somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভূতুরে অথবা অদ্ভূতুরে.....

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারি কলেজে যোগ দেওয়ার চার মাস পর সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে একদিন চিঠি পেলাম সিলেট এম সি কলেজে পাঁচ দিনের জন্য ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে যেতে হবে। শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেট যেতে ঘন্টা দুয়েক সময় লাগে জেনে সিদ্ধান্ত নিলাম পরীক্ষার দিন সকালেই যাবো। পরীক্ষার দিন খুব সকালে রওয়ানা দেওয়ার পরও পরীক্ষা শুরুর আধঘন্টা পরে কলেজে পৌছলাম।

আমার সহ-পরীক্ষক রনজিত স্যার অমায়িক ভদ্রলোক, আমাকে দেখে সে বললো আমি পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছি আপনি ফ্রেশ হয়ে আসেন। দুপুর পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে দুপুরের খাবারের সময় রনজিত স্যারকে বললাম আজকে একটু দ্রুত পরীক্ষা শেষ করি আমাকে রাতে থাকার জন্য হোটেল খুজতে হবে। রনজিত স্যার বললেন আপনি চিন্তা করবেন না,আপনার থাকার ব্যবস্থা করছি আপনি নিশ্চিন্তে পরীক্ষা নেন।

পরীক্ষা শেষ করে যখন ডিপার্টমেন্ট থেকে বের হলাম তখন মাগরিবের আযান দিচ্ছে। কলেজের গেেটর কাছে যেয়ে পিওন জুনুকে স্যার বললেন স্যারকে নিয়ে যাও, আর স্যারের খোঁজখবর রেখো বলে সে বিদায় হলো।

কলেজের গেটের কাছে একটি টিলা, জুনু টিলা বেয়ে উঠা শুরু করলো, কিছুদূর উঠার পর একটি একতলা বিল্ডিং দেখলাম বুঝলাম সেটাই আমার গন্তব্য। যে রুমে জুনু আমাকে নিয়ে গেলো সেখানে আমার কলেজের জাকির স্যারকে পেলাম, সেও পরীক্ষা নিতে আসছে।

বিল্ডিং টায় আমি আর জাকির স্যার ছাড়া আর কেউ নেই। চারদিকে ভয়ংকর নীরবতা, নীরবতা ভেঙ্গে শুরু হলো মুষুলধারে বৃষ্টি। রাতের খাবার পর কখন ঘুমিয়ে পড়ছি জানি না, গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। রুমের লাইট জ্বালানো জাকির স্যারের বিছানায় কেউ নেই। হয়তো টয়লেটে গেছে ভেবে শুয়ে আছি, আধাঘন্টা হয়ে গেছে তবুও আসছে না দেখে বিছানা থেকে উঠলাম। রুমের দরজা ভেতর থেকে বদ্ধ, বাথরুমে উকি দিয়ে দেখলাম কেউ নেই। ভয়ের একটা শীতল স্রোত মেরুদন্ড বেয়ে নিচে নেমে এলো। বিছানায় বসে সিগারেট ধরালাম, বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি, রুম যথেষ্ট ঠান্ডা, তারপরও আমি দরদর করে ঘামচি। ভয়ের অনুভূতি মানুষকে বেশিক্ষণ আচছন্ন করে রাখে না। আমার লজিক কাজ করা শুরু করলো, একটা মানুষ রুম থেকে উধাও হয়ে যেতে পারে না। আবার খোজা শুরু করলাম, খাটের নীচও বাদ রাখলাম না। বাথরুমে ঢুকে দেখি আরেকটি দরজা, সেটা বন্দ্ধ। আমি নিশ্চিত হলাম দরজার ওপারেই সব রহস্য। আমি দরজা ধাক্কায়ে ডাকা শুরু করলাম জাকির স্যারকে, কোন সাড়াশব্দ নেই। আবার ভয়টা জেকে বসছে। দুই এক মিনিট পর হঠাৎ করে দরজাটা খুলে গেলো, টুপি মাথায় জাকির স্যার। ঘুম আসছিলো না বলে সে এ পাশের রুমে তাহাজ্জুদের নামায পড়ছিলেন।

The first duty of man is to conquer fear; he
must get rid of it, he cannot act till then.

Thomas Carlyle
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×