![]()
আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই দেশের মধ্যে বিএনপি জামাত এক বিধ্বংসী পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। প্রায় ৪১ জন লোকের প্রাণহানি সহ অসংখ্য লোক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংস হয়েছে সকল অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপকরণ। ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্থসহ দেশের চলমান উন্নয়নকে করেছে ত্বরান্বিত। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছিল আজ তাহা অনুন্নত ও জঙ্গি রাষ্ট্রের দিকে অবস্থান নিয়েছে। তাই বাংলার সাধারণ মানুষ চিন্তিত ও শঙ্কিত। কারণ এখন এ দেশের মানুষ নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে।
দেশের অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য এ সরকারের অনেক রেকর্ড আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভার নির্বাচন। কিন্তু আজ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার যে সচ্ষ্টে তাহা বিরোধী দল কোনমতে বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ অতীতে তাদের মধ্যে অনেক খারাপ রেকর্ড আছে এ নির্বাচনকে ঘিরে।
জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রকে সচল করতে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের অংশ গ্রহণের জন্য ঘোষণা করে। ফলে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার প্রধানের মধ্যে তারা নিয়োজিত আছে। এ অবস্থা দেখে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীদের মাথায় বজ্র পড়ে। আর সেখান থেকেই তারা দেশের মধ্যে নাশকতার পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং এরফলে অনেক জনজীবন নষ্ট হয়েছে । এছাড়া অনেক লোক আজ হাসপাতালে দূর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ভারতে সফরের পর এরশাদ সাহেবের সাথে দেখা করে। বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানা গেছে তিনি নাকি ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেছেন। তবে কতটা সত্য সেটা জানা যায়নি। এখন প্রধান বিষয় হলো তিনি বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির সাথে কি বলছেন কেউ জানে না। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, তিনি এরশাদের সাথে এ দেশের সরকারের প্রতি ভারত সরকারের বিরোধী মনোভাব ও নির্বাচন সংক্রান্ত নেগেটিভ কথা বলে ও ভবিষ্যতে এরশাদের বিপদ সংকুলের সম্ভাবনার দিক উল্লেখ করে তার মাথা ওয়াশ করে। ফলে এরশাদের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এবং তারই ফল স্বরূপ এরশাদের এই পাগলামী।
এছাড়া এরশাদ স্বিকার করছেন তিনি নাকি বিভিন্ন চাপে আছেন। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে বিএনপির উল্লেখযোগ্য কিছু নেতা তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া জামাত শিবিরের জঙ্গিরা তাকে হুমকি দিয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। এসব পরিস্থিতিতে এরশাদের মনোভাবকে নষ্ট করেছে। তবে এখনো বলা যাচ্ছে না তার এটা শেষ সিদ্ধান্ত কি না? এখনো তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের সময় ফুরিয়ে যায়নি। আশা করি অবশ্যই ফিরে আসবেন।
সবাই চাই এরশাদ তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সাংবিধানিক ও গণতন্ত্রকে উজ্জিবীত করুক। দেশের চলমান সার্বিক উন্নয়ন ফিরে আসুক। গণতন্ত্রের হাত শক্তিশালী হয়ে উঠুক ইহায় সকলের প্রত্যাশা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




