গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ,পৌর নির্বাচন,বিডিআরে বিদ্রোহসহ সরকারের নানা সমালোচনা করেছেন। এর ভিতরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা বলেছেন তা মোটামুটি এরকম,
১)আওয়ামী লীগই যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারা আজ বড় মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম দিয়ে নিজের ঘরে যুদ্ধাপরাধীদেও পালছে। তাদের আত্মীয়স্বজনদের অনেকে রাজাকার।তাদের আওয়ামী লীগ খুঁজে পাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে জাতীয় পতাকা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
৩) বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত শহীদ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে।
কিন্তু অবাক করার ব্যাপার, সিলেক্টিভ চেতনাবাজরা ১ ও ২ নং পয়েন্ট নিয়ে কোনো কথা বলে না। যত আপত্তি ৩ নং পয়েন্ট নিয়ে। তার মানে হলো ,১ ও ২ নং পয়েন্ট আড়াল করার জন্যই খালেদা জিয়াকে শ্লীল-অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করছে।
যদি তারা সত্যিকারের চেতনায় বিশ্বাসী হন তাহলে তাদের উচিত ,
১)আওয়ামী লীগের যারা রাজাকারদের সাথে আত্নীয়তা করেছে(বেয়াই লীগ নামে পরিচিত) ,তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা ।
২) সরিষাবাড়ীর রাজাকার মাওলানা নূরুল ইসলামকে ৯৬তে মন্ত্রী বানানোর জন্য আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য করা ।
আর যদি না পারে তাহলে শুধু শুধু একমাত্র খালেদা জিয়ার সমালোচনা করা উদ্দেশ্য প্রনোদিতই মনে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬