somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক আধুনিক কলম যাদুকরের অকাল প্রস্থান ----ইমন যুবায়ের এর জন্য শোক গাথা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগ কি ? কিভাবে লিখতে হয় ? একটা ব্লগ কিভাবে কালোত্তির্ণ হতে পারে ? এ সকল প্রশ্নের উত্তর একজন মাত্র ব্লগারের ব্লগ পড়ে উত্তর দেয়া সম্ভব ছিল ।। কী ছিলনা তার ব্লগে ? সাহিত্য,ইতিহাস, মানচিত্র,অর্থনীতি, খেলা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ইস্যু পর্যন্ত তার ব্লগে ঠাই পেত। এই ব্লগে আমার ব্লগীন জীবন প্রায় পাচ বছর হলো,খুব নিয়মিত লিখতে পারিনি কখনোই।। তবে পড়ে গেছি সকল সময়। নিরন্তর পড়ার জন্য এই ব্লগের প্রতি আমার যে আকর্ষণ তার একটি বড় কারণ ছিল----ইমন যুবায়ের। এ শুধু আমার কথা নয় বোধ করি এ ব্লগের হাজারো পাঠক এই একই কথা বলবেন।। প্রকৃত পক্ষে ইমন যুবায়ের একটি সমুদ্রের নাম যার পানিতে স্নাত করে আমরা ধন্য হতাম। এ কথা বলতে আমার মোটেও দ্বিধা নেই যে, চলমান অনেক জনপ্রিয় লেখকের থেকে যে কোন অংশে কম ছিলেন না ---ইমন জুবায়ের। বড় অসময়ে ৩রা জানুয়ারী ২০১৩ -তে এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আধূনিক ঘরানার এই কলম যাদুকর। ছোট গল্প লিখে গেছেন নিজের ষ্টাইলে, নিজের মত করে। ব্লগের গল্প যে এতটা উচ্চমানের সুখ পাঠ্য হতে পারে তা উনার লেখা না পড়লে বোঝা যাবে না ।

প্রতিযোগীতার এই যুগে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মানুষ খুব কম-ই পাওয়া যায়। ব্লগে যারা লিখে থাকেন তারা ১০০% মনের তাগিদেই লিখে থাকেন। ইমন ভাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন সময় অনেক পরিশ্রমী পোষ্ট দিয়ে গেছেন যেগুলির সাহিত্যমান বা উপযোগীতা অনেক বেশী। নিজে ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন বলে কিনা জানিনা ইতিহাস মূলক লেখায় ইমন ভায়ের অসাধারণ দক্ষতা ছিল। কালের গর্ভ থেকে ইতিহাস কে ব্লগের ফরম্যাটে তুলে আনতে পারতেন অবলীলায়। শুধু ইতিহাস কেন যখন তিনি ক্রিকেট নিয়ে লিখেছেন তখন উনাকে পুরাদস্তর ক্রিকেট বোদ্ধা বলেই মনে হয়েছে। আসলে ইমন ভাই ছিলেন--এই সময়ের একজন উন্নত সব্যসাচী লেখক।

আমার একান্ত একটা ব্যক্তিগত অনুভুতির কথা বলি----হুমায়ূন আহমেদ যেদিন মারা যায় সেদিন যখন আমার বুকে হাহাকার হয়েছিল- আমি এখন কার গল্প পড়ে আনন্দ পাবো??? সেদিন সত্যি যার নাম প্রথম মনে করে আমার এ মন স্বান্তনা পেয়েছিল সে এই ইমন যুবায়ের আমাদের খুব কাছের ইমন ভাই!!!!!!! আজ ইমন ভাই-ও নেই ! বাংলা ভাষার পাঠক কূল -এর জন্য এক ক্রান্তি কাল বৈকি ।

লেখার ইচ্ছে ছিল অনেক কিছুই, কিন্তু আমার সমস্ত ভাবনা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে ইমন ভায়ের অস্তিত্বে।

সবশেষে উনার আত্বার শান্তি কামনা করি।।।।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×