স্বাধীনতা যুদ্ধ, যার মাধ্যমে এদেশ জালেমদের হাত থেকে মুক্ত হল। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী- তা বের করতে যেন চেতনা-গবেষকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। চেতনা আবিষ্কারক ও গবেষকদের নিরন্তর গবেষনা চলছে। আর চেতনা-ব্যবসায়ীরা নিত্য নতুন চেতনার ফেরি-ওয়ালা খুজে ফিরছে।
আসলে, এই মুক্তিযুদ্ধের আহবায়ক, বাঙ্গালী জাতির জনক, বংগবন্ধু 'শেখ মুজিবুর রহমান' ছাড়া আর কেঊ উত্তমভাবে এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝেছিলেন কি না সন্দেহ। আসুন, সেই মুক্তিযুদ্ধের আহবান শুনুন, ৭ই মার্চের ভাষন শুনুন বারবার। স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা এখানেই লুকিয়ে আছে।
এই ভাষনটি অনুধাবন করে কিছু মূল শিক্ষা বের হয়ে আসে, যা এই যুদ্ধের এবং স্বাধীনতা-কামী যে কোন জাতির চিরন্তন চেতনা বহন করে-
১। নিজের অধিকার সচেনতা- নিজের অধিকার অনুধাবন করতে শেখ। নিজের অধিকার আদায় করতে শেখ। প্রয়োজনে সংগ্রাম কর। (উল্লেখ্য, নিজের হক্ব ও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম নিখাদ ইসলাম সম্মত ব্যাপার।)
২। দেশপ্রেম- নিজের দেশ ও জাতিকে ভালবাস। নিজের জাতির স্বার্থে , দেশের স্বার্থে কাজ কর। দেশ ও জাতি গঠন কর। প্রয়োজনে জান বাজি লাগাও। (উল্লেখ্য, এটাও একটা নিখাদ ইসলাম সম্মত বিষয়।)
৩। জালেমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর--যে জালেম, জুলুম করে, তাকে ফিরাতে হবে। তাকে প্রতিহত করতে হবে। (এটা যে কোরান-সুন্নাহ সমর্থিত বিষয়, এতে কোন সন্দেহ নেই।)
৪। খোদার উপরে ভরসা- সকল কাজের ফলাফলের জন্য খোদার উপরে ভরসা রাখ। আল্লাহ না চাইলে কিছুই সম্ভব নয়। এজন্যই বংগবন্ধু ইনশাল্লাহ সহকারে বলেছিলেন- " এদেশ স্বাধীন করেই ছাড়ব, ইনশাল্লাহ"।
এখন, একজন সৎ, নির্ভীক , খাটি দেশপ্রেমিক ও ধর্মভীরু মানুষই হতে পারে আসল চেতনা বহনকারী। কারন বংগবন্ধু একজন খাটি দেশপ্রেমিক, সৎ ও ধার্মিক নেতা ছিলেন।
অপরদিকে, চাপাবাজ, ধান্ধাবাজ, কথার ব্যাপারী, অসত ও নাস্তিক নেতা ও বুদ্ধিজীবীরা, যারা নিজের স্বার্থের বিনিময়ে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিতে প্রস্তুত, যারা এ দেশের খেয়ে পড়ে বিদেশে সম্পদের পাহাড় জমাচ্ছেন, ---তারা আর যাই হোক- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারনকারী নন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২১