somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেশের মালিক ও তার অর্থমন্ত্রী

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


খবরঃ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কক্ষ। সময় রোববার বেলা ১২টা। বিদেশি অতিথির সঙ্গে আলোচনা করছিলেন মন্ত্রী। আচমকাই কক্ষে আবির্ভাব এক ব্যক্তির। নিজেকে পরিচয় দিলেন ‘দেশের মালিক’ হিসাবে। পরিচয় পেয়ে বিব্রত অর্থমন্ত্রী, হকচকিত অতিথিরাও। বিরক্ত অর্থমন্ত্রী ‘স্টুপিড’ বলে ধমকে কক্ষ থেকে বের করে দেন তাকে। সংবাদকর্মীরা নামপরিচয় জানতে চাইলে শ্মশ্রুমণ্ডিত ওই ব্যক্তি নিজের নাম ‘শাকিল’ বলে দাবি করেন। তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি দেশের মালিক। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি’, অর্থমন্ত্রী বাইরে এসে যদি বলে আমি দেশের মালিক না, তাহলে আমি চলে যাবো।” পরে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার স্বভাবসুলভ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “ওকে আমি চিনি না। ও একটা ইতর। সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোকটা আসলেই পাগল। তাকে আমরা শ্যামলির মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
বাংলা অভিধানঃ
ইতর [ itara ] বিণ.
১. (মূল অর্থে) অন্য, অপর, ভিন্ন (বামেতর);
২. নীচ, অধম (ইতর লোক);
৩. নিম্নশ্রেণীভুক্ত (ইতর প্রাণী)।


জ্বি! আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব আপনি ঠিকই ধরেছেন, এ দেশের আপামর জনগন যাদের সামনে আপনারা কথায় কথায় 'জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস’, ‘জনগনই দেশের মালিক’ জাতীয় মূলাগুলা ঝুলান, তারা আসলেই স্টুপিড। আর স্টুপিড না হলে কি, নিজেকে এত্ত জোড়ালো ভাবে দেশের মালিক দাবী করতে পারে? আসলেই এরা আপনাদের থেকে ‘ভিন্নতর’, এক কথায় বলতে গেলে ছোটলোক, নীচ, অধম, নিম্নশ্রেনী ভূক্ত; দেখেন নাই, নিজেকে দেশের মালিক দাবীকারী ‘শাকিলের’ চেহারা, বেশভূশা, নোংরা জামা কাপড়, গায়ের দূর্গন্ধ, মুখ ভর্তি দাড়ি। ছিঃ তার গায়ে কি দূর্গন্ধ, টেকাই দায়, ওয়াক থু! পাগলের বাচ্চাটাকে বের করে দিয়ে, একদম সঠিক কাজটিই করেছেন মাননীয় মন্ত্রী।
কিন্তু…………মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আপনি জানেন কি, এইসব ইতর, ছোট লোকেরাই আপনাদেরকে বারবার ক্ষমতার ঐ জায়গাটাতে পাঠায়, আর নিজের মাথাটা পেতে দেয়, শোষন করার জন্য। আপনারা শোষন করেন, আমরা শাসিত হই। আমরা আসলে এমনই, এমনই হওয়া উচিত আমাদের। সব থেকে মজার বিষয় কি জানেন, এত্তসব জানার এবং বোঝার পরও আমরা এটা করি। কারন, আপনারা দেশের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, সাম্যতার নামে, ধর্মের নামে, মানবতার নামে এমন সব সিস্টেম তৈরি করে রেখেছেন যা থেকে আসলে এসব অভদ্র-ইতর দের বের হওয়ার কোন সুযোগ নাই। নেশায়, পেশায়, রক্তে, অনুভবে, জাতে-পাতে এইসব ইতর, ছোট লোকদের কেউ আওয়ামীলীগ, কেউ বি এন পি, কেউ জামাত, কেউ বাম ও অন্যান্য। ধর্ম, জাত-পাত, দেশ, জাতীয়তা, সাম্যতা, মানবতা ইত্যাদি বিষয়ে আমরা বিভক্ত হয়ে যাই। আমরা মিটিং করি, মিছিল করি, হরতাল করি, প্রতিরোধ-অবরোধ করি, কাটাকাটি করি, মারামারি করি এবং তারপর মরি, শেয়াল-কুকুরের মত মরি। আর, আপনারা এসে আমাদের গায়েবানা জানাজা দেন, লাশের রাজনীতি করেন। ইদানিং এই সকল কম্পোন্যান্ট গুলোকে আবার আপনারা ককটেল বানিয়েও খাওয়ানো শুরু করেছেন, বিভিন্ন ধরনের জোট গঠনের মাধ্যমে। এই দলীয় জোট, সেই দলীয় জোট। সব থেকে মজার বিষয় হল, এখন তো আপনারা আবার, আমাদেরকে ভোট দিতে যাওয়ার কষ্ট থেকেও রেহাই দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের নিয়ে কত চিন্তা আপনাদের। যাই হোক সেটা অন্য প্রসঙ্গ। আচ্ছা ‘শাকিল’ যাকে কিনা আপনার প্রশাসন পাগল সাব্যাস্ত করে ‘থেরাপির’ নামে কই যেন পাঠিয়ে দিয়েছে, সে আপনার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন কেন, জানা হয় নাই, আপনি শুনেন নাই, আপনি তাকে চেনেন না। শাকিলদেরকে, আপনাদের চেনার দরকার হয় না মাননীয় অর্থমন্ত্রী, কিন্তু আমরা চিনি আপনাকে, আপনি আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রী, বলতে গেলে গোটা দেশের অর্থনীতির ‘চালক’, ‘ধারক’, ‘বাহক’, ‘রক্ষক’ এবং ‘অন্য অনেক কিছু’।
আমাদের মত ইতরদের কথা শোনার সময় আপনার কেন হবে? আপনি ঠিক কাজটিই করেছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী……………….


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×