somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাহ ও তার কল্প কাহিনী'

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঠ) আবু সুফিয়ান
আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, কিন্তু মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ইন্তেকালের সময় তিনি মদীনায় ছিলেন না।৩১ সফর থেকে ফেরার পথে তিনি মদীনা থেকে আগত এক ব্যক্তির নিকট থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ওফাতের কথা জানতে পারেন। আবু বকর খলীফাহ্ হয়েছেন শুনে জিজ্ঞেস করলেন ঃ “আলী ও আব্বাস এই দুই মযলুমের প্রতিক্রিয়া কী?” লোকটি বলল ঃ “তাঁরা ঘরে বসে আছেন।” তখন আবু সুফিয়ান বললেন ঃ “আল্লাহ্র শপথ, আমি যদি বেঁচে থাকি তো তাঁদের পা সুউচ্চ টিলার ওপরে পৌঁছে দেব।” এরপর বললেন ঃ “আমি সমাজ পরিবেশকে ধুলিময় দেখতে পাচ্ছি যা রক্তবৃষ্টি ছাড়া অন্য কোন কিছু দ্বারা দূরীভূত হবে না।”
তিনি মদীনায় ফেরার পর সেখানকার গলিতে গলিতে ঘুরে এ কবিতা পাঠ করতে লাগলেন ঃ
“হে বানী হাশেম! লোকদেরকে তোমাদের ওপর লোভ করতে দিও না
না (বানী) তীম বিন্ র্মারাহ্কে, না (বানী) ‘আদীকে৩২
এ তো (হুকুমত) তোমাদের থেকেই, ফিরে আসবে তোমাদের কাছেই
আর নহে তা আবু হাসান আলী ছাড়া অন্য কারো তরে।”৩৩
ত্বাবারী লিখেছেন৩৪ ঃ আবু সুফিয়ান এ কথা বলতে বলতে এগিয়ে আসেন ঃ “আল্লাহ্র শপথ, আমি সমাজ পরিবেশকে ধুলিময় দেখতে পাচ্ছি যা রক্তবৃষ্টি ছাড়া অন্য কোন কিছু দ্বারা দূরীভূত হবে না। হে আব্দ্ মানাফের বংশধরগণ! তোমাদের ব্যাপারে আবু আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন, কিন্তু মক্কা বিজয়ের সময় ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ইšেবকরের কী কাজ? আলী ও আব্বাস এই দুই মযলূম ও লাঞ্ছিত কোথায়?” তারপর বলেন ঃ “হে আবূল হাসান! হাত বাড়িয়ে দাও; তোমার পক্ষে বাই‘আত হবো।” কিন্তু আলী তাতে সাড়া দিলেন না। তখন আবু সুফিয়ান এই কবিতাটি পাঠ করলেন ঃ
“নিঃসন্দেহে গৃহপালিত গর্দভই লাঞ্ছনা মেনে নেয়
স্বাধীন ও শক্তিমান বীর পুরুষ তা উপেক্ষা করে
কোন কিছুই নীচতা ও লাঞ্ছনা সহ্য করে না
কেবল প্রাণহীন দুই জিনিস চরম লাঞ্ছিত; তাঁবুর খুঁটি
হাতুড়ীর আঘাতে সে বাঁকা হয়ে যায়
আর সেই ভারবাহী উষ্ট্র যার তরে কাঁদে না’ক কেহ।”৩৫
আবু সুফিয়ানের এ উস্কানি মূলক কবিতা বানী আব্দ্ মানাফের বংশধরদের উত্তেজিত করণ ও ইতিহাসকে বদলে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু আলী আবু সুফিয়ানের নিকট থেকে বাই‘আত গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে তা আর ঘটে নি।
এখানে আলীকে খলীফাহ্র আসনে বসানোর জন্যে আবু সুফিয়ানের উদগ্র আকাক্সক্ষা এবং আলী কর্তৃক বাই‘আতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান অনেকের মধ্যেই বিস্ময়ের সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, আলী আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং তাঁর হক আদায়ের জন্যে তাঁর সাথে সহযোগিতা করার জন্যে আনছার ও মুহাজিরদের দ্বারে আঘাত হানেন। অথচ তিনিই আব্বাস ও আবু সুফিয়ানের পক্ষ থেকে আসা বাই‘আতের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এর কারণ কী? এর কারণ একদিকে আলী এবং অপরদিকে আব্বাস ও আবু সুফিয়ানের উদ্দেশ্যের মধ্যকার পার্থক্য। আলীর খেলাফত দাবীর কারণ দ্বীনী দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ছিল তাঁর হক। তিনি ছিলেন আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর হুকুমত ও দ্বীনী নেতৃত্বের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত। এমন কি এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত থাকলেও সাধারণভাবেই দ্বীনী জ্ঞান এবং সামরিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁর যোগ্যতম হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। আনছার ও মুহাজির নির্বিশেষে প্রায় সকলেরই কথা ছিল এই যে, শুরুতেই আলী খেলাফতের জন্যে এগিয়ে এলে কেউই তাঁর ব্যাপারে দ্বিমত করতেন না, কিন্তু যেহেতু তাঁরা আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হয়ে গেছেন তাই এখন আর কিছু করার নেই।
আলী তাঁর দ্বীনী হক পুনরুদ্ধার করতে চাচ্ছিলেন বলেই কেবল তাঁর বংশীয় লোকদের নিয়ে অগ্রসর হতে চান নি এবং এ কারণেই বংশ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মুসলমানের কাছে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে আব্বাসের দৃষ্টিতে আলী ছিলেন বানী হাশেমের যোগ্যতম ব্যক্তি, আর আবু সুফিয়ানের দৃষ্টিতে আলী ছিলেন বানী আব্দ্ মানাফের যোগ্যতম ব্যক্তি। যেহেতু বানী উমাইয়াহ্ (আবু সুফিয়ান যে বংশের লোক) ও বানী হাশেম ছিল বানী আব্দ্ মানাফেরই দু’টি শাখা এবং নেতৃত্ব বানী উমাইয়াহ্র নিকট আসার কোনোই সম্ভাবনা ছিল না, সেহেতু তিনি বানী আব্দ্ মানাফের বাইরের লোক আবু বকরের নেতৃত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না। আর আব্দ্ মানাফের বংশধর শাখাগোত্র সমূহের মোট জনসংখ্যা ছিল এতই বেশী যে, তারা একত্রে মাঠে নামলে আবু বকর ও ওমরের বংশের লোকেরা তাদের সামনে মোটেই দাঁড়াতে পারত না। এ কারণেই আবু সুফিয়ান আব্দ্ মানাফের নামে শ্লোগান উচ্চারণ করেন। কিন্তু আলী বংশীয় ভিত্তিতে শক্তি সংহত করে তাঁর দ্বীনী হক আদায়ে প্রস্তুত ছিলেন না বলেই আবু সুফিয়ানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
বস্তুতঃ আরবরা ইসলাম গ্রহণ করলেও তখনো তাদের মধ্য থেকে গোত্রপ্রীতি দূর হয়ে যায় নি। এ গোত্রপ্রীতি আবু বকর ও ওমরের গোত্রের মধ্যেও ছিল এবং আলীকে খেলাফত থেকে বঞ্চিত করার পিছনেও এ গোত্রপ্রীতি তথা অন্য গোত্রের প্রতি বিদ্বেষ কাজ করেছিল। এ কারণেই আবু বকরের পিতা আবু কাহাফাহ্ যখন জানতে পারলেন যে, তাঁর পুত্র খলীফাহ্ হয়েছেন তখন তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। অথচ তিনিও রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর বংশ হিসেবে এ নেতৃত্বকে বানী আব্দ্ মানাফের প্রাপ্য বলে মনে করতেন। এ কারণেই আবু বকরের খলীফাহ্ হওয়ার সংবাদ দেয়া হলে তিনি সাথে সাথে উদ্বেগের সাথে প্রশ্ন করেন ঃ “আব্দ্ মানাফের বংশধররা তার নেতৃত্ব মেনে নিতে রাযী আছে তো?” যখন জবাব দেয়া হলো ঃ “হ্যা,” তখন তিনি বললেন ঃ “আল্লাহ্ তা‘আলা যখন কাউকে কোন কিছু প্রদান করেন তখন কিছুই তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।”৩৬
কেবল আলীই ছিলেন এ ধরনের গোত্রপ্রীতির উর্ধে।
কিন্তু হযরত আলী (আঃ)-এর এ সঠিক অবস্থানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাজে লাগানোর জন্যে মিথ্যা রেওয়াইয়াত রচনা করা হয়েছে যে, আবু সুফিয়ানের প্রস্তাবের জবাবে আলী বলেছিলেন ঃ “হে আবু সুফিয়ান! তুমি তোমার জীবনের সুদীর্ঘ কাল ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে দুশমনীতে কাটিয়েছো, কিন্তু দ্বীনের কোনোই ক্ষতিসাধন করতে পার নি। আমরা আবু বকরকে এ দায়িত্বের জন্যে যোগ্য মনে করি।” (!)প্রথমতঃ এ রেওয়াইয়াতের সনদের৩৭ ব্যাপারে আমাদের আপত্তি আছে। কারণ এর বর্ণনাকারী এ ঘটনার কয়েক দশক পরের লোক। অন্যদিকে এসব রেওয়াইয়াতের অন্যতম বর্ণনাকারী আবু ‘আওয়ানাহ্ (মৃত্যু ১৫০ হিজরী) মিথ্যা হাদীছ রচনার জন্যে পরিচিত ছিল।৩৮ অপর এক বর্ণনাকারী র্মারাহ্ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সে আবু বকর ও ওমরকে দেখে নি।৩৯
তাছাড়া রেওয়াইয়াতের বক্তব্যও ত্র“টিপূর্ণ। কারণ, আলী একথা বলে থাকলে আবু সুফিয়ান স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করতেন, “তাহলে তুমি আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হচ্ছো না কেন?”
ইতিপূর্বে আমরা দলীল সহ উল্লেখ করেছি, আলী বলেছিলেন যে, চল্লিশ জন নিষ্ঠাবান যোদ্ধা সাথে থাকলেও তিনি অভ্যুত্থান করতেন। অতএব, বলা বাহুল্য যে, আলী আবু বকরকে যোগ্য বলেন নি। বরং আবু সুফিয়ান যে হযরত আলী (আঃ)-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন আলী (আঃ) তা ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি মু‘আবিয়াহ্কে লেখা তাঁর পত্রে বলেন ঃ “তোমার পিতা আমার অধিকারকে (হক) তোমার চেয়ে উত্তমভাবে স্বীকার করতেন। তোমার পিতা আমার অধিকারকে যতটুকু স্বীকার করতেন তুমি যদি ততটুকু স্বীকার করতে তাহলে বুঝা যেতো যে, তুমি চৈন্তিক ও বিচারবুদ্ধিগত পরিপক্কতার অধিকারী।”৪০
একদিকে আবু সুফিয়ান আলীকে যুদ্ধে উস্কানি দিয়ে হতাশ হন, অন্যদিকে সমকালীন সরকার তাঁর ব্যাপারে আতঙ্কের মধ্যে ছিল। তাই ওমর আবু বকরের নিকট গিয়ে বলেন ঃ “এই লোকটা এসেছে; ওর নষ্টামি থেকে বাঁচা সম্ভব নয়। এ কারণে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)ও সব সময়ই তার মন জয় করে রাখার চেষ্টা করতেন। তাই ওর কাছে ছাদাক্বাহ্ ও বাইতুল মালের যে অংশ রয়েছে তা ওর কাছেই অর্পণ করুন।” আবু বকর তা-ই করলেন। ফলে আবু সুফিয়ান সন্তুষ্ট হলেন এবং আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হলেন।৪১
ত্বাবারীর রেওয়াইয়াত থেকে বুঝা যায় যে, সিরিয়ায় প্রেরিত সেনাবাহিনীর সেনাপতিত্ব তাঁর পুত্র ইয়াযীদ বিন্ আবু সুফিয়ানকে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত আবু সুফিয়ান আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হন নি।৪২
পাদটীকা ঃ
১. ২য় খণ্ড/ ১০৩; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ২৮৭-এ অধিকতর বিস্তারিত রেওয়াইয়াত রয়েছে।
২. ত্বাবারী, ৩য় খণ্ড, সীরাতে ওমর প্রসঙ্গে; ইবনে আবিল হাদীদ ঃ “লিল্লাহি বিলাদুন্ ফুলানূন্”-এর ব্যাখ্যায়, দ্বাদশ খণ্ড/ ৪৯ ও ৫১।
৩. সূরাহ্ মুহাম্মাদ ঃ ৯।
৪. র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩১ ও ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ১৭ (জাওহারীর সাক্বীফাহ্ থেকে উদ্ধৃত)।
৫. র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩১-১৩২ ও ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ১৭ (জাওহারীর সাক্বীফাহ্ থেকে উদ্ধৃত)।
৬. র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ৫ (জাওহারীর সাক্বীফাহ্ থেকে উদ্ধৃত); তারীখে ইয়াকুবী, আবু যারের সমালোচনা প্রসঙ্গ।
৭. তারীখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড/ ১১৪।
৮. র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩৩ (জাওহারীর সাক্বীফাহ্ থেকে উদ্ধৃত); ত্ববাক্বাত, ২য় খণ্ড, ক্বাফ ২/ ১২৯।
৯. মাস‘উদী ঃ মুরুজুয্ যাহাব, ২য় খণ্ড/ ৬০; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ৬৫; নাছ্র্ বিন্ মুযাহিম ঃ ছিফফীন, পৃঃ ১৩৫।
১০. আল-মা‘আরিফ, পৃঃ ১২৮।
১১. আল্-ইস্তি‘আব, ১ম খণ্ড/ ৩৯৮; আল-ইছাবাহ্, ১ম খণ্ড/ ৪০৬; উসদুল্ গ¦াবাহ্, ২য় খণ্ড/ ৯২; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ১৩।
১২. উসদুল্ গ¦াবাহ্, ২য় খণ্ড/ ৯২; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩৫।
১৩. ত্বাবারী, ২য় খণ্ড/ ৫৮৬; ইবনে ‘আসাকের ঃ তাহ্যীব, ৫ম খণ্ড/ ৪৮; আনছাবুল আশরাফ, ১ম খণ্ড/ ৫৮৮।
১৪. তারীখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড/ ১০৫।
১৫. উসদুল্ গ¦াবাহ্, ২য় খণ্ড/ ৯২; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩৫।
১৬. ত্বাবারী, ২য় খণ্ড/ ৫৮৬; ইবনে ‘আসাকের ঃ তাহ্যীব, ৫ম খণ্ড/ ৪৮; আনছাবুল আশরাফ, ১ম খণ্ড/ ৫৮৮।
১৭. ইস্তি‘আব, ২য় খণ্ড/ ৪৩; আল্-ইছাবাহ্, ২য় খণ্ড/ ২৭।
১৮. ত্বাবারী, ২য় খণ্ড/ ৪৫৯; ইবনে আছীর, ২য় খণ্ড/ ২৪৪; কানযুল ‘উম্মাল্, ৩য় খণ্ড/ ১৩৪, হাদীছ নং ২২৯৬ ও আরো অনেক সূত্র।
১৯. আর-রিয়াউন্ নায্রাহ্, ১ম খণ্ড/ ১৬৮ এবং ইতিপূর্বে উল্লিখিত সূত্রসমূহ।
২০. ত্বাবাক্বাত, ৩য় খণ্ড, ক্বাফ ২/ ১৪৫; ইবনে ‘আসাকের ঃ তাহ্যীব, ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ৯০; কানযুল ‘উম্মাল, ৩য় খণ্ড/১৩৪, হাদীছ নং ২২৯৬; সীরাতে হালাবী, ৩য় খণ্ড/ ৩৯৭।
২১. ‘ইক্বদুল ফারীদ, ৩য় খণ্ড, ৬৪; আনছাবুল্ আশরাফ, ১ম খণ্ড/ ৫৮৮।
২২. মুরূজুয্ যাহাব, ১ম খণ্ড/ ৪১৪, ২য় খণ্ড/ ১৯৪।
২৩. ‘ইক্বদুল ফারীদ, ৩য় খণ্ড/ ৬৪।
২৪. ৩য় খণ্ড, ক্বাফ ২/ ১৪৫; ইবনে কুতাইবাহ্ ঃ আল্-মা‘আরেফ, পৃঃ ১১৩।
২৫. উস্দুল গ¦াবাহ্, সা‘দ্ বিষয়ক আলোচনা; ইস্তি‘আব, ২য় খণ্ড/ ৩৭।
২৬. আল্-ইমাম ‘আলী বিন্ আবী ত্বালিব, ১ম খণ্ড/ ৭৩।
২৭. যেমন ঃ ত্বাবারী, ইবনে আছীর ও ইবনে কাছীর।
২৮. যেমন ঃ মুহিব্বুদ্দীন ত্বাবারী তাঁর “রিয়াযুন্ নায্রাহ্” গ্রন্থে ও ইবনে আব্দুল্ বার তাঁর “আল্-ইস্তি‘আব্” গ্রন্থে।
২৯. সা‘দ যে আবু বকরের অনুকূলে বাই‘আত হন নি এ ঘটনা ইবনে সা‘দ, ইবনে জারীর, ইবনে কুতাইবাহ্, বালাযুরী, ইবনে হাজার, ইবনে আছীর, ইবনে আবদু রাব্বিহ্, ইবনে আবদুল্ বার, ইবনে আবদুল হাদীদ প্রমুখ ১৪ জন বিখ্যাত ইতিহাসকার উল্লেখ করেছেন।
৩০. ত্বাবারী, ইবনে আছীর ও ইবনে কাছীর কর্তৃক সাক্বীফাহ্র ঘটনার বর্ণনা দ্রষ্টব্য।
৩১. তাঁর সফরের বিবরণ দেখুন ঃ ‘ইক্বদুল্ ফারীদ,৩য় খণ্ড/ ৬২; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩০।
৩২. বানী তীম্ বিন্ র্মারাহ্ আবু বকরের গোত্র ও বানী ‘আদী ওমরের গোত্র।
৩৩. তারীখে ইয়াকুবী, ২য় খণ্ড/ ১০৫; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ৬ষ্ঠ খণ্ড/ ৭।
৩৪. ২য় খণ্ড/ ৪৪৯।
৩৫. র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ১৩০ (জাওহারীর সাক্বীফাহ্ থেকে উদ্ধৃত)।
৩৬. আনছাবুল আশরাফ, ১ম খণ্ড/ ৫৮৯/; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ১ম খণ্ড/ ৫২।
৩৭. ত্বাবারী, ৩য় খণ্ড/ ২০২।
৩৮. লিসানুল মীযান, ৪র্থ খণ্ড/ ৩৮৪ ও অন্যান্য সূত্র।
৩৯. তাহ্যীবুত্ তাহ্যীব্, ১০ম খণ্ড/ ৮৯।
৪০. ছিফফীন, পৃঃ ৪৯; আল্-‘ইক্বদুল ফারীদ, ৩য় খণ্ড/ ১৩; র্শাহে নাহ্জুল্ বালাগ¦াহ্, ২য় খণ্ড/ ২২১।
৪১. আল্-‘ইক্বদুল ফারীদ, ৩য় খণ্ড/ ৬২।
৪২. ২য় খণ্ড/ ৪৪৯।
চলবে.......।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিল ইন্ডিয়ান 'র'-এর এজেন্ট

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২



জেনারেল রাও ফরমান আলী ছিল ইন্ডিয়ান 'র'-এর একজন এজেন্ট। এই তথ্য কেউ জানতো না। তার ফ্যামিলিও জানতো না। ১৯৪১ সালে বর্ডার ক্রস করে সে ঢুকেছিল পাকিস্তান। তারপর আস্তে আস্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×