কে কে পড়াশোনা করতে যাবেন এমআইটিতে? হাত তুলুন !! (সবাইকেই নেব)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়া শোনা করেন তাদের অনেকের স্বপ্ন থাকে এমআইটিতে পড়ার।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজি বা এমআইটি আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে।
তারা অনলাইনে শিক্ষা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পড়াশোনা এবং পরীক্ষা দুটোই সম্পূর্ণভাবে অনলাইন নির্ভর হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মার্চ মাস থেকে এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে তারা জানিয়েছে।
প্রথম যে পাঠটি তারা দিতে চলেছে তার বিষয় হচ্ছে সার্কিট এবং ইলেকট্রনিক্স। ইতোমধ্যে পাঠটিতে যোগ দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রথমে নিচের ভিডিওটা দেখে নিন।
http://adf.ly/258852/mit-online-edu
অনলাইনের এই পাঠদা্ন কর্মসূচিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন এটি সম্পূর্ণ ভাবে স্বয়ংক্রিয় এবং বোধগম্য হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সফলভাবে কোর্স শেষ করলে এমআইটি থেকে সনদপত্র পাবে বলে জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই উদ্যোগকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাঁধা ভেঙ্গে দেবার এক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছে। অনলাইনে শিক্ষা এবং সনদ প্র্দানকারী প্রতিষ্ঠান এখন অনেক রয়েছে কিন্তু এমআইটির পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তারা এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে ছাত্র হবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হবে না কোন খরচ অথবা কোন শর্তের।
এমনকি পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোও অনলাইনেই প্রদান করা হবে। ২০১১ সালের বড়দিনে এই সিদ্ধান্ত নেয় এমআইটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিষয়ের সাথে মিল রেখে তৈরি করে ৬.০০২এক্স:সার্কিট এবং ইলেক্ট্রনিক্স।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখপাত্র জানিয়েছেন অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম দেখেকেউ যদি মনে করে এটা খুব সহজ তাহলে ভূল করবে।
এমআইটি বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছে যে ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি, ই-পাঠ্যবই, অনলাইনেই আলোচনা এবং পাঠ্যক্রমের সাথে মিল রেখে প্রয়োজনীয় ভিডিও সব কিছুই পাবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দশ ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হবে শিক্ষার্থীদের এবং কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুন মাসে।
এমআইটি'র কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরির পরিচালক এবং এই অনলাইন পাঠ্যক্রমের একজন শিক্ষক আনন্ত আগারওয়াল জানিয়েছেন ছাত্ররা যেন মজা পায় সেভাবেই এই পাঠ্যক্রমটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন যদিও বিষয়টি পড়ার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়নি তারপরেও শিক্ষার্থীদের অংক এবং বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
একেবারেই নতুন ধরনের এই শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।যাদের শেখার অনেক আগ্রহ কিন্তু প্রয়োজনীয় সহযোগীতার অভাবে এই সুযোগ পাচ্ছেননা তাদের জন্য তো অবশ্যই এটি খুব ভাল খবর।
আপনি যদি হতে চান এমআইটির একজন গর্বিত ছাত্র তবে এখন ই আপনার জায়গা নিশ্চিত করুন।
http://adf.ly/258852/comform-your-seat
১০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে
ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন