বাউন্ডুলে, ভবঘুরে এলোমেলো এক ছেলে। পড়াশোনা চলছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির জিওলজি বিভাগে। তা ছেলেটা ভূগোল কতটুকু জানে তা জানিনা তবে বইএর পাতার ভূগোলের চেয়ে ঢাকা শহরের ভূগোল আর রাজনীতির ভূগোলেই তার আগ্রহ বেশি। ফাইনাল ইয়ারে এসে আটকে আছে। পাস করে বের হবার কোন ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা তার মাঝে আছে বলে মনে হয়না। চলছে চলুক জীবন, মন্দ কি?? রাজনীতি, বন্ধু বান্ধব, আড্ডাবাজি। একটি সিগারেট আর একটি জীবন, পার্থক্য কী খুব বেশি।
শহীদুল্লাহ হলের ভিপি হয়েও এত উদাসিন কেন ছেলেটা? কত মেয়ে তার প্রেমিকা হবার জন্য অপেক্ষায় দিন গোনে। এমন কথাও শুনেছি যে একবার আটজন মেয়েকে আটটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় অপেক্ষায় রেখেছিল। দেখা করার কথা বলেও দেখা করতে যায়নি। কেন কী কারন তা আমি জানিনা তবে অনুমান করতে পারি। যতই হোক একই রক্ত তো। অনেকে ভাবতে পারে এ তার অহংকার, দেমাগ। আসলে এ ছিল তার উদাসীনতা। কোন এক বিচিত্র কারনে মেয়ে মানুষের প্রতি তার আগ্রহ একটা পর্যায় পর্যন্ত গিয়ে ফাটা বেলুনের মত চুপসে যেত। তা সে যতই রূপবতী, গুণবতী, এলোকেশী সুন্দরী আসুক না কেন আগ্রহের বেলুনে বাতাস আর ভরা যেতনা। ভাল লাগেনা তো ভাল লাগেনা।
এই ছেলেটি আমার বাবা। আমার মধ্যে যত প্রকারের ভবঘুরে যাযাবরের বৈশিষ্ট আছে, সবই তার রক্ত থেকে আমার ভ্রুনে পাওয়া চিরজন্মের উপহার।
এভাবেই দিন চলে যায়।
একদিন একটি মেয়েকে সে দেখে। দেখতেই থাকে। সে গল্প অন্য একদিন হবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




