মুক্তিযুদ্ধের বই
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতীয় চেতনার মহান কবি, মহাকালের মহামানব। তিনি জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত। তাঁর জীবনদর্শন ও বেড়ে ওঠা যে-কোনো বাঙালির কাছেই ঈর্ষণীয়। ইতিহাস তাঁকে মহান করেছে মহত্বের জন্য, সর্বজনীন আদর্শ ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার দৃঢ়তায়। তাঁকে নিয়ে যে-কোনো ধরনের বিরূপ মন্তব্য নিজের গালে নিজেরি চপেটাঘাতের মতো। তবে তাঁকে অথবা যে-কোনো আদর্শকে স্বীকার করে নিয়ে তার ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা যেতে পারে, এতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন একজন সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা হয়, অথবা তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিকজীবনকে আলোচনায় না-এনে ঢালাওভাবে অন্য একজনকে হঠাৎ করে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চলে। এটি নির্লজ্জতা, জাতির সঙ্গে চরমতম বিশ্বাসঘাতকতা। যদিও বাঙালির এ-দুটি স্বভাবই বেশ প্রখর ও টনটনে। সে-কারণে আমাদের গ্রহণ ও ত্যাগের তান্ত্রিকতা এককথায় আধুনিক নয়, কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি অর্থাৎ আমি ভালোবাসি আমার দেশকে, আমার ভাষাকে, আমার এতদঞ্চলের মানুষকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভালোবাসতেন তার দেশকে, তার ভাষাকে, দেশের মানুষকে। এই মহান মানুষকে নিয়ে আমাদের দেশের নানা মতাদর্শের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত লেখার একটি ক্ষুদ্র সমন্বয়-সমগ্র স্বাধীনতার ঘোষক, সংবিধান এবং বঙ্গবন্ধু। শিরোনামের কারণেই এখানে বিষয়ভিত্তিক লেখাও রয়েছে, আছে বাঙালির আত্মানুসন্ধানের প্রকৃত ইতিহাসও।
স্বাধীনতার ঘোষক, সংবিধান এবং বঙ্গবন্ধু; সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০০৯; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা; মূল্য : ২০০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/17894
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন; যে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা থেকে শিশুপুত্র রাসেলও রেহায় পায়নি, রেহাই পায়নি অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মকর্তা ও অন্যসব আত্মীয়জনও। এই নিদারুণ, হৃদয়বিদারক ও মারাত্মক হত্যাকাণ্ডকে আমরা কি বলবো? মর্মন্তুদ মৃত্যুযন্ত্রণা ছাড়া! নাকি এটি বাঙালি জাতীয় চেতনার এক ভয়ানক-বীভৎস ধ্বংসমুহূর্ত, যে-মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে এখনো আমরা মুক্ত নই, মুক্ত নই স্বদেশচিন্তার সম্পূর্ণ স্বাধীনতাচর্চা থেকেও, যে-কোনো মুহূর্তে না ঘাতক দালাল-আলবদর-আলসামসরা সংগঠিত হয়ে আক্রমণ চালায় জঙ্গিবাদের উদরপূর্তির জন্যে। তা ছাড়া আমরা নিরাপদ নই সামরিক জান্তার আগ্রাসী ও লোভাতুর দৃষ্টি থেকেও এবং তা প্রতিনিয়তই আমাদের আতঙ্কিত করে তোলে-ঘুম ভেঙে জাগিয়ে দেয় নতুন এক মৃত্যুভাবনায়-ব্যক্তিমানুষের, রাষ্ট্রের, কখনো-বা আজন্ম যত্নে লালিত স্বপ্নযাত্রার। বঙ্গবন্ধুর সরলতা, সাধারণ বিশ্বাস এবং মানুষকে ভালোবাসার অগাধ আস্থাই হয়তো এ-ঘটনাকে অনেকাংশে প্রস্তুত হতে সাহায্য করেছিল, নাকি সাহায্য করেছিল যারা তাজউদ্দিন-কে ক্ষমতার উচ্চাসন থেকে সরিয়ে দিয়ে খন্দকার মোস্তাক-কে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিল? কিন্তু তাঁর মতো অতো বড় মনের, অতো বড় রাজনীতিবিদ এবং অতো বড় মানুষ কি আমরা এ-অঞ্চলের বাঙালি-বাংলাদেশী জনগণ আর কখনো পাবো?
১৫ আগস্ট : মর্মন্তুদ মৃত্যুচিন্তা : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১০; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা; মূল্য : ২০০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/17890
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা : বড় মানুষ হতে হলে, বড় মন লাগে। শেখ মুজিবুর রহমান-এর সেই বড় মন ছিল। আর ছিল বলেই তাঁর আশ-পাশেই বেইমান, বিশ্বাসঘাতক-মীরজাফরেরা আস্তানা গড়ে তুলতে পেরেছিল; রাতের গোপন আঁধারে আপাতসংগঠিত শক্তির কাছে সপরিবারে নিহত হন এবং ন্যাক্কারজনকভাবে সেইসব কুচক্রী সেনা-সদস্য ও মাথা নত করানোর বহিরাগত শক্তির দ্বারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। আর এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার পিতৃতুল্য মহামানব বাংলার অবিসংবাদিত মহানায়ককে খুবই দুঃখজনকভাবে হারিয়েছিল। দেশপ্রেমিক জনগণ ঐসব ঘাতক-খুনিদের কখনোই ক্ষমা করতে পারে না, ক্ষমা করতে পারে না-তাদের স্বকৃত খুনি ঘোষণাকেও। বাঙালি জাতির আরেক কলঙ্কিত অধ্যায় ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি-যা বাতিলের মধ্য দিয়ে সেইসব আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় শত বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে দাঁড় করিয়েছে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হয়েছে। আর এই ঐতিহাসিক রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি তার কলঙ্কজনক একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি দেখতে পেয়েছে। এখন যতশীঘ্র সম্ভব বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা; যার মধ্য দিয়ে এই মর্মন্তুদ ঘটনার বিচারের আপাত পরিসমাপ্তি ঘটবে। তবু ক্ষত থেকে যাবে অনাদিকাল-প্রতিজন বাঙালি অন্তরেই।
ফিরে দেখা ১৫ আগস্ট : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা, ফেব্রুয়ারি ২০১১; প্রকাশক : কথাপ্রকাশ; প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ; মূল্য : ২০০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/496
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কয়েকজন অবিসংবাদিত নেতা ও রাজনীতিবিদ বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং যাঁদের স্মরণ করে আমরা কৃতার্থ ও ধন্য হই। এর মধ্যে শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষভাবে স্মর্তব্য। কিন্তু যে-কথা বলা দরকার, তা হলো-ইতিহাস অনুসন্ধানে এই চার নেতার মধ্যে প্রথম তিনজনের অবদানকে খাটো না-করেই কিছু-না-কিছু প্রশ্ন তোলা যায়, তাদের কর্তব্য-পরায়ণতা এবং দেশ ও মানুষের পক্ষে নীতি-নির্ধারণী অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে। কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে একজন মাত্র মানুষ, যিনি দেশ ও জনগণের সঙ্গে কোনোদিন কোনো বিষয়ে কোনো প্রকার বেইমানি করেননি-তাঁর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে আজীবন রাজনীতি ও সংগ্রাম করে গেছেন। বাহাত্তরে ক্ষমতায়নের পরে প্রশাসনিক স্তরে বেশকিছু দুর্বলতা ও স্বজনদের সুপথে নিয়ন্ত্রণে কিছুটা ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হলেও, তিনি কখনো বেইমানদের সঙ্গে হাত মেলাননি, আঁতাত করেননি কোনো দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গেও। এই সমগ্র জায়গায় তিনি বাংলার মহানায়ক ও অবিসংবাদিত নেতা। তাঁকে ঘিরেই এ গ্রন্থ হীরকজৌতি ছড়িয়েছে।
বাংলার অবিসংবাদিত মহানায়ক : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১১; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা; মূল্য : ২৪০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/17909
দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ যুদ্ধে অনেক কালো দিন, অনেক কালো রাতের দেখা মিলেছে। শেষ পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার একরাশ রোদ এসে আলোকিত করে পুরো জাতিকে। জন্ম হয় বাংলাদেশের, নবজন্ম লাভ করে এ অঞ্চলের গণ-মানুষের অগ্রযাত্রা। এই স্বাধীনতাকে যিনি তিলে তিলে সম্পূর্ণতার আকরে গড়ে তুলেছেন, সহস্র বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতিকে যিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তাঁকে ঘিরেই বরং রচিত হয়েছে বাঙালির জীবনের সবচেয়ে দুর্দিনটি। সে দিনটির নাম জাতীয় শোক দিবস। তারিখ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। রক্তনদী বেয়ে নেমে আসা দুঃসময়...
শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের মর্মন্তুদ মৃত্যুযন্ত্রণার কথা-ইতিহাস সঠিক তথ্যে ও নির্ভুল বানানে কথা বলে উঠেছে এ-গ্রন্থে।
১৫ আগস্টের শোকগাথা : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১২; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : তৌহিন হাসান; মূল্য : ২০০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/12023
বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাসে ১৬ ডিসেম্বরের সঙ্গে তুলনীয় একটি দিনও নেই। কেননা, ১৯৭১ সালের আগে জাতি হিসেবে আত্ম-অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরল অভিজ্ঞতা বাঙালি আর আস্বাদন করেনি। কখনো স্বাধীনতার বিভ্রম দেখা দিলেও পরক্ষণেই তা মায়া-মরীচিকা বলেই প্রতিভাত হয়েছে। শাসনের দণ্ড হস্তান্তর ছাড়া সে ঘটনাগুলোর বিশেষ তাৎপর্য জাতি অনুভব করেনি। দীর্ঘ অতীতজুড়ে বিদেশি শাসকের পদানত বাঙালির কাছে তাই স্বাধীনতা শব্দের প্রধান অর্থ-পরাধীনতা থেকে মুক্তি। পরাধীনতার বিপরীত শব্দ স্বাধীনতা। আত্মশাসনের অধিকারই স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। এ কথা সত্য, স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর বিগত ৪০ বছরে বাংলাদেশ লালন করেছে অমিত সম্ভাবনা, আশা ও স্বপ্ন। হাজারো পিছুটান সত্ত্বেও দেশটির অগ্রগতি বিস্ময়কর।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মূল্যায়ন-স্মারক এ-গ্রন্থ-যা ৪০ বছর পরে এসে দেশসেরা লেখকদের কলমে রৌদ্রচ্ছটায় উচ্চকিত কণ্ঠরূপ পেয়েছে।
বিজয়ের ৪০ বছর : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১২; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা’র স্কেচ অবলম্বনে; মূল্য : ২০০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/11803
রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর বিভক্তি; এর পাশাপাশি জাতীয় প্রশ্নে অনৈক্য আমাদের এগিয়ে যাবার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। উদ্বেগের বিষয়, দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো তৎপর। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও কার্যকর হলে তা এ ধরনের অপশক্তির তৎপরতা রোধে বিশেষ সহায়ক হবে। এতে আইনের শাসন জোরদার হবে এবং দেশজুড়ে আসবে অর্থনৈতিক মুক্তি। সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ রক্ষায় আমাদের হতে হবে আরো বেশি যত্মবান, আকণ্ঠ সেনাধিনায়ক। ইত্যাদি বিষয়ে গভীর মনোযোগ উঠে এসেছে ’৭১ শেখ মুজিব বাংলাদেশ গ্রন্থে।
’৭১ শেখ মুজিব বাংলাদেশ : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১২; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা; মূল্য : ৩৮০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/64651
বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা। টানা ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। ১৯৫২ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল রক্তদানের পালা। তারপর রাজনীতির দীর্ঘ চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছিল স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘যার হাতে যা আছে, তা-ই নিয়ে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন-‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বলতে গেলে সেদিনই বাঙালির বুকে স্বাধীনতার বীজমন্ত্র বোনা হয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ৪০ বছর স্বাধীনতা অর্জন ও ৪০ বছর পরবর্তী মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মহামানব শেখ মুজিবুর রহমান-এর জীবন ও কর্ম। পাঠক-চাহিদার সম্পূর্ণতার পথকে ইতিহাসসমৃদ্ধ করেছে এ-গ্রন্থ পাঠযাত্রা।
বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ৪০ বছর : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা, ফেব্রুয়ারি ২০১২; প্রকাশক : কথাপ্রকাশ; প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা; মূল্য : ২৫০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/64652
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক চেতনা ও জাতিসত্তার পরিচয় বিশ্বসভায় সগৌরবে তুলে ধরতে পেরেছি। আর আমাদের ত্যাগ ও তিতিক্ষার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন বিশ্ববাসীকে হতবাকও করেছে। মূলকথা, এই স্বাধীনতা লাভ করতে এ জাতিকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। বহু সোনার সংসার ভেঙে গেছে। বহু মায়ের কোল খালি হয়েছে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার রক্তধারায় সিক্ত হয়ে আছে এই শ্যামল বাংলার মাটি। সে কারণে এই অর্জন আমাদের সবার কাছে অতি পূত-পবিত্র।
মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক কালবিচারে এ গ্রন্থে উঠে এসেছে-লাহোর প্রস্তাব (১৯৪০), যুক্তফ্রন্টের ১১ দফা (১৯৫৪), আওয়ামী লীগের ৬ দফা (১৯৬৬), সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, মুজিবনগর সরকার, পাকসেনাদের আত্মসমর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। মোটকথা, একাত্তরের অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর।
মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর : সম্পাদনা : আহমেদ ফিরোজ; প্রবন্ধ সংকলন; প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১৩; প্রকাশক : মিজান পাবলিশার্স; প্রচ্ছদ : আকরাম রতন; মূল্য : ২৫০ টাকা
সূত্র : http://rokomari.com/book/10360
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে
ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি
গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
জানা আপুর আপডেট
জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।
বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন