somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরজগত নিয়া মহাজনী ক্যাচাল

১৯ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সন্ত্রাসের দেশ নাই, কাল নাই, ভাই বেরাদার নাই, ধর্ম নাই, বর্ণ নাই....
আরো কতো কি যে শুনি। এভাবে তারা একটা নির্গুন চরিত্র অর্জন করিলো। তাই সন্ত্রাস মোকাবেলার ধরনও আর ইহজাতিক রইল না। সে নিজেরে পরজাগতিক মানসিক বৈকল্যে হাজির করিলো। যাহার নাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ। অনন্ত নামক ফেনামেনার সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করে বলি, জয় মহাগুরুর জয়। উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিম, .. থেকে বায়ু, ..থেকে নৈঋত, .. থেকে ঈশান, উর্ধ্ব থেকে অর্ধ সর্বত্র গুরুর জয় হোক।

অনন্তের কায়কারবার যখন ধর্ম কর্মে সীমাবদ্ধ থাকে তখন তারে ইচ্ছেমত গালি দেয়া যায় অথবা তোয়াজ করা যায়। কোনটাতে কোন মোক্ষ মিলে তা পরওয়ারদিগারই ভালো জানেন। সে যাই হোক অতঃপর আমরা যুদ্ধে সামিল হইয়াছি। বন্ধুত্বের পরীক্ষায় উর্ত্তীন হইলাম বুঝি। সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত লোকেরা বলে কাহারো কাহারো বন্দ্ধুত্ব শত্রুত্বের সমাধিক। নিন্দুক সকল কালে ছিলো, থাকিবে এই নিয়ে দ্বিমত পোষনের কোন তরিকা কেউ জারি করতে পারে নাই। অর্থ্যাৎ দ্বিমত পোষনকারীরাও অনন্ত পরিমান। ঘটনা তা নহে, বরঙ ঘটনা চক্রে তারা একে সত্তুর হয়ে উঠে।

মাঝে মাঝে কিছু কিছু ফিকশনের হদিস মেলে। যেখানে বাঙলাদেশ নামক একখানা সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দেশের কথা বিধৃত হয়। যাহারা হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে প্রভুত গর্বে বুঁদ থাকিত, নানা তর্ককে আসল কাজ মনে করিত। তারপর কি হইল? কেউ জানে না। মনে হয় এমন কোন দেশ ছিলো না। না ডাইলের পরিমান বেশী হইয়া গেলো। এইভাবে বলা যাইতে পারে, তাহারা অনন্তের যুদ্ধে সামিল হইয়া নির্বাণ লাভ করিয়াছে। সে সূফি তরিকার সিলসিলা এখন আর জারি নাই, তারা সিলসিলা সুদ্ধ নির্বাণ লাভ করিয়াছে। ফিকশনের অধিকৃত স্থান বড়ই মনোহর। যা নাই তা সহজে আছে হইয়া যায় আর যা আছে তা বেমালুম গায়েব হইয়া যায়। ... আহারে পাষাণ দুনিয়া, কে কার খবর রাখে!!

হুঁ, যা বলছিলাম বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা আমজনতা ভাবিত আছি। ঘটনা তো মাত্র শুরু হলো, ঘটনার প্রাথমিক রুপ সূর্য্যের মতো আলোকময়। এখন আর মেঘের আড়ালে সূর্য্য হাসে টাইপ কথার কোন মূল্য নাই। সূর্য্য আকাশে তার আপন বেশে দৃশ্যমান, ওজোন স্তর সম্পূর্ণরুপে ধসিয়া গিয়াছে। এন্টি আলট্রা-ভায়োলেট ছাড়া কোন উপায় নাই। ইহা দুলর্ভ বস্তু, শ্রেণী সংগ্রামে কোন ফল মিলিতেও পারে, খাতা কলমে..

হে মহাগুরু, আকাশে বাতাসে রব উঠেছে রাষ্ট্র শন্কাকুল। সবাই নিরাপদ বেষ্টনীর মধ্যে স্ব স্ব জান মালের হেফাজতে ব্যাতিব্যস্ত। গুরু হাসিয়া কহিলেন তোমাদিগ কি লখিন্দরের লোহার বাসর স্মরণে আসে না। মহাগুরু নমঃ!! আগ্রহের অতিশয্যে ইতিহাস বোধ লোপ পাইয়াছিলো। নিজেরে অনিরাপদ ভাবিতে দেখাইতেই নিরাপদ বোধ করিতে ছিলাম। গুরু বলিলেন, ইহাতেও একপ্রকার সুবিধা আছে, তোর নিরাপত্তার জন্য যা ইচ্ছে তা করিতে পারিস। তোদের বুদ্ধিমান পূর্বপুরুষরা বলে গেছেন জান বাঁচানো ফরয। কাফফারা দেবে জনগণ, আহা নিষ্পাপ জনগণ। যাহারা দেখিবার শুনিবার খাইবার জন্য লোলুপ নয়নে তাকাইয়া আছে। সে যা খায় তা আধ খেচরা খায়! হে জনগণ লাল সালাম। তুমরা যেমন তুমাদের পালের গোদা তেমন। ভুল বলিলাম, সে এক কাঠি সরস। সকল কিছু তুমাদের নামে জারি হয়। সম্মতি উৎপাদনের মাধ্যমসমূহকে সত্য মানিয়া সর্বদা সম্মতি উৎপাদন পুনরুৎপাদনে ব্যস্ত। তুমি চেতনায় বুঁদ হয়ে থাকা খোদার খাসি।

তোর চেতনা কেন প্রেরনা হয়ে আসে না। এটা জানিয়া রাখ তোর এই লড়াই ইহলোকের, এই লোক রক্ষা পাইলে অতপর অন্যকিছু। অনন্তের মাঠে ময়দানে বন বাদাড়ে তোমরা নিজেদের নিজেরা মারিবে। ছলে বলে কৌশলে সকলকিছু জায়েয হবে, কিন্তু খেয়াল কারিবা তিল পরিমানও যেন মেদস্ফীতি না ঘটে। জানি তাহাই ঘটিবে, যা!! তোর পুলসিরাত এই ইহলোকে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৫
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×