পোষ্টের ২য় পর্ব লেখার তৌফিক দান করেছেন।

আজ ব্লগে আমার অসংখ্য বিরোধী ব্যক্তিত্বকে পেয়েছি। বিশেষ করে কর্ণেল সামুরাই এর মতো গুণীজনকেও পেয়েছি। যাই হোক ইসলামের ব্যাপারে বিশেষ করে কোরআন ও সহীহ হাদিসের ব্যাপারে আমাদের ঐক্যমত এ আসা উচিত।

আমাদের আগে শিরক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আল্লাহ শিরক সম্পর্কে কোরআন বলেছেন-
=> আল্লাহ শিরক এর গুনাহ মাফ করেন না। (সূরা নিসা-৪:৪৮)
=> শিরক সম্বন্ধে মহানবী সাঃ কে বাদ দিয়ে ১৮ জন নবীর নাম উচ্চারণ করে বলেছেন, তারা যদি শিরক করতো আল্লাহর সাথে তাহলে তাদের আমলগুলো বরবাদ হয়ে যেতো। (সূরা আনআম-৮৮)

=> এবার নবী মোহাম্মদ সাঃ কেই বলা হইছে, (হে নবী) যদি তুমি আল্লাহর সাথে শিরক করো তোমার আমলও বাতিল এবং তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। নবীকেও ছাড় দেওয়া হয় নাই। (সূরা যুমার-৬৫)
=> সর্বশেষ যারা শিরক করে তাদের জন্য জান্নাত হারাম করে দেওয়া হইছে। (সূরা মায়িদাহ-৫:৭২)
============================================

জেনে নিলাম শিরক এর কুফল। নবী মোহাম্মদ সাঃ যদি শিরক করেন তাহলে উনার আমলই যদি বাতিল হয়ে যায় তবে আমাদের আমল কি টিকে থাকবে। আমরা যত বড় আমলদারই হই না কেন? যতবড় আলেমই হই না কেন? যদি শিরক করি সব আমল বাতিল

ফাজাযেলে আমল পড়লে অনেক আমল শিখা যায়। কিন্তু যদি শিরকও করি আমলও করি। তাহলে সেই আমলের কোন মূল্য নাই আল্লাহর নিকট। সত্য সঠিক অল্প আমলই এনাফ। কারণ আল্লাহর নিকট এখলাসপূর্ণ শিরকমুক্ত ইবাদাতও গ্রহণযোগ্য। (সূরা যুমার-৩)

=============================================
কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করবো আমরা?

আল্লাহ আমাদের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবীর উম্মত করেছেন এবং আমাদের জানিয়েছেন কি কি বিষয় তাবলীগ বা প্রচার করতে হবে।

সূরা মায়িদাহ-৫:৬৭> হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে।

এখানে যা অবতীর্ণ হয়েছে বলতে কোরআন ও সহীহ হাদিসকে বুঝানো হয়েছে পৃথিবীর সকল আলেমদের মতে।

এছাড়াও সূরা আরাফ-৩> অনুসরণ কর যা তোমার প্রতি নাজিল হইছে তোমার রবের পক্ষ থেকে। অনুসরণ করো না আউলিয়াদের (আলিম, বুজুর্গ, পন্ডিত ইত্যাদি)।

যদি নবী কোরআন বাদ দিয়ে অন্তর বা মনের বা খেয়ালখুশির অনুসরণ করতেন তাহলে কি হত?

সূরা রা'দ-১৩> এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি। যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান পৌঁছার পর, তবে আল্লাহর (আজাব) কবল থেকে আপনার না কোন সাহায্যকারী আছে এবং না কোন রক্ষাকারী।

হে মানুষ, চিন্তা করেন নবীকে কতবড় থ্রেট। যদি মনো বাসনা বা প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন তো আল্লাহর আজাব উনাকেও ঘিরে ধরবে।

=============================================

এবার আসি সেই বহুল প্রতিক্ষিত ফাযায়েলে আমল এ।

ডাউনলোড করুন ফাজায়েলে হজ্ব্
উপরের লিংকে রয়েছে ফাজায়েলে আমলের একাংশ ফাজায়েলে হজ্জ এর লিংক। যেকেউ ডাউন লোড করে দেখে নিতে পারেন।

নবী প্রেমের বিভিন্ন কাহিনী শিরোনামে একটি অধ্যায়। যেখানে আল্লাহ বলেছেন কোরআন ও সহীহ হাদিস তাবলীগ করতে সেখানে তাবলীগ করা হইতেছে নবী প্রেমের কাহিনী। দেখেন কোন শিরক আছে কি না?

কাহিনীসমূহ নিম্নরূপঃ

(১) শায়েখ আবুল খায়ের বলেন, একবার মদীনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচ দিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পেয়ে অবশেষে আমি হুজুর এবং শায়ইখানের কবরের মধ্যে সালাম পড়িয়া আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসুল।
আমি আজ রাতে আপনার মেহমান হবো।

এই কথা আরজ করে মিম্বর শরীফের নিকট গিয়ে আমি শুইয়া পড়লাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ এনেছেন। ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হজরত ওমর এবং সামনে হজরত আলী রাঃ। হযরত আলী রাঃ আমাকে ডেকে বলেন, এই দেখ, হুজুর সাঃ তাশরীফ এনেছেন। আমি উঠা মাত্রই
মহানবী সাঃ আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি অর্ধেক খেয়ে ফেলি।

তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল (রুটি অবশিষ্টাংশ)।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৬ পৃষ্ঠা।

সম্মানিত মুসলিম ভাইগণ!

=> আল্লাহকে ছেড়ে মৃতু্র পর নবীর মাজারে গিয়ে খাদ্যের প্রার্থনা করা স্পষ্ট শিরক নয় কি?
=> মৃতুর পর নবী কবরে থেকেও খাওয়াতে পারেন এ আক্বিদাহ পোষন করা শিরক নয় কি?
=> এই রকম শিরকী আকিদাহ কি মানুষকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়, নাকি জাহান্নামের দিকে?
অথচ মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেন,
ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর। (সূরা হুদ-৬)

এখান থেকেই সূফীদের শিরকি আক্বিদাহ
"""কেউ ফেরে না খালি হাতে, খাজা বাবার দরবার হতে"" টাইপের গান শুরু হইছে। নবীর রওজায় যদি গিয়ে রুটি পাওয়া যায়। তবে ওলী আউলিয়ার মাজারে কেন
চুইংগাম
পাওয়া যাবে না। এই কাহিনী নিশ্চিত নিশ্চিত ভাবে মানুষকে শিরক ও মাজার মুখি করার শিক্ষা দেয়।

=============================================

(২) বিখ্যাত সূফী (?) ও বুজুর্গ হজরত শায়খ আহমদ রেফয়ী (রঃ) ৫৫৫ হিজরী সনে হজ্জ সমাপন করিয়া নবীজির রওজা জিয়ারতের জন্য মদিনায় হাজির হন। সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার সামনে দাঁড়াইয়া নিম্নোক্ত দুটি বয়াত পড়েন।

"দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহকে হুজুর সাঃ এর খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম। সে (রুহ) আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত। আজ আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি। কাজেই হুজুর আপন হস্ত বাড়াইয়া দেন যেন আমির ঠোট উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করে।

বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে (??) কবর হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া আসে এবং হযরত রেফায়ী উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন।

বলা হয় যে, সে সময় মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোকের সমাগম ছিল। সকলেই বিদু্তের মতো হাত মোবারকের চমক দেখিতে পায়। তাহাদের মধ্যে মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল কাদের জিলানীও ছিলেন। সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ-২৫৮ পৃষ্ঠা ২৩তম নবী প্রেমের কাহিনী।

ওহে তাবলীগ প্রেমী আল্লাহর বান্দারা, চিন্তা কর। জ্ঞান খাটাও। আমার কথায় না, আল্লাহর কথায় যা সূরা যুমার এর ১৮ নং আয়াত এ। আজও মসজিদে নববীতে ৯০ হাজার লোক ধারণ করে না। আর ৯০ হাজার লোক যদি থেকেই থাকে তাহলে কিভাবে ৯০ হাজার মানুষ এট এ টাইম এই হাতের ঝলকানি দেখতে পায়?

=> এই ফালতু মার্কা কাহিনীই কি তোমরা বিশ্বাস কর?
=> এই সব জিনিসেরই কি তোমরা তাবলীগ করো?

নবীজি সাঃ কখনো আবু বকর(রাঃ) ওমর(রাঃ), ওসমান(রাঃ), আলী (রাঃ) এর জন্য হাত বাড়ালেন না। কখনো নবী পরবর্তী এত যুদ্ধ হাঙ্গামার সময় হাত বাড়ালেন না। আর কোন জায়গার কোন রেফায়ীর জন্য কবর থেকে হাত বাড়ান। এই সব গাজাখুরী কাহিনীই কি তোমাদের তাবলীগের বিষয়?

=>আর ৯০ হাজার মানুষের কথা বইলা মানুষের মাথায় এই কাহিনীটাকে সত্য হিসেবে স্থান দিতে চেষ্টা করা হইছে যে ৯০ হাজার লোক যেখানে হাত দেখতে সেটা ভূল হইতে পারে না।

=> এবং আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর নাম দিয়া কাহিনীটারে আরো পাকাপোক্ত করা হইছে।

=> আবার দেখেন রুহকে ইমেইলের মতো সেন্ড করে, প্রতিবারই নবীজি সাঃ কবর থেকে চুমা দেন।

এই সব কাহিনী একমাত্র সূফীদেরই হয়ে থাকে যেমন দেওয়ানবাগীর ১৯৯৮ সালের সম্মেলনে নাকি স্বয়ং আল্লাহ ও রাসূল সাঃ দেওয়ান শরীফে এসেছেন। নাউজুবিল্লাহ।

বুখারীর প্রথমে দিকের সহীহ হাদিস> যে নবীর নামে মিথ্যারোপ করে সে জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।

এই হাদিস অনুযায়ী যারা নবীর নামে মিথ্যারোপ করে, তাবলীগে গিয়ে গাজাখুরি মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী শুনে এসে প্রচার করে,

আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই তারা কি জাহান্নামে তাদের ঠিকানা বানিয়ে নিচ্ছে না?

=============================================



(৩) জনৈক বেদুঈন হুজুর (ছঃ) এর কবর শরীফের নিকট দাড়াইয়া আরজ করিল,

হে রব! তুমি গোলাম আজাদ করার হুকুম করেছো। ইনি (নবী সাঃ) তোমার মাহবুব, আমি তোমার গোলাম। আপন মাহবুবের কবরের উপর আমি গোলামকে (জাহান্নামের) আগুন হইতে আজাদ করিয়া দাও। গায়েব হইতে আওয়াজ আসিল, তুমি একা নিজের জন্য কেন আজাদী (ক্ষমা) চাহিলে? সমস্ত মানুষের জন্য কেন আজাদী চাহিলে না। আমি তোমাকে আগুন হইতে আজাদ করিয়া দিলাম।
(সূত্র: ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৪ পৃষ্টার ১ম কাহিনী)


সম্মানিত জ্ঞানী মুসলিম ভাইগণ, রাসুলের মৃতু্র পর তার মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করা মাজারপূজারীদের সাদৃশ্য নয় কি?

গায়েবী আওয়াজ শুনা তো নবুওয়াতের কাজ। ঐ বেদুঈন কি নবী ছিল যে গায়েবী আওয়াজ এলো " আমি তোমাদের আগুন থেকে আজাদ করিয়া দিলাম"।

ভাবতে অবাক লাগে শাইখুল হাদিসের মত একজন স্বনামধন্য আলিম এ জাতীয় ইসলাম বিরোধী আক্বিদাহ বিশ্বাস কিভাবে ছড়াতে চেয়েছেন তাবলীগী নিসাবের মাধ্যমে।

কোরআন থেকে আমরা জানতে পারি আল্লাহ শুধু মাত্র মুসা আঃ এর সাথে দুনিয়ায় জীবনে কথা বলতেন। এবং অন্য আয়াতে আছে মানুষের এমন কোন যোগ্যতা নাই যে সে আল্লাহর সাথে কথা বলবে। কিন্তু তাবলীগি নিসাব পড়লে বুঝা যায় আল্লাহ গায়েবীভাবে মানুষের সাথেও কথা বলেন।

আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি না আল্লাহ নবীর পরে আমাদের সাথে কথা বলবেন। এই আক্বিদাহ একমাত্র দেওয়ানবাগী, সুরেশ্বরী, চরমোনাই এর পীরগণ ও সূফীবাদিরাই রাখতে পারেন। কারণ তাদের হজ্জ করা লাগে না। কাবা এবং স্বয়ং আল্লাহ ও রাসুল তাদের বাসায় আসেন। নাউজুবিল্লাহ।

এই সব পীরপন্থী গ্রন্থ ও পীরদের ইসলাম আর নবী মোহাম্মদ সাঃ এর ইসলাম কখনোই এক নয়, কখনো ছিলও না।

=============================================

(৪) শায়েখ ইব্রাহিম এবনে শায়বান (রঃ) বলেন, আমি হজ্বের পর মদিনা পাকে পৌছাইয়া কবর শরীফে হাজির হইয়া হুজুর পাক সাঃ এর খেদমতে ছালাম আরজ করিলাম। উত্তরে হুজরা শরীফ হইতে ওয়ালাইকুমুস্সালাম শুনিতে পাই।
সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্ব-পৃষ্ঠা-২৫৫ (৫ নং কাহিনী)

ও আল্লাহর বান্দারা চিন্তা কর, নবীজি সাঃ কবর থেকেও সালামের উত্তর দেন। এই সব আক্বিদার তাবলীগ করতে কে তোমাদের নির্দেশ দিছে? এই কাহিনী দিয়া এটাই বুঝাইতে চায় যে ইব্রাহিম এবনে শায়বান আল্লাহর অলী ছিল। তাকে তোমরা পাওনি। তিনি পরকালে চলে গেছেন। অতএব এখন তোমাদের সামনে যারা আছে অর্থ্যাত পীরগণ তাহাদের খেদমত কর। তাদের পুজা কর, সিজদা কর, ইবাদাতের না, সম্মানের সিজদাহ।

কত বড় গাজাখুরী কাহিনীতে ভরা এই ফাজায়েলে হজ্জ্ব। কলমের কালি শেষ হইয়া যাইবো ফাজায়েলে আমলের কাহিনী কাটা শুরু করলে।


=============================================

(৫) আল্লামা কাস্তালানী (রঃ) বলেন, আমি একবার এমন কঠিন রোগে আক্রান্ত হই যে, ডাক্তারগণ পর্যন্ত নিরাশ হইয়া যায়। অবশেষে আমি মক্কা শরীফ অবস্থানকালে হুজুর সাঃ এর উছিলায় দোয়া করিলাম। রাত্রি বেলায় আমি স্বপ্নে দেখি, এক ব্যক্তির হাতে একটি কাগজের টুকরা, তাহাতে লেখা রহিয়াছে, ইহা আহমাদ বিন কাস্তালানীর জন্য ওষুধ। হুজুরে পাক (সাঃ) এর তরফ থেকে তাহার নির্দেশে (?) ইহা দান করা হইয়াছে। আমি ঘুম হইতে জাগ্রত হইয়া দেখি আমার মধ্যে রোগের কোন চিহ্ন নাই।

সূত্রঃ ফাজায়েলে হজ্জ্ব-২৫৫ পৃষ্ঠা (৬ নং কাহিনী)

হে আমার বিরোধীতাকারীরা, এ জাতীয় আক্বীদা বা বিশ্বাস যা শায়খ তুলে ধরেছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন মসজিদে মসজিদে তা কি কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী না।

অনেকে আমাকে বলছে, দেখান কই আছে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছূ। আমি তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে চাই, কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা হলো মানুষ অসুস্থ হলে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করবে।

=> নবীগণও অসুস্থ হলে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইতেন। কোন নবী অসুস্থ হলে অন্য নবীর ওয়াসীলায় অথবা মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করেছেন মর্মে কোন দলিল পাওয়া যায় না।

=> মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম আঃ অসুস্থ হলে কি করেছিলেন আল্লাহ তায়ালা তা কুরআনে বর্ণনা করেন।

আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি, তখন আল্লাহই আমাকে আরোগ্য দান করেন। (আশ শুয়ারা-৮০)

আইয়ুব আঃ অসুস্থ হয়ে প্রার্থনা করেনঃ

"আর স্মরণ কর আইয়ুবের কথা যখন সে তার প্রতিপালকের আহ্বান করে বলেছিল, আমি দুঃখ কষ্টে পড়েছি, আর আপনি দয়াবানদের চেয়েও সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবাদ। (সূরা আল আম্বিয়া-৮৩)

=> আল্লাহ তাদের আরোগ্যতা দান করেছিলেন। আর এই কাহিনী বলে নবীজির নির্দেশে এই ওষুধ। তাহলে আল্লাহ কই?

বিশ্বনবী সাঃ যখন কোন অসুস্থ লোককে দেখতে যেতেন তখন এই দুয়া পাঠ করতেনঃ

"হে মানবমন্ডলীর প্রতিপালক! এই রোগ দূর করে দিন, আরোগ্য দান করুন। একমাত্র আপনিই আরোগ্য দানকারী। আপনার শিফা ব্যতিত আর কোন শিফা নেই। আপনার শিফা এমন যে কোন রোগকে ছাড়ে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম মিশকাত হাঃ ১৫৩০, মুসলিমের দোয়া পৃঃ১৩৪)

ও আল্লাহর বান্দারা, সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা, শায়খ জাকারিয়া তাবলীগি নিসাবের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমকে তাওহীদ বিরোধী এক ভয়ানক শিরকী আক্বীদার তালীম দিতে চেয়েছেন।


মৃত্যর পরও নবী সাঃ ডাক্তারী করেন, রোগী আরোগ্য করেন, স্বপ্নযোগে ফি ছাড়া ওষুধ পাঠান, এমন আক্বিদাহ কি মুসলিমরা রাখতে পারে?

হে মুসলিম জাতি, গোড়ামি ছেড়ে বিবেক খাটান। এই সব বিষয়ই কি তোমরা তাবলীগ কর। আমি শুনেছি, সারা বিশ্বে কোরআন এর পর যেটা সবচেয়ে বেশী পড়া হয় তা এই ফাজায়েলে আমল। এই কি ফাজায়েলে আমলের শিক্ষা? এজন্যই তো শাহজালাল শাহপরান, আজমীর শরীফে মানুষদের ভিড় হয়, কবরু পুজা, মাজার পুজা করে।

আল্লাহর কাছে আরোগ্যতা না চেয়ে মানুষ,ব্যক্তি, কবর, মাজার এর কাছে গিয়ে আরোগ্যতা চাওয়া কি শিরক না?

এইটা যদি শিরক হয়, তবে এটা কি জান্নাত হারাম করে দেয় না?

=============================================

সূরা যুমার-১৮> যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ দেখান এবং তারাই বুদ্ধিমান

অতএব কেউ যদি আল্লাহর নিকট থেকে সৎপথ পেতে চায় এবং আল্লাহর নিকট বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচিত হতে চায় তার উচিত উপরের আয়াত অনুযায়ী মনোযোগ সহকারে কথা শুনা, আমার কথাও শুনা, তাবলীগের হুজুরদের কথাও শুনা। অতপর যা কোরআন ও হাদিসের সাথে মিলবে অর্থ্যাৎ যেটা উত্তম তার অনুসরণ করা।

কেউ যদি আমারে মাথা দিয়া পাহাড় ঠেলার মতো ফাস্টেই পথভ্রষ্ট কাফের মুশরিক বলেন তবে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর তারা সৎপথ পাবে না আল্লাহর নিকট থেকে সূরা যুমার এর ১৮ নং আয়াত অনুযায়ী এবং তারা বুদ্ধিমানও না।

আশা করি সকল তাবলীগি ভাইয়েরা যারা বিশেষ করে আমার বিরোধীতা করেছেন তারা এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিবেন। নতুবা তওবা করেন। কোরআন ও সহীহ হাদিসের দিকে ফিরে আসেন।

আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

(লেখতে লেখতে হাত ব্যাথা হইয়া গেছে, তাই আজ এ পর্যন্তই। তাবলীগি ভাইদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামনের পোষ্টে আবারও অসংখ্য শিরকী আক্বিদাহ নিয়ে আসব ৩য় পর্বে)।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৫
১০০টি মন্তব্য ৮১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×