somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

1. নারী পুরুষ ঢিসুম ঢিসুম

২৬ শে আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৪:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বয়স দোষ কন আর ছ্যাকা খাওনের জ্বালা কন, আমি নারীদের নিয়া ভাবি। পুরুষদের নিয়াও ভাবি কিন্তু পুরুষজাতি নিয়া ব্যবসা করা বেশি সুবিধার না। তাই নারীই ভরসা।

আমার আগে নারী নিয়া নাকি দেবতারাও ভাইবা গেছেন। দেখেন, ব্যবসার গন্ধ পাইলে কে না ভাবে। একবার বুইঝেন কইলাম। খালি তো আমারেই দোষেন। তয় দেবতারা ঠিক ব্যবসার লাইনঘাট করতে পারে নাই। হেরা নাকি নারীর মনই বুঝে নাই। আমার আগেই এইসব কথা পুরাণে লেইখা গেছে অনেক, যারা ব্যবসায় ফেল মারছিল তারা।

হে হে.... আমার বিজনেস অ্যানটেনা কয়, এই লেখার পাঠক বাড়তাছে। পাঠিকারাও বাড়বো। নারীবাদী ইসু্য নিয়া কথা। এনজিওরাই নারীমুক্তি ইস্যু নিয়া ব্যবসা কইরা কুল পাইতেছে না, আমি তো হপায় শিক্ষানবিশ।

আমার কিছু ধারণা কই নারীদের নিয়া।

নারীদের সতীত্ব বইলা কিছু নাই। এইসব সতীত্বে ফতিত্তে বিশ্বাস করি না। অনেকে কয়, নারীদের দেহ গেল, তাইলে সব গেল। একবার বুইঝেন কইলাম। নারীর দেহ টাই সব। ধইরাই নেয়া হইছে, নারী মানে একটা দেহ, একদলা মাংস, স্তন আছে, যোনি আছে, আর কী লাগব খাইতে। খালি দেবতারা আর পুরুষরা না, অনেক নারীরাও অজান্তে এইটা সত্য বইলা মাইনা নিছেন যে তাগো যেমন কইরা হোক সতীত্বটা রক্ষা করা লাগবো। বিয়ার আগে এইটা গেলে কেইস খারাপ, আপনের মেয়ে তো নষ্টা। কেডা কইছে? সমাজ কইছে, আব্বা আম্মা স্কুল কলেজ মুরুব্বি শিখাইছে, ধর্ম বইয়ে পড়ছি। হেরা কি তয় মিছা কয় না কইতে পারে? বুইঝেন কইলাম।

নারী কইতেই মাথায় ঘুরে সুন্দর সুন্দর বিশেষণ। কোমল, চপলা, চঞ্চলা, লাজুকলতা, লাবণ্যময়ী, লাস্যময়ী, দুর্বলভূজা এমন আরো হাজার কথা। সাথে ফর্সা হইলে সুন্দরী প্লাস। অনেকে এমন কয়, মেয়েলি স্বভাব আমার পোলাটার, খালি শরম পায়। কেউ কয়, তুমি মেয়েদের মতন এত পটপট করতেছ ক্যান? এইসব 'মেয়েলি স্বভাব, মেয়েদের মতন কাজ'.... এইগুলা চাপায়া দেয়া ধারণা। কোন কথা, কোন কাজ, কোন ব্যবসা পুরুষের মতো আর কোনটা নারী গো মতো হইব এইটা কে ঠিক কইরা গেল?

একটু আগে একটা লেখা দেখলাম নুসরাত শারমিন সুমির ব্লগে। লিখছে, মহিলারা নাকি সবসময় পুরুষদের থেইকা একটু বেশি রাগ করেন। হায় রে, রাগের মধ্যেও মহিলা পুরুষ আলাদা আছে। তয় এই বেলা পুরুষ কয় নাই, নারী নিজেই কইতাছে। বুঝেন কইলাম আরেকবার। এমন সিস্টেম করছে চাইরপাশ, এখন নিজেরাই নিজেদের ইস্ক্রু ঢিলা কইরা রাখে।

আরেকটা কথা চালু । মা না হইলে নারী ঠিক নারীই মনে হয় না। নারীর পূর্ণতা মাতৃত্বে। সমাজে তো কাউরে এমনেই মা মা ডাকবো না। আগে বিয়া করতে হইব নয় বিয়ার পিড়িতে বইতে হইব নারীদের। বুঝেন কইলাম।

আচ্ছা বাচ্চার মা না হও, বিয়া টা অ্যাটলিস্ট কইরো, সমাজের চোখে নষ্টা, খারাপ হওয়ার কী দরকার? বিয়া করলে তুমি পাইবা স্বোয়ামীর স্নো পাউডার সোহাগ, বিশ্বাস, সমাজের নিরাপত্তা। ফর্সা হইলে লারেলাপ্পা। সব পুরুষ তোমারে পটাইবো নানা উছিলায়। রাস্তাঘাটে ইসকুলে কলেজে ইন্টারনেটে ব্লগে। বেকার পোলা থেইকা স্পোর্টস রিপোর্টার থেইকা গাড়িওয়ালা পুরুষ সবতে তোমার পিছনে লাগবো। বাইছা নিতে পারবা সুবিধামতো। বউ হিসাবে ফর্সা মেয়েলী নারী হইল গিয়া পুরুষগো একটা অ্যাসেট, স্ট্যাটাস সিম্বল, মাথা উচু কইরা হাঁটতে পারে তারা, শেয়ারে দাম বাড়বো পুরুষগো।

বুইঝেন কিন্তু। এক টাইপের নারীরাও তাই চামেচিকনে পুরুষগো ফান্দে পইরা ফর্সা হওয়ার লেইগা কান্দে। হেরা মনে করে, সমাজের নিরাপত্তা পাওনের লেইগা একটা শিক্ষিত ভদ্র স্বামী পাইলে খারাপ কি? ভালোবাসা আদর সোহাগও পাইলাম, টাকাপয়সা, সামাজিক মানমর্যাদাও পায়া গেলাম। পায়ের তলায় বেহেশত না পাইলাম, বাড়িগাড়ির মধ্যেই বেহেশত খুইজা পামু। তাই নারীগো দরকার একটা বিয়া।

খাড়ান, নারীরা লাফাইয়েন না। পুরুষরা চেইতেন না। কথা শ্যাষ হয় নাই। ব্যবসায়িক কল আইছে একটা। আইসা আরও খোলসা কইরা কমু। এখন গেলাম। জয়বাবা ধান্দাবাজি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০০৭ রাত ১:৪০
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×