somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'জঙ্গি দমন কমিটি' (জদক) এ যোগ দিন। B-) জবাবি পোস্ট

০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাই দলে দলে 'জঙ্গি দমন কমিটি' (জদক) এ যোগ দিন। view this link


বিজ্ঞ মডারেটরগণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, আমি যদি ফ্লাডিং করেই থাকি, ( উনারা ফতওয়া দিচ্ছেন এটা নাকি রাষ্ট্রের জন্য অনেক ক্ষতিকারক। ) তাহলে আমাকে পরোপুরি ব্যান করলেও আমার আপত্তি নেই। জোড় করে কারও ঘারের উপর বসে থাকতে চাই না। :)
আমি মনে করি দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকারক তারাই যারা মানুষকে গভীর অন্ধকারের দিকে আহ্বান করে ও অলীক বিশ্বাস নামক ভ্রান্তবাদে মানুষকে আকৃষ্ট করে ও বিভ্রান্ত করে।


---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার এই পোস্টটি তো কেউ দেখবেই না, আমার লেখা প্রথম পাতায়ই প্রকাশ হয় না। :( তবুও লিখলাম।

আমাকে নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছে :( view this link
আমার হয়ত কোথাও ভুল হয়েছে ভেবে ওখানে কমেন্ট করে ভুল বুঝাবুঝির অবসান করার উদ্দ্যেশে বড় একটা কমেন্ট করে পোস্ট করলাম আর আমার লেখা হরিয়ে গেল :( উক্ত পোস্ট আমার উদ্দ্যেশ্যেই করা হয়েছে অথচ আবার আমাকেই ব্লক করে রাখা হয়েছে আমার কোন মতামত নেয়া হচ্ছে না। B:-) তাহলে আমি মতামত কিভাবে জানাব ? |-) তাই এখানেই লিখছি। :)

যে পোস্টটি নিয়ে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে সেটি হচ্ছে এটি view this link এই পোস্টের লেখক উদাসী স্বপ্ন ভাই, উনি আমার অন্যতম একজন প্রিয় ব্লগার ভালই লাগে উনাকে আমার। :D যদিও বিশ্বাসের দিক দিয়ে আমরা দুজনে দুই প্রান্তে অবস্থান করছি, এ এক অলংঘনীয় ব্যাবধন।
আমি ফেসবুকে উদাসী ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমুতি নিয়েই ওই পোস্টে একজন ধর্মান্ধ হয়ে কিছু কমেন্ট করেছি। একজন সাধারণ মুসলিম হিসবে নয়, পুরোপুরি ধর্মান্ধের মুখোশ পরেই উক্ত কমেন্টগুলো করেছি। কিন্তু পরে ফেসবুকে দেখলাম উদাসী ভাই আমার উপর ( প্রকৃত পক্ষে আমার ওই ধর্মান্ধের চরিত্রটির উপর ) ভয়ানক বিরক্ত। :| তাই আমাকে মুক্তমনা হয়েই কমেন্ট করতে বললেন। উনি না করার পর আমি আর একটি কমেন্টও করিনি। পরে মুক্তমনা হয়ে নিচে কিছু কমেন্ট করেছি। এবং আমি উদাসী ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার চেষ্টায় আছি। :)
আমার দুঃখ হচ্ছে যার পোস্টে কমেন্ট করলাম তার কোন মাথা ব্যাথা নেই অথচ আরেকজন আমাকে নিয়ে পোস্ট করে বসে আছে !! :-< view this link এটা কেমন কথা হল?
আমার ওই কমেন্টগুলো যদি উদাসী ভইয়ের কাছে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয় ( অবশ্যই অসঙ্গতিপূর্ণ, ধর্মান্ধরা ধর্মীয় ব্যাপারে কখনও কোন পোস্টের সাথে সঙ্গতি রেখে কমেন্ট করতে পারে না ইহা হাজার বার প্রমাণিত ;) ) তাহলে উদাসী ভাই তা ডিলিট করে দিতে পারেন এ ব্যাপারে আমার কোনই্ আপত্তি নেই। :)
কিন্তু এই মেটাফেজ ব্লগার আমাকে নিয়ে পোস্ট কেন করল বুঝলাম না। সে উদাসী ভাইকে বললেই তো সব কমেন্ট ডিলিট করে দিতে পারত। :)

একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত- আর তা হচ্ছে ধর্মের ওই কালো মুখোশ পরে আমার অভিনয়টি চমৎকার হয়েছে B-) আমি যে এত সুন্দর অভিনয় পারি আগে জনতাম নাতু :P ধর্মান্ধের দুই চারটি কমেন্টেই মানুষ ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে গেছে :-P
ধর্মান্ধের প্রকৃত রুপটিই আমি তুলে ধরতে পেরেছি তাদের চিন্তা ভাবনা সবসময় একটি নিদ্রিষ্ট গন্ডিতে সীমাবদ্ধ। সমাজ,দেশ,রাজনীতি তথা পুরো পৃথিবীটাকেই তারা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বার ব্যাখ্যা করে। আর অন্যন্য মতবাদ বা গোষ্ঠিকে তারা সবসময় বাঁকা চোখে দেখে তাদের শত্রু ভাবে। নিজেদের যে কোন বঞ্চনা,অসাহয়ত্বের জন্য তারা সবসময় বিধর্মীদেরই দোষারোপ করে। এমন কোন জটিলতা,এমন কোন একটি সমস্যা নেই যা তারা সঠিক ব্যাখ্যা করতে পেরেছে।
তাদের যাবতীয় ব্যাখার মূলে থাকে অলীক বিশ্বাস আর ইহুদী নাসাড়া, তথা বিধর্মী। তাদের যাবতীয় হতাশা,অসফলতার জন্য দায়ী করে প্রথমত নিজেদের এবাদতের দূর্বলতা তারপর বিধর্মীদের। তারা কখনও দেখতে পায় না তাদের বঞ্চনা জন্য তাদের দূর্দশার জন্য দায়ী ঐশ্বরিক কিছু নয় আর নয় কোন ইহুদি নাসাড়াদের ষরযন্ত্রও। তাদের দুর্দশা তাদের বঞ্চনার জন্য দায়ী আমাদের সমাজ, এই সমাজেরই কিছু মানুষ, রজনীতিবিদ ইত্যাদি। তারা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য মূল যায়গায় আঘাত না করে বেশি বেশি ইবাদ বন্দেগী আর সহীহ ইসলাম চর্চায় ব্যাস্ত থাকে আর বিধর্মীদের উপর দোষ চাপাতে থাকে। আর এই সুযোগটাই গ্রহণ করে সামাজের উচ্চ শ্রেণীর কিছু লোক আর রাজনীতিবিদেরা। এইসব ধর্মন্ধদের যদি একবার বুঝানো যায় তোমাদের সমস্যার জন্য ঐশ্বরিক কোন কিছু বা বিধর্মীরা দায়ী নয় তাহলে কিন্তু রাজনীতিবিদদের দিন শেষ :P যা হোক ধর্মন্ধদের নিয়ে লিখলে অনেক কিছুই লিখা যায় এখানে আর সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। যার যার পথ সেই সেই দেখে নিবে এটাই হচ্ছে আসল কথা। কিন্তু এই আসল কথাটাও আর আসল কথা থাকে না যখন একজনের বিশ্বাস অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় তখনই বাঁধে গোল। বিশ্বাসের এই ব্যাপারটা যখন ব্যাক্তি পর্যায়ে থাকে তখন তা শ্বান্তি পূর্ণ মনে হয় যদিও তা নিজের জন্যই ক্ষতিকর তবুও সে তাতে শ্বান্তি পায় আর এই পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে মনোস্তাত্বিক।


ঐশ্বরিক মতবাদ মনেই ভ্রান্তবাদ,ঐশ্বরিক মতবাদ মনেই অন্ধকারবাদ এর কোনই বাস্তবতা নেই এর কোন সত্যতাতাও নেই, অজ্ঞতা,আবেগ আর মনগড়া চিন্তুার সমষ্টি হচ্ছে ঐশ্বরিক মতবাদ যদিও লক্ষ কোটি জ্ঞানী,গুনী,কবি,সাহিত্যাকি, ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,বিজ্ঞানী তা বিশ্বাস করে তাতে শ্বান্তি খুঁজে বেড়ায়। অন্ধকার যুগে এসকল ঐশ্বরিক মতবাদের ক্ষমতা ছিল সীমাহীন সময় যত গড়াচ্ছে মানুষ যুক্তিবাদি হচ্ছে ধর্মের কালো পর্দা তাদের চোখের সামনে থেকে সরতে শরু করেছে। সময়ের পরিক্রমায় একসময় তা এমনিতেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আর সে পথেই এগিয়ে চলছে বিশ্ব। B-)
সবগুলো ধর্ম গ্রন্থই বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে বিজ্ঞানের কোলে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। আর অলীক বিশ্বাসে বিশ্বাসী কিছু বিজ্ঞানী তাদের পক্ষে ধুঁয়া তুলছে। একজন অন্ধকারী বিজ্ঞানী হাজার মানুষকে অন্ধকারের দিকে ধ্বাবিত করে, সভ্যতার অগ্রগোতিতে এ এক ভারী সমস্যা । :(
-----------------------------------------------------
প্রিয় উদাসী ভাইকে বলছি, আমার কমেন্টগুলো অসঙ্গতি মনে হলে মুছে দিতে পারেন। আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার যদিও আমরা দুজন দই প্রান্তের মানুষ :-P কি আর করা এভাবে এগিয়ে চলবে সবকিছু। :)
আর আপনার পোস্টে আমি এখন থেকে মুক্তমনা হয়েই পোস্ট করব ঠিক আছে? :D তয় একটা কথা কয়ে রাখি রাগারাগি করন যাইবো না কিন্তু। ;)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে সঠিক পথ দান করুন- আমিন

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪২
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×