somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আব্দুল্লাহ ইবনে সাবাহ ও তার কল্প কাহিনী

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের লেখার লিঙ্কঃ
Click This Link

যিয়াদের জন্মপরিচয় সংশোধন
আবূল্ মুগ¦ীরাহ্ যিয়াদের মায়ের নাম ছিলো সুমাইয়্যাহ্। সুমাইয়্যাহ্ ছিলো জনৈক পারসী গ্রামবাসীর দাসী। উক্ত গ্রামবাসী স্বীয় রোগমুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে সুমাইয়্যাহ্কে তার চিকিৎসকের হাতে অর্পণ করে। এ চিকিৎক ছিলেন ছাক্বাফী গোত্রের লোক এবং তাঁর নাম ছিলো র্হাছ্ বিন্ কাল্দাহ্। র্হাছের ঔরসে সুমাইয়্যাহ্র গর্ভে দু’টি সন্তান জন্মগ্রহণ করে যাদের নাম ছিলো নাফী‘ ও নাফে‘। এরপর র্হাছ্ তাকে স্বীয় রোমান দাস ‘উবাইদের সাথে বিবাহ দেন। এ সময় আবু সুফিয়ান তায়েফ গমন করে এবং স্বীয় যৌন প্রয়োজন নিবৃত্তির লক্ষ্যে একজন নারী যোগাড় করে দেয়ার জন্যে সেখানকার পানশালা মালিক আবু র্মাইয়াম সুলূলীকে বলে। আবু র্মাইয়াম্ সুমাইয়্যাহ্কে আবু সুফিয়ানের নিকট সরবরাহ করে। এর ফলে সুমাইয়্যাহ্ গর্ভবতী হয় যদিও সে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘উবাইদের স্ত্রী ছিলো। যথা সময়ে সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে; তার নাম রাখা হয় যিয়াদ। এটা হিজরী প্রথম বর্ষের ঘটনা।
হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) তায়েফ অবরোধ করলে নাফী‘ তায়েফ থেকে পলায়ন করেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর নিকট আসেন ও ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) তাঁকে আযাদ করে দেন এবং তাঁকে “আবু বাক্রাহ্” ডাকনাম প্রদান করেন। র্হাছ্ এ থেকে ভয় করতে লাগলো যে, নাফে‘-ও হয়তো পালিয়ে হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর নিকট চলে যেতে পারে। তাই সে নাফে‘কে স্বীয় সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং নাফী‘কে “মাওর্লা রাসূল্” অর্থাৎ “রাসূলের (আযাদকৃত) গোলাম”, নাফে‘কে “ইবনুল্ র্হাছ্” (র্হাছের পুত্র) এবং যিয়াদকে “ইবনে ‘উবাইদ্” (‘উবাইদের পুত্র) খেতাব প্রদান করে। পরবর্তী কালে আবু সুফিয়ানের পুত্র আমীর মু‘আবিয়াহ্ যিয়াদকে নিজের দলে ভিড়িয়ে নেয়ার পর তাকে “যিয়াদ বিন্ আবু সুফিয়ান” (আবু সুফিয়ানের পুত্র যিয়াদ) নামে অভিহিত করেন।
এই হচ্ছে যিয়াদের জন্ম ও পরিচিতির ঘটনা এবং বানী উমাইয়াহ্ শাসনের শেষ পর্যন্ত যিয়াদকে যিয়াদ বিন্ আবু সুফিয়ান বলেই অভিহিত করা হতো। এরপর বানী উমাইয়াহ্র পতন ও আব্বাসীদের ক্ষমতায় আরোহণের পর যিয়াদের পিতৃপরিচয়ের অনিশ্চয়তা তথা সে যে তার মায়ের স্বামীর সন্তান নয় এটা বুঝাবার লক্ষ্যে তাকে “যিয়াদ বিন্ আবীহ্” (তার পিতার পুত্র যিয়াদ) বলে উল্লেখ করা হতো। আবার কখনো বা তার মায়ের সাথে সম্পর্ক নির্দেশ করে তাকে “যিয়াদ বিন্ সুমাইয়াহ্” (সুমাইয়াহ্র পুত্র যিয়াদ) বলে উল্লেখ করা হতো।১
সাইফের রেওয়াইয়াতে যিয়াদের নসবনামা
সাইফ যিয়াদের এ লজ্জাজনক পরিচয় এবং সেই সাথে আমীর মু‘আবিয়াহ্র লজ্জা (তাঁর পিতার কর্মকাণ্ডজনিত) দূর করার চেষ্টা করেছে। ত্বাবারী২ হিজরী ২৩ সালের ঘটনাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে সাইফ থেকে যে রেওয়াইয়াত উদ্ধৃত করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে, ‘আনযাহ্ গোত্রের এক ব্যক্তি ওমরের নিকট আবু মূসার৩ বিরুদ্ধে এই বলে অভিযোগ করে যে, তিনি তাঁর কাতেব যিয়াদ বিন্ আবু সুফিয়ানের ওপর একটি কাজ অর্পণ করেছেন।
সাইফ কর্তৃক এ রেওয়াইয়াত বর্ণনার পিছনে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশল নিহিত রয়েছে। সে দেখাতে চেয়েছে যে, আমীর মু‘আবিয়াহ্ কর্তৃক যিয়াদকে নিজের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার বহু পূর্বেই যিয়াদ “যিয়াদ বিন্ আবু সুফিয়ান” নামে পরিচিত ছিলো এবং এ কারণেই ‘আন্যী লোকটি যখন ওমরের নিকট তাকে যিয়াদ বিন্ আবু সুফিয়ান বলে উল্লেখ করে তখন ওমর তার এ উল্লেখকে ভুল বলে অভিহিত করেন নি। সাইফ তার উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ রেওয়াইয়াতকে একইভাবে সুকৌশলে এগিয়ে নেয়।
সাইফের দাবী অনুযায়ী, এ অভিযোগের পর খলীফাহ্ ওমর যিয়াদকে তলব করেন এবং জিজ্ঞেস করেন ঃ “তুমি প্রথম যে দান গ্রহণ করেছো তা কী কাজে ব্যয় করেছো?” জবাবে যিয়াদ বলে ঃ “প্রথমতঃ আমার মাকে ক্রয় করেছি ও আযাদ করেছি, দ্বিতীয়তঃ আমার পালক ‘উবাইদকে ক্রয় করেছি ও আযাদ করেছি।”
সাইফ এভাবে বুঝাতে চেয়েছে যে, মু‘আবিয়াহ্ যিয়াদকে ভাই বলে অভিহিত করায় সাধারণ মুসলিম জনগণের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমালোচনা আছে তা যুক্তিসঙ্গত নয়, বরং যিয়াদ প্রকৃতই আবু সুফিয়ানের পুত্র ছিলো; ‘উবাইদ তাকে লালন-পালন করেছে মাত্র এবং এ কারণেই ওমরের যুগেও সে আবু সুফিয়ানের পুত্র হিসেবে পরিচিত ছিলো।
সাইফের রেওয়াইয়াতের সনদ
সাইফ তার রেওয়াইয়াতের সূত্র হিসেবে মুহাম্মাদ, ত্বাল্হাহ্ ও মুহাল্লাবের নাম উল্লেখ করেছে। সাইফের বর্ণিত রেওয়াইয়াত সমূহে মুহাম্মাদ বলতে মুহাম্মাদ বিন্ আবদুল্লাহ্ বিন্ সাওয়াদ্ বিন্ নুওয়াইরাহ্কে বুঝানো হয়েছে। তারীখে ত্বাবারীতে এ বর্ণনাকারী থেকে ২১৬টি রেওয়াইয়াত উদ্ধৃত হয়েছে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক হাদীছ বর্ণনাকারী এ ব্যক্তির নাম অন্য কোনো গ্রন্থেই উল্লিখিত হয় নি। কেবল “আকমাল” গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, সাইফ তার কাছ থেকে রেওয়াইয়াত করেছে। অর্থাৎ তিনিও কেবল সাইফের রেওয়াইয়াতেই তার নাম দেখতে পেয়েছেন, অন্য কোথাও নয়।
আর সাইফের রেওয়াইয়াতে ত্বাল্হাহ্ নামে দুই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। একজনের মূল নাম আবু সুফিয়ান; তাকে ত্বাল্হাহ্ বিন্ আবদুর রহমান নামে অভিহিত করা হয়। কিন্ত সনদ বিষয়ক গ্রন্থাবলীতে তার নাম উল্লিখিত হয় নি। দ্বিতীয় ব্যক্তি ত্বাল্হাহ্ বিন্ আল-আ‘লাম্ হানাফী। বলা হয় যে, সে রেই শহরের৪ জিয়ান পল্লীর অধিবাসী ছিলো। প্রশ্ন হচ্ছে, এখানে সাইফ কাকে বুঝিয়েছে?
সাইফের রেওয়াইয়াত সমূহে মুহাল্লাব বলতে মুহাল্লাব বিন্ ‘উক্ববাহ্ আসাদীকে বুঝানো হয়। তারীখে ত্বাবারী অনুযায়ী সাইফ তার নিকট থেকে ৬৭টি রেওয়াইয়াত গ্রহণ করেছে। কিন্তু সনদ পরিচিতি বিষয়ক গ্রন্থাবলীতে এ বর্ণনাকারীর নামোল্লেখ নেই।
সাইফ ব্যতীত অন্যান্যের বর্ণনা
দাইনাওয়ারী৫ একই ঘটনা এভাবে বর্ণনা করেন ঃ “আবু মূসা দেখলেন যে, ছাক্বাফীর গোলাম যিয়াদ বিন্ ‘উবাইদের মধ্যে যথেষ্ট উত্তম গুণাবলী রয়েছে। তার বিচারবুদ্ধি ও আদব-কায়দা তাঁর পসন্দ হলো। তাই তিনি তাকে স্বীয় কাতেব হিসেবে নিয়োগ করেন। সে কিছুদিন তার সাথে থেকে কাজ করে। এর আগে সে মুগ¦ীরাহ্র অধীনে চাকরি করেছিলো।”
ইবনে আবদুল বার বলেন৬ ঃ মু‘আবিয়াহ্র সাথে যোগ দেয়ার আগে তাকে যিয়াদ বিন্ ‘উবাইদ্ ছাক্বাফী বলা হতো। আরো বর্ণিত হয়েছে যে, যিয়াদ তার পিতা ‘উবাইদকে এক হাজার দীনার দিয়ে ক্রয় করে আযাদ করে। (বর্ণনাকারী বলেন ঃ) আল্লাহ্ তা‘আলার পসন্দনীয় এ কাজের জন্যে আমরা তার প্রতি ঈর্ষা পোষণ করতাম।
একই গ্রন্থে আরো বলা হয়েছে৭ ঃ ওমরের উপস্থিতিতে যিয়াদ যে ভাষণ দেয় শ্রোতাদের দৃষ্টিতে তা ছিলো নযীর বিহীন। ‘আম্র্ বিন্ আল্-‘আছ্ বলেন ঃ “আল্লাহ্র শপথ, এ ছেলেটি যদি কুরাইশ বংশের হতো তাহলে আরবদেরকে স্বীয় যষ্টি দ্বারা তাড়িয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতো।” আবু সুফিয়ান বলেন ঃ “আল্লাহ্র শপথ, এই ছেলেটি যে পিতার ঔরসে জন্ম নিয়েছে আমি তাকে পুরোপুরি চিনি।” আলী ইবনে আবি তালেব বলেন ঃ “সে কে, আবু সুফিয়ান?” আবু সুফিয়ান বলেন ঃ “আমি নিজে।” আলী বলেন ঃ “ওহে আবু সুফিয়ান! থামো।” আবু সুফিয়ান বলেন ঃ “আল্লাহ্র শপথ, হে আলী, এই মজলিসে উপস্থিত আমার দুশমনদের একজন আমাকে দেখতে পাচ্ছে; আমি যদি তার ভয় না করতাম তাহলে অবশ্যই তার ব্যাপারের ওপর থেকে একটি পর্দা সরিয়ে দিতাম যার ফলে সবাই জানতে পারতো যে, এই বাগ্মিতা যিয়াদের নিজের নয়।”
“আল্লাহর শপথ, যদি না থাকতো এক ব্যক্তির ভয়
আমার শত্র“দের মধ্য থেকে যে আমাকে দেখছে, হে আলী
অবশ্যই প্রকাশ করতাম তার ব্যাপার প্রস্তরের নীচ থেকে
আর এ বাগ্মিতা নহে যিয়াদের থেকে।”
মু‘আবিয়াহ্র বংশধারার সাথে যিয়াদের যুক্ত হওয়ার ঘটনা নিম্নোক্ত ঐতিহাসিকগণ উদ্ধৃত করেছেন ঃ ইবনে আছীর Ñ হিজরী ৪৪ সালের ঘটনাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে; ইবনে আবদুল্ র্বা Ñ আল্-ইস্তি‘আবে, যিয়াদের পরিচিতি প্রসঙ্গে; ইয়াকূবী তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে (২য় খণ্ড/ ১৯৫); মাস‘উদী Ñ মুরূজুয্ যাহাব্ (২য় খণ্ড/ ৫৪); সুয়ূতী তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে Ñ হিজরী ৪১ সালের ঘটনাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে; ইবনে কাছীর (৮ম খণ্ড/ ২৮); আবূল ফিদা (পৃঃ ১৯৪); ত্বাবারী তাঁর ইতিহাস গ্রন্থে (৪র্থ খণ্ড/ ২৫৯, ৩৩৪, ৩৩৫); ছহীহ্ মুসলিম (১ম, ৫ম ও ৭ম খণ্ড); উস্দুল্ গ¦াবাহ্ ও আল্-ইছাবাহ্ Ñ যিয়াদের পরিচিতি; ইবনে ‘আসাকের (৫ম খণ্ড/ ৪০৯-৪২১) প্রভৃতি।
উপসংহার
সকল ঐতিহাসিক ও বংশধারা (নসবনামা) বিষয়ক বিশেষজ্ঞের অভিন্ন মত অনুযায়ী রোমান বংশোদ্ভূত ক্রীতদাস ‘উবাইদের চরিত্রহীনা স্ত্রী সুমাইয়াহ্র গর্ভে আবু সুফিয়ানের ঔরসে যিয়াদের জন্ম হয়। আবু সুফিয়ান তায়েফ গিয়ে সেখানকার পানশালা মালিক আবু র্মাইয়াম সুলূলীর নিকট একজন পতিতা চাইলে সে সুমাইয়াহ্কে সরবরাহ করে। আবু সুফিয়ান ওমরের মজলিসে আলীর নিকট একটি গোপন কথা বললেও ওমরের ভয়ে তা প্রকাশ্যে বলে নি। মু‘আবিয়াহ্ যিয়াদকে নিজের বংশের সাথে যুক্ত করে পরিচিত করার আগে সে ‘উবাইদের সন্তান হিসেবে পরিচিত ছিলো, কিন্তু মু‘আবিয়াহ্র এ কাজ সঠিক ছিলো না বিধায় স্বয়ং বানী উমাইয়াহ্র লোকেরাও তাঁর এ দাবী অস্বীকার করতো।
এ ব্যাপারে কবিতাও রচিত হয়েছে এবং ফকীহ্গণ মু‘আবিয়াহ্র এই বলে সমালোচনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর হুকুমের বিপরীত কাজ করেছেন। কারণ, তিনি এরশাদ করেছেন ঃ “সন্তান বিছানার৮ এবং যেনাকারীর জন্যে প্রস্তর৯।”
সকল ঐতিহাসিক একমত যে, যিয়াদকে কেবল বানী উমাইয়াহ্র শাসনামলে আবু সুফিয়ানের সন্তান বলে উল্লেখ করা হতো, তার আগে বা পরে নয় এবং বানী উমাইয়াহ্র শাসনের বিলুপ্তির পর তাকে কখনো ‘উবাইদের পুত্র হিসেবে ও কখনো সুমাইয়াহ্র পুত্র হিসেবে উল্লেখ করা হতো। কিন্তু সাইফ ওমরের নিকট অভিযোগের নামে একটি রেওয়াইয়াত তৈরী করে দেখাবার চেষ্টা করেছে যে, বানী উমাইয়াহ্র ক্ষমতায় আসার পূর্বেও যিয়াদ আবু সুফিয়ানের পুত্র বলে পরিচিত ছিলো। অথচ এই ওমরেরই ভয়ে আবু সুফিয়ান সত্য প্রকাশ করতে এবং যিয়াদকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতে সাহস করে নি। অন্যদিকে যিয়াদ স্বয়ং ‘উবাইদকে তার ‘মায়ের স্বামী’ বলে উল্লেখ করেছে। শুধু তা-ই নয়, মু‘আবিয়াহ্র সাথে যোগ দেয়ার পরে যিয়াদ শামে যে বক্তৃতা করে, ইয়াকূবীর উদ্ধৃতি অনুযায়ী১০, তাতে সে বলে ঃ “উবাইদ ছিলেন আমার উত্তম পিতা এবং আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সাইফ মিথ্যা রচনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুদক্ষ ছিলো এবং সূক্ষ্ম বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে।
পাদটীকা ঃ
১. ইবনে আছীর ঃ তারীখে কামেল, হিজরী ৪৪ সালের ঘটনাবলী বর্ণনা প্রসঙ্গে,; আল-ইস্তি‘আব্, ১ম খণ্ড/ ৫৪৮-৫৫৫; আল-ইছাবাহ্, ১ম খণ্ড/ ৫৬৩।
২. ৩য় খণ্ড, পৃঃ ২৫৯।
৩. আবু মূসা আশ্‘আরী Ñ হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর ছাহাবী। খলীফাহ্ ওমর তাঁকে বসরার প্রশাসক নিয়োগ করেন। ছিফফীনের যুদ্ধে হযরত আলী (আঃ)-এর পক্ষ থেকে সালিস ছিলেন।
৪. এক সময় রাজধানী ছিলো; বর্তমানে তেহরানের অন্তর্ভুক্ত।
৫. আল্-আখবারুত্ তাওয়াল্, পৃঃ ১৪।
৬. ইস্তি‘আব, ১ম খণ্ড, পৃঃ ৫৪৮।
৭. পৃঃ ৫৪৯।
৮. অর্থাৎ যে পরিবারে তার জন্ম হবে সে পরিবারের তথা জন্মদাত্রী নারীর স্বামীর সন্তান বলেই পরিচিত হবে এমন কি সে অন্য পুরুষের ব্যভিচারের ফসল হলেও।
৯. অর্থাৎ প্রস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড (সঙ্গে সার)।
১০. ২য় খণ্ড/ ১৯৫।

চলবে..............
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×