
গত কোরবানীর ঈদ। সিলেট এবং চিটাগাং অঞ্চলের দাদু এবং বদ্দা ছিল।তাদেরকে দেখেছি গরুর মাংস দিয়ে করলা খেতে।
জিজ্ঞেস করলাম।
-ভাই গরুর মাংস দিয়ে করলা কেমন মজা ?
-আররে ভাই এইটার মত মজা দুনিয়ায় আছে নি !!
-আচ্ছা ভাই আমারে দিয়েন একটু খাইয়া দেখি।
-খাইলাম।নিম পাতার স্বাদ অমৃত !
আজকে ব্লগার ভাইয়াদের সেই অমৃত ঈদ শুভেচ্ছা বানী নিয়ে এসেছি।
গত কিছুদিন আগে প্রিয় মানুষ প্রিয় ব্লগার আমিনুর ভাইয়ের সাথে কথা বলে । যোগাযোগ আছে এমন ব্লগার ভাই/বোন দের কাছ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা বানী সংগ্রহ করতে গিয়ে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়েছিলাম –
“___ভাই/বোন সালাম নিবেন... ঈদ উপলক্ষে ব্লগারদের ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়ার কথা ভাবছি। পোষ্ট ঈদের দিন রাতে পোষ্ট করা হবে।কাইন্ডলি আপনার শুভেচ্ছা বার্তা কি লিখবেন ...লিখে দেন প্লিজ। আপনাদের অংশগ্রহণ কাম্য । “
শুভেচ্ছা সংগ্রহে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি ।
যারা সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে শুভেচ্ছা বানী পাঠিয়েছেন।এক নজরে দেখে নেই তারা কিভাবে আমাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-
ব্লগার আমিনুর ভাই
“গুড পোষ্ট হবে ।একটু ভাবতে দেন। বলছি।আমি লিখে আপনাকে ইনবক্সে দিয়ে দিবো “ ।
ব্লগার কাল্পনিক-ভালবাসা
“ভাইয়া, আমি কিছুক্ষনের মধেই গ্রামের বাড়িতে রওনা হচ্ছি।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, সব গোছানোর পর হঠাৎ মনে হলো, আপনাকে ম্যাসেজটা লিখে দেয়া হয় নি
তাই আবার পিসি অন করলাম
আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সবাই। ভাবখানা এমন যে, কার সাথে এত জরুরী কথা!
এটা কোন মেয়ে!!
ব্লগার নাসরীন চৌধুরী
“মনটা ভালনা তাই ব্লগে যাওয়া হচ্ছেনা। এমাসে আমার দুজন আপন আত্মীয় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। গত সপ্তাহে মেঝ খালু, তার আগের সপ্তাহে মামা। এইত ---শুভেচ্ছা বার্তা দিতে হবে সেটা কি আপনি পোষ্ট করবেন নাকি যার যারটা সে করবে?
প্লিজ নাসরীন আপার শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে কেউ হাসবেন না। সত্যি তিনি খুব মনঃকষ্টে আছেন।
ব্লগার জুন
জুনাপুর জীবন পুরাটাই ইমোমময় ।তিনি সবকিছুতেই ইমো দিয়ে বোঝিয়ে দেন। তাই জুনাপু
স্মাইল ইমো দিছেন !!!
জুনাপু লজ্জার ইমো দেয় কেম্নে ?????
ব্লগার মৃদুল শ্রাবণ
মৃদুল শ্রাবণ শুভেচ্ছা বার্তায় আপনাদের লিখে জানিয়েছেন।
“খুব ভালো উদ্যোগ শাকিল ভাই। আমন্ত্রনের জন্য ধন্যবাদ নিবেন। খুব শীঘ্রই পাঠাবো।“
মৃদুল শ্রাবণ ভাই আজকাল গরু কেনা নিয়ে চিন্তিত। সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।তিনি যেন সুস্থ্য সবল গরু কিনতে পারেন।
ব্লগার প্রবাসী পাঠক
“আজকে সংকলন এর কাজ শেষ হল । সংকলন পোস্ট দিয়ে দেয়া হইছে ।
ব্লগার আরজু নাসরীন পনি ( নই দেবী নই সামান্যা নারী )
“হায় হায়
কী বিপদ
আমি কী লিখবো ?
ভেবে দেখি প্লিজ
ভেবে !!!
ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী
দাদা কে ইনবক্সে নক করে শুভেচ্ছা বার্তা চাইলাম।দাদা দিলেন –
“দিমু না। সামুতে ঢুকতে পারি না।“
ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি
আমাদের জন্য ইংলিশ ফন্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন –
“diichhi vai “
ব্লগার মুহিব জিহাদ
জিহাদ ভাই রাতের ঘুম হারাম করে ব্লগার ভাইদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।সে জন্য তিনি লিখেছেন।
“আমার বাসার ইলেকট্রিক মেইন সুইচ জ্বলে গেছে, গরমে অতিষ্ট হয়ে বের হয়েছিলাম, ভাগ্য খারাপ থাকায় যেতে পারলামনা। বাসায় ও টিকতে পারছিনা, ব্লগে ঢূকে ও মজা পাচ্ছিনা। কারন সামুর সমস্যার কারনে কোন কমেন্টস দেখতে পাচ্ছিনা, রাগে খোভে গা ছনছন করতেছে ।ল্যাপ্টবের চার্জ প্রায় শেষ, মোবাইল ও একটু পরে অফ হবে, করবো ভেবে পাচ্ছিনা । হুক্কার গোডাউন ও ফুড়িয়ে আসছে প্রায় ।
ভাই গরমে আর বোধহয় সাথে কোন গার্মেন্টস বশ্র রাখতে পারছিনা ।
ব্লগার মামুন রশিদ
মামুন ভাই অতি সুন্দর করে আমাদের সবাই এবং ব্লগার ভাইবোনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।আসেন দেখে নেই,তিনি কি লিখেছেন-
“হাহাহা, দারুণ হবে । অবশ্যই দিব “
ব্লগে দুইলাইনের গল্প দেখেছি আবার দেখেছি কবিতা।যারা দুই শব্দ দিয়ে আমাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা হলেন -
একজন ঘূণপোকা , সুমাইয়া আলো ,
ডি মুন , সাবরিনা সিরাজী তিতির টুম্পা মনি ,শাহাদাৎউদ্রাজি,অঘটনঘটনপটীয়সী
এবার আসুন দেখে নেই।আমাদের উপরোক্ত প্রিয় ব্লগার রা দুই শব্দ দিয়ে কিভাবে আমাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-
“অকে ভাইয়া”
ব্লগার *কুনোব্যাঙ*
কুনোভাই আমাদের অতি সাবলীল ভাষায় আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন-
“শুভেচ্ছা বার্তা আমাকে এককপি দিয়েন”
পূনশ্চ :- প্রিয় শ্রদ্ধেয় ব্লগার ভাই বোন।একটি রম্য লেখার চেস্টা করেছি। কারো যদি আঁতে ঘা লাগে,আমাকে ঈদ বোনাস হিসেবে ক্ষমা দিবেন।
যারা আমাদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-
ব্লগার জাফরুল মবীন
সকল ব্লগার ভাইবোন,ব্লগ পাঠক,ব্লগ কর্তৃপক্ষ ও ব্লগের সকল শুভানুধ্যায়ীদের জানাই পবিত্র ঈদুল-উল-আযহা’র শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”।আজকের দিনে নিজেদের সকল সংকীর্ণতাকে কুরবানী দিয়ে আনন্দঘন ব্লগ পরিবেশ গড়ে তুলি;সমৃদ্ধ করি আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক আর উচ্চ শিখরে তুলে ধরি মানব শ্রেষ্ঠতা।
ব্লগার সোনাবীজ অথবা ধুলোবালিছাই
আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনার মাধ্যমে সমগ্র ব্লগবাসীর জন্য ইদের শুভেচ্ছা থাকলো। সবার জীবন ভরে উঠুক অনাবিল সুখ ও শান্তিতে। ইদের এই আনন্দঘন দিনে আপনার মা-বাবার খোঁজ নিন, দরিদ্র ভাইবোন কিংবা আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিন। যাঁদের ঘরে কোনো খাবার নেই, চেষ্টা করুন তাদের মুখে এক টুকরো গোশতো আর কয়েক লোকমা ভাত তুলে দিতে।
ব্লগার আলম দিপ্র (যিনি নিজ গুনে ব্লগে প্রিয় লেখক হয়ে উঠছেন )
আমি কোনও জনপ্রিয় কেউ না আবার পরিচিত কেউ না । আমার কাছ থেকে তো আর কেউ ঈদের শুভেচ্ছা আশা করে বসে থাকবে না ! এখন ঈদের সংজ্ঞা দেওয়ার মানে হয়না । তা আমার থেকে সবাই ভালো জানেন । সাদাসিধে মানুষ সাদাসিধেভাবে বলছি সকল সম্মানিত ব্লগারদের ঈদের শুভেচ্ছা । সাথে সাথে আমার বাসায় সবার দাওয়াত রইল । ভুল করেও যদি এসে পড়েন কেউ !
ব্লগার লায়লি আরজুমান খানম লায়লা
আনন্দগুলো সবার মনে জড়ো হোক,সবার মনে আনন্দের ঢেউ তুলুক, সবার মনে আনন্দের আলপনা আঁকা থাক, ঈদ আনন্দের ঢেউ শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, সারাটি বছর সবাই ভাল থাকুক-সকলেই শান্তিতে থাকুক, সবাই নিরাপদে থাকুক----------- লায়লা
ব্লগার ঘুড্ডির পাইলট ওরফে ঘুপা ভাই
ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ ,
তবে ঈদের এই আনন্দটুকু ভাগ করে নিতে হবে তাদের সাথে যাদের ঈদের আনন্দ করার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই ।
সাধ ও সাধ্যের ব্যবধানকে ক্ষুদ্র করার আশায় নিয়ে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ।
এই মাত্র হাতে পাওয়া
ব্লগার মাহমুদ০০
আবু শাকিল ভাই ঈদ অনুভূতি জানাতে বলায় বিব্রত হলাম ।
কারণ ঈদ মানে একটা মুখ মনের পটে ভেসে উঠা। আমার কাছের মানুষ ।আমার বাবা।
সেবার গরুটা ২-৩ বছরের মধ্যে কেনা সেরা গরু।দামে । শরীরে । চামড়ায়। মাংসে । আব্বার মুখে তৃপ্তি। কিরে গরু কেমন ?
বললাম - ভাল । আব্বার আগ্রহী ও তৃপ্ত মুখের দিকে তাকিয়ে
যে কথা বলতে পারিনি তা হল - বাবা আমি কখনো গরু নিয়ে ভাবি নাই। রান্না হইছে খাইছি। বলতে পারি নাই ।
একটা ভেড়াও কিনি।
আমি বলাম - এত বড় গরু আবার ভেড়া কেনা কেন ?
বাবা বললেন - তুই যে ভেড়ার কথা বললি ।
ভেড়ার কথা বললাম বলতে হাটে ভেড়া দেখে দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম /
যে কথা বলতে পারিনি তা হল - আরে এমনিতেই দাম জিজ্ঞেস করছিলাম । ভেড়া - টেড়া খাওয়ার ইচছা নাই ।
বাবাকে এমন অনেক কথাই আমার বলা হয় নাই। রাগ , ক্ষোভ, দুঃখ , ভালবাসা কোন কিছুর জানান দেয়া হয় নাই ।
জানতাম না অটাই শেষ ঈদ হবে । আমার আর কখনো বাবার পাশে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ পড়া হবে না।হৈ - হুল্লোড় করে সবাই মিলে
গরুর মাংস খাওয়া হবে না। রান্নার ভাল - মন্দ নিয়ে কোন কথা হবে না। হাটে যাওয়া হবে না ।এমন অনেক কিছুই হবেনা যা কখনো ভাবিনি ।
এমন অনেক কিছুই হবে যা কখনো ভাবিনি।
সবাইকে যেতে হয় । তবে এত দ্রুত রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা পড়তে চাই নি।পড়তে হল । পড়তে হয়।
তোমার স্মৃতিগুলো বড্ড ভোগায়, বাবা।
প্রিয় পাঠক - দুঃখিত । বলতে চাইনি । এড়ানো গেল না । । আপনাদের সবার ঈদ অনেক অনেক ভাল কাটূক । শুভেচ্ছা ।
পূ্নশ্চ :- যাদের সাথে যোগাযোগ করেছি সবাই বলেছেন শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিবেন। । শ্রদ্ধেয় ব্লগার ভাইবোনদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে একটি রম্য লিখতে চেয়েছি বলে সবার শুভেচ্ছা বার্তা সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি।আমি দুঃখিত ।আমাকে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
ঈদের শুভেচ্ছা বোনাস
কোরবানির আগে ও পরে করণীয়
কোরবানির ঈদ বা ঈদ-উল আযহা মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় উৎস। পশু কোরবানির কারণে ঈদ-উল আযহা একটু বেশিই আনন্দদায়ক হয়ে থাকে।
কোরবানি সম্পর্কে জেনে নিন
কোরবানির ইতিকথা : হযরত ইব্রাহীম (আঃ) পর পর তিন দিন স্বপ্ন দেখলেন, তিনি তাঁর নিজ পুত্র ইসমাইলকে (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে যবেহ করছেন। তিনি চার স্বপ্নের কথা তাঁর পুত্রকে জানালেন এবং পুত্র যোগ্য সন্তান হিসেবে উত্তর দিলেন আপনি আল্লাহর নির্দেশ পালন করুন। তখন ইব্রাহীম (আঃ) ছরি দিয়ে যবেহের জন্য প্রস্তুত হয়ে ইসমাইলকে (আঃ) মাটিতে শুয়ে দিলেন এবং তার গলায় ছরি চালালেন। কিন্তু যবেহ হলো না। আল্লাহ ইব্রাহীমের পরীক্ষায় সফল কাম হওয়ার সুসংবাদ হিসেবে ইসমাইলের পরিবর্তে জান্নাত থেকে এক মহান পশু কোরবানির ব্যবস্থা করলেন। (সূরা সাফফাত আয়াত ১০২-১০৭.)
কোরবানির ফজিলত
কোরবানির শরীরে যত পশম থাকে, প্রত্যেকটা পশমের পরিবর্তে এক একটি নেকি পাওয়া যায়। কোরবানির দিনে কোরবানি করাই সবচেয়ে বড় ইবাদত।
কাদের ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব : ১০ জিলহজ্জের ফজর থেকে ১২ জিলহজ্জের সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্থাৎ কোরবানির দিনগুলোতে যার নিকট সদকা হয়। ফেতরা ওয়াজেব হওয়া পরিমাণ অর্থ। সম্পদ থাকে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
মুসাফিরের ওপর কোরবানি করা ওয়াজেব নয়।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজেব নয়, সে কোরবানির নিয়তে পশু কোরবানি করলে সেই পশু কোরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়।
যার ওপর কোরবানি ওয়াজেব সে কোরবানি না করলে কোরবানির দিন চলে যাওয়ার পর একটা বকরীর মূল্য ছদগা করা ওয়াজেব।
কোন কোন জন্তু কোরবানি করা যায়
বকরী, পাঁটা, খাশি, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা, গাভী, ষাঁড়, বলদ, মহিষ, উট এই কয় প্রকার গৃহপালিত জন্তু দ্বারা কোরবানি করা যায়।
কোরবানি পশুর বয়স প্রসঙ্গ
বকরী, খাশি, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা কমপক্ষে ১ বছর বয়সের হতে হবে। বয়স যদি কমও হয় কিন্তু একরূপ মোটা তাজা সে ১ বছর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের থেকে ছোট মনে হয় না। তবে সেই পশু কোরবানি চলে। তবে অন্তত ছয় মাস বয়স হতে হবে। বকরী কোন অবস্থায় এক বছরের কম হতে পারবে না।
কোরবানি পশুর স্বাস্থ্যগত অবস্থা প্রসঙ্গ
কোরবানির পশু ভাল এবং হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।
লেংড়া পশু কোরবানি জায়েয নয়।
যে পশুর দাঁত নেই তার দ্বারা কোরবানি জায়েয নয়। যে পশুর কান জনম থেকেই নেই তা জায়েয না। তবে কান ছোট হলে সমস্যা নেই।
যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় কোরবানি জায়েয না। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু ভেঙ্গে গেছে এরূপ পশু জায়েয আছে।
অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু যার এতটুকু শক্তি নেই। যে জবেহের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না, তার দ্বারা কোরবানি জায়েয নয়।
গর্ভবর্তী পশু কোরবানি করা জায়েয। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায়। তবে সে বাচ্চাও জবেহ দিতে হবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী চলে সে রূপ গর্ভবর্তী পশু কোরবানি দেয়া মাকরূহ। বন্ধু পশু কোরবানি করা জায়েয।
কোরবানি গোশত খাওয়া এবং বণ্টনের তরিকা
অংশীদারিগণ গোশত অনুমান করে বণ্টন করবেন না। বাটখারা দিয়ে ওজন করে বণ্টন করতে হবে। অবশ্য কোন অংশীদার মাথা, পায়া ইত্যাদি বিশেষ কোন অংশদার মাথা, পায়া ইত্যাদি বিশেষ কোন অংশগ্রহণ করলে তার ভাগে গোশত কিছু কম হলেও তা হবে। কিন্তু যেভাগে গোশত বেশি সে বাগে গোশত বেশি সে ভাগে মাথা পায় ইত্যাদি দেয়া যাবে না।
কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া, পরিবারকে খাওয়ানো, আত্মীয়স্বজনকে দেয়া এবং গরিব মিসকিনকে দেয়া সবই জায়েজ। মোস্তাহাব ও উত্তর তরিকা হলো তিন ভাগে করে একভাগ নিজেদের জন্য রাখা। এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেয়া এবং এক ভাগ গরিব মিসকিনকে দেয়া।
কোরবানির গোশত বা বিশেষ কোন অংশ পরিশ্রমিক রূপে দেয়া জায়েয নয়।
কোরবানির চামড়ার টাকা মসজিদ, মাদ্রাসার নির্মাণ কাজে দান করা যাবে না। কোরবানির পরে যাতে পশুর রক্তে পরিবেশ দূষিত না হয় সেজন্য রক্ত, আবর্জনা মাটিতে গর্ত করে ঢেকে রাখতে হবে।
ঈদ সবার আনন্দে কাটুক।
সূত্র আহকামে জিন্দেগী
(কোরবানীর আগে ও পরে করনীয় জনকণ্ঠ পত্রিকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে )
ভাল থাকবেন সবাই। ঈদ আনন্দে কাটুক।
ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছা সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





