“নাস্তিকের রক্ত চলে যাচ্ছে ধার্মিকের গায়ে। ধার্মিকের দোয়ায় উদ্ধারকাজে সফল হচ্ছে নাস্তিক। আল্লাহ্’র মাইর, দুনিয়ার বাইর!”
...এখানে উল্লেখ্য যে-
- সাভারের ধ্বসে পড়া রানা প্লাজায় আটকে পড়া মানুষের উদ্ধারকাজে ও তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কোন বাধা যেন না থাকে এজন্য রাজনৈতিক দাবীকে তুচ্ছজ্ঞান করে হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিএনপি।
- সাধারণ মানুষের গালাগাল উপেক্ষা করে ত্রান মন্ত্রনালয়ের কোষাগার থেকে চার কোটি টাকা বরাদ্দ ও সকল বাহিনীকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত করার মত মানবিক, প্রয়োজনীয় ও জরুরী পদক্ষেপ নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।
- ১৩ দফার উপরেও আরেকটি দাবী আছে আর সেটা হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন - তাই জ্ঞান করে মাকিগঞ্জের মহাসমাবেশ স্থগিত করেছে হেফাজত-এ-ইসলাম।
- রাজপথে নয়, পাল্লা দিয়ে ব্যাগে ব্যাগে রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে দুর্বার গতিতে গণজাগরণ মঞ্চ ও ছাত্র শিবির।
- কসাই ডাক্তার, কমিশনখোর ইঞ্জিনিয়ার, ঘুষখোর পুলিশ, দালাল মিডিয়াকর্মীসহ সব পেশার মানুষ পাগলের মত খুঁজে বেরাচ্ছেন কি করে সে নিজে একটু সহযোগীতা করতে পারে তার উপায়।
- আন্ডার মেট্রিক ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা মাটি খুড়ে ঢুকে পড়ছেন ধ্বংসস্তুপের ভেতরে, নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে উদ্ধার করে আনছেন তার একেবারে অচেনা বাংলাদেশের মানুষকে।
- কান্নায় চোখ বারবার ভিজে উঠছে ‘এক বুলেট, এক শত্রু’ দীক্ষায় দীক্ষিত মিলিটারী অফিসারের। এক হাত দিয়ে প্রতিবার চোখ মোছার কাজে লাগলেও অন্য হাত একবারের জন্যেও ছাড়েনি স্ট্রেচারের হাতল।
- হেফাজতের মিছিলে পানি, কলা খাওয়ানো আর শাহবাগে বিরানী সাপ্লাই দেয়া সাধারণ মানুষ ছুটে যাচ্ছে টর্চ লাইট, দড়ি, স্যালাইন, নিজের ব্যবহৃত ইলেক্ট্রিক জেনারেট নিয়ে। তারা হিসাবেই আনছেন না কার চোয়ালে দাড়ি আছে বা কার গায়ে ব্লগের গন্ধ।
... কি আশ্চর্য! কি আশ্চর্য!! এই ক’দিন আগেও পরিস্কার তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া দেশটির ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ, আনসার, মিলিটারী, ডাক্তার, মিডিয়াকর্মী, সাধারন মানুষ, ফকির, মিসকিন, ব্যাবসায়ী, ছাত্রনেতা কাউকেই আর আলাদা করা যাচ্ছে না!
কোন শালা বলবি “বাংলাদেশের কিসস্যু হবে না”? আয় আমার সামনে এসে বল!
(সংগৃহীত)
প্রসঙ্গতঃ - প্রজন্ম ও অ্যাক্টিভিসম নিয়ে, আমার লেখা:
জাগ্রত প্রজন্ম ও বিক্ষোভ: বিশ্ব-মধ্যপ্রাচ্য-শাহবাগ-সাভার
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০