দলান্ধতা আপনাকে কোথায় নিয়ে গেছে সেটাই এখন আমার জানার ইচ্ছা হচ্ছে। ৫৫ জনের মধ্যে ৪৪ জন সাধারন মানুষকে কেন মারলো সেটা আমার জানার ইচ্ছা। আর যদি কোন কারণ ছাড়াই মেরে থাকে তাহলে এটা গনহত্যা ছাড়া কিছুই নয়। আর আপনি যে বললেন পুলিশ শুধু খুজে খুজে জামাত মারছে? তাহলে হ্যাঁ তাই। তাই যদি না হতো তবে যে অভিযোগে অভিযুক্ত সাইদি ঠিক সেই অভিযোগে অভিযুক্ত পুতুলের শ্বশুর। রায়ের কথা পরে, যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। কেন তা হয় না। কারণ সে আমলীক করে। আজ যদি সে জামাতি হত দেখতেন অবস্থা। এটা থেকেই কি পরিস্কার নয় যে পুলিশ শুধু খুজে খুজে জামাত মারছে। অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধের ধূয়া তুলে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে চিরকাল ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র মাত্র। আর বাকীদেরও মারা হয়েছে বেআইনী ভাবে ৪৪ ধারা জারি নেই অথচ পুলিশ ডাইরেক্ট গুলি করে খুন করছে। দেশকে আতঙ্কে ফেলার জন্য যে এই দলটাকে ধংস্ব করে দেব যে সামনে আসবে তাকেই গুলি করে মারব আর জামাতের কথা কি বলব, তারা তো এখন কার্তিক মাসের পা............র। মৌচাকে ঢিল না দিলে যেমন তারা আপনাকে আক্রমন করবে না। তেমনি জামাত ও এ ধরনের হিংস্বতা করত না যদি সরকার একটা স্বচ্ছ বিচার ব্যবস্থা গড়ে তুলত। অস্বচ্ছতা একবার ফাস হওয়ার পরও যে তার কতটুকু স্বচ্ছতা থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ সাধারন মানুষ। আর মূলত সাধারন মানুষ এই অস্বচ্ছ বিচার এর প্রতিবাদেই মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তাছাড়া শুধু জামাতের মানুষ এত বেশী সংখ্যায় হওয়ার কথা নয়। এই সাধারন মানুষ গুলো গুলি খেয়ে লাঠিচার্জের মুখে পড়েও রাস্তাও এখনও আছে অন্যায় বিচারের প্রতিবাদ করার জন্য। বর্তমান সরকারের কৃত্রিম কথিত গোলাপের উপরে যদি দুই টাও গুলি করা হয় তবে এই গোলাপ আর গোলাপ থাকবে না । হাজার হলেও কৃত্রিম তো। আর অর্ধশতাধিক মানুষ হত্যার পর যারা রাস্তায় আছে কতটুকু বিস্বাস ভালোবাসা নিয়ে আছে? এখন যদি বলা হয় ইস্যুটা যখন বিশাল একটা সমস্যার সৃষ্টি করেছে আর দেশটা যখন গনতান্ত্রিক সেহেতু এটা বিচার জনগনই করুক অর্থাৎ জনমত জড়িপের ব্যপস্থা হউক। তখন আমাদের সরকারে বুক কাপুনি শুরু হবে অথবা যদি বলা হয় শাহবাগে যেমন ফাসীর পক্ষে গনজাগরন হয়েছে যাতে পুলিশ সহযোগিতা করছে এবং কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না ঠিক একই ভাবে এই রকম আরেকটি ফাসীর বিপক্ষে আরেকটি মঞ্চ হোক যাতে পুলিশ বাধা দেবেনা জামাত কোন সহিংস কান্ড ঘটাবে না পুলিশ সহযোগতা করবে। অতএবপর যেখানে লোকসমাগম বেশী হবে তাদের রায় মেনে নেয়া হবে। এরকম কিছু। তবেই হবে স্বচ্ছ বিচার, জনমনে আসবে শান্তি। যদি এর পরও নিজামী, সাঈদির ফাসি হয় তবে জামাত শিবির নিস্বন্দেহে মেনে নেবে সে রায়, তবেই আসবে শান্তি। দেখুন আমার লেখা পড়েই সরকার পক্ষের লোকজনের হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। তারা হারের সম্ভাবনার গন্ধ পাচ্ছে। আমি সত্যের পক্ষে। দু-পক্ষের হয়েই লিখি। সত্যকে প্রাধান্য দেই মিথ্যাকে দূরে সরাই। ধর্মের চেয়েও সত্য আগে আমি একথায় বিস্বাসী। কথাগুলো স্বাধীন মত প্রকাশের প্লাটফরম বলেই বলার সুযোগ পাচ্ছি নইলে পারতাম না।
কমেন্ট থেকে নেয়া কমেন্ট দেখুন View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




