গাজা ইস্যুতে ফেসবুক এখনো সরগরম।
চলছে তর্ক বিতর্ক,চায়ের টেবিলে ঝড়।
অনেকেই আবার ইসরায়লি পণ্য বর্জনের ডাক
দিচ্ছেন!!!
ইসরায়লি পণ্য বর্জনের জন্য আবার মানববন্ধনও
হচ্ছে!!!
কিন্তু এসব করে লাভটা কি?
আপনি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন
ওদিকে আপনার সন্তান লেইসচিপ্স
খাচ্ছে,কিটকাট্,মিরিন্ডা কোকাকোলা কিংবা পেপসি
খাচ্ছে আপনার ওয়াইফ হয়তো বাজার
থেকে ইসরায়েলি নুডুলস কিনে আনছে!!!
আমরা মুখে যতোই বড় বড়
বুলি ছাড়ি না কেনো আমরা কিন্তু
তা কাজে লাগাতে পারিনা।
একদিকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন
অন্যদিকে নিজের ঘরেই সেই পণ্য ব্যবহার করছেন! !!
কিছুদিন আগে তরুন প্রজন্ম পাকিস্তানি পণ্যের
বর্জনের হুমকি দিয়েছিলো!!
কাজের কাজ কিছু হয়েছে? ?
এখন তারাই পাকিস্তানি লন কিংবা পাঞ্জাবি পড়ে ঈদ
করছে!!!
পাকিস্তানি মুরগি কিংবা সেমাই খাচ্ছে!!!
পাকিস্তানি পণ্য ব্যবহার বেড়েই চলছে! !!
আমার যতোই বলি ভারতীয় চ্যানেল ত্যাগ করো কিন্তু
দিনের শেষে আমরাই ভারতীয়
চ্যানেলে সিরিয়াল,মুভি কিংবা কমেডি শো দেখি!!!
ঈদে মেয়েকে ভারতীয় ড্রেস কিনে দেই স্ত্রীকে দেই
ভারতীয় শাড়ি। নিজেরা পরি ভারতীয় ব্র্যান্ডের
শার্ট কিংবা ফতুয়া!!!!
আসলে এই গ্লোবালাইজেশনের যুগে কোনো বিদেশী পণ্য
ত্যাগ করে যেমন আমরা চলতে পারবো না তেমনি আমদের
পণ্যও বিশ্ববাজারে না গিয়ে চলতে পারবেনা,
পরিশেষে বলতে চাই মুসলিম দেশগুলোর আজ
একতার.অভাব. আর এই
দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে মুসলমানদের শোষণ করছে ঐ
ইহুদীরা।
আজ যদি বিশ্বের সকল মুসলিম
কান্ট্রি একহয়ে প্যালেস্টাইনদের পাশে দাড়ায়
তাহলে ইসরায়েলের কোনো ক্ষমতা নেই কিছু করার্।
কিন্তু হায় আফসোস আমরা একতাবদ্ধ নই। তাই
নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস
করে ঠেলে দিচ্ছি নির্যাতনের দিকে