somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দাসংস্থা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বাধিক সক্রিয়..আজকের পর্ব "হামোসাদ"

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে এ ৫ টি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা সর্বাধিক সক্রিয় আছে বলে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে মধ্য আশি থেকে মোসাদ বাংলাদেশে সক্রিয় বলে ধরা হয়ে থাকে। এই সংস্থা বাংলাদেশের খুব বেশি প্রভাব বিস্তার না করলেও বিগত দশ বছর ধরে বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। (সতর্কীকরনঃ এখানে আমি এমন কিছু তথ্য দিয়েছি যা হয়তো মতাদর্শগত বা অন্যকোন কারনে কারো কারো ভালো নাও লাগতে পারে সেক্ষেত্রে তার ভিতরে আর না ঢুকাই ভালো)

পটভুমিঃ

We are a generation of settlers, and without the steel helmet and gun barrel, we shall not be able to plant a tree or build a house.
-মোসে দায়ান



২৫০০ বছর ধরে ইহুদিরা প্রত্যেক ইয়ামকিপুরের দিন প্রার্থনা শেষ সম্মিলিত কন্ঠে বলতো আগামি বছর জেরুজালেম.... শেষ পর্যন্ত হাজার বছরের প্রতীক্ষা,ত্যাগ আর সংগ্রামের পড় ১৯৪৭ সালের ১৪ মে ইসরায়েল রাস্ট্র প্রতিস্টার মধ্যে দিয়ে জাতিগত ইহুদিদের স্বাধীন রাস্ট্র ইসরায়েল পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে।

এই পথ পরিক্রমা ইহুদিদের জন্য সুখের ছিলো না... পদে পদে লাঞ্চিত নির্যাতিত নিগ্রহের স্বীকার ইহুদি সম্প্রদায় নেবুচাদ নেজার থেকে রোমান সম্রাটরা,মধ্যযুগের পোপ প্রভাবিত ইউরোপের সামন্ত রাজাদের থেকে আধুনিক ইউরোপের নাৎসিদের হাতে পালে পালে উজার হয়েছে ।বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে পলেটিক্যাল জায়নিজমের স্বপ্নদ্রস্টা ইহুদি দার্শনিক ও আইনবিদ হিওডোর হেরজলের পরিকল্পিত ইহুদিদের স্বাধীন আবাসভুমি ইসরাইল অনেক কৌশল কুটকৌশল আর আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরনের উপরে ভিত্তি করে জন্ম নেয়া ইসরাইল রাস্ট্র কে টিকিয়ে রাখা দুরহ বিষয় ছিলো। সদ্য হলোকাস্টের দুঃস্বপ্নের অন্ধকার থেকে আলোয় আসা ইহুদি রাস্ট্র কে যখন টিকে থাকার জন্য বৈরি আরবদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তখন ইস্রায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেনগোরিয়ান একটি সগঠিত গোয়েন্দা প্রতিস্টানের প্র্যোজনিয়তা অনুভব করে।এর ধারাবাহিকতায় ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৯ সৃস্টি হয় হামোসাদ লেমিউডিনি উলে তাফকিডিম মেয়ুচাডিম । (Institute for Intelligence and Special Operations) বা সংক্ষেপে “মোসাদ”। প্রধান নির্বাচিত হন ডেভিড বেনগোরিয়ানের সহযোগী রেউভেন শিলোয়া।
রেউভেন শিলোয়া


হিব্রু ভাষায় ‘মোসাদ' শব্দের অর্থ দ্যা ইন্সটিটিউট । আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম ‘দ্য ইন্সিটিটিউট অফ ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস'৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলে আরও দু'টি গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে – অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার নাম ‘শিন বেট' এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম ‘আগাফ হা-মোদি'ইন' – সংক্ষেপে ‘আমন'৷

পুর্বসুরিঃ
৩০ ও ৪০ এর দশকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশক দের নিষিদ্ধ করা হাগানা,স্ট্যার্ন গ্যাং এর মত কট্টর ইহুদিবাদি এর মত সংগঠন সমুহ।

মুল মন্ত্রঃ মোসাদের প্রথম মটো ছিলো বাইবেলের একটি উদ্বৃতি “বিজ্ঞ দিক নির্দেশনায় তুমি তোমার যুদ্ধ শুরু করতে পারো” কিছুদিন আগে পুর্বের মটো বদল করে ওল্ড টেস্টামেন্টের অন্য একটি উদ্বৃতিকে নির্বাচিত করা হয়... প্রভার্ব ১১.১৪, ওল্ড টেস্টামেন্ট - “রাজনীতির অভাবে জাতির পতন হয়,সু মন্ত্রনাদাতা অনেক হলেই সফলতা আসে”

লোগোঃ


সদর দফতরঃ তেল আভি্‌ব ,ইসরায়েল






বর্তমান প্রধানঃ তামির পারদো



সদস্য সংখ্যাঃ গোপনীয়,সম্ভাব্য সংখ্যা ১২০০ ও অসংখ্য ইনফর্মার।
জবাবদিহিতাঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ।

লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ
থার্ড টেম্পেল বা ইস্রায়েল রাস্ট্র রক্ষা করা ।
৫০০ বছরে নিপীড়ন আর ইহুদি নিধনযজ্ঞর দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারে নি সেদেশের মানুষ৷ ফলে আরও একবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দূর করতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে শুরু থেকেই প্রস্তুত ইহুদি রাষ্ট্র৷যার অপারেশনাল ব্রেন হচ্ছে মোসাদ।

চরম গোপনীয়তার বেড়াজালে মোড়ানো ‘মোসাদ' সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়৷ এমনকি এই সংস্থার সদর দপ্তরেরও কোন ঠিকানা বা টেলিফোন নম্বর নেই৷ কর্মীসংখ্যাও কারো জানা নেই৷ ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র সংস্থার প্রধানের নাম প্রকাশ করা যায়৷

১.আরব রাস্ট্রগুলির সার্বিক সক্ষমতা এবং ইসরায়েলের প্রতি তাদের সম্মিলিত ও আলাদা আলাদা মনোভাব বিশ্লেষন।
২. রাশিয়া,চীন ও অন্যান্য শক্তিশালি রাস্ট্রগুলির সাথে আরব দেশ সমুহের সার্বিক সম্পর্কের পরিধির বিশ্লেষন।
৩. বিশ্ব জুড়ে আরবদের অফিশিয়াল স্থাপনা ও প্রতিনীধিদের অবস্থান স্পট করা ও তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ রাখা।
৪. আরব দেশ সমুহের রাজনীতিবিদ, জনপ্রিয় মুভমেন্ট এর নেতা, আরবদের আভ্যন্তরিন রাজনৈতিক অবস্থা ও গোত্রগত বিভাজন,নৈতিক অবস্থা, সামরিক সক্ষমতা ও সম্ভাব্য যুদ্ধের অর্ডার অব ব্যাটেল সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা রাখা।
৫.ইসরায়েল তথা বিশ্বে মার্কিন পলিসি নির্ধারন ও সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার উপর তীক্ষন নজর রাখা ও মধযাপ্রাচ্যে মার্কিন পলিসি নির্ধারন ও যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যাপক প্রভাব খাটানো।
৬.মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সামরিক বেসামরিক প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ,উদ্ভাবন সহায়তা, বিপনন ও প্রয়োজনে চুরি করা।
৭. মার্কিন ও উন্নত দেশগুলির ল্যাবটারিতে বৈজ্ঞানিক গবেষনা ও আবিস্কারসমুহের তথ্য সংরহ করা।
৮.বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করা ইহুদি জনগোস্টির জীবন যাত্রার দিকে নজর রাখা। যেসব দেশে ইসরায়েলের অভিবাসন সংস্থা আইনত সক্রিয় হতে পারে না, সেই সব দেশ থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসার দায়িত্বও পালন করে ‘মোসাদ'৷
৯.যে কোন এ্যান্টি জায়োনিস্ট কার্যকলাপ নজরদারি করা ও প্রয়োজনে তাদের ধ্যে প্রবেশ করে নিজেদের সুবিধামত পরিচালনার চেস্টা করা.
৯.প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রভাবিত করা ও হামাস হিজবুল্লাহ,মুস্লিম ব্রাদারহুড প্রভতি সঙ্গঠনের কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রনে রাখার চেস্টা করা।


কর্মকৌশল:
মোসাদের মাঠ পর্যায়ের গোয়েন্দাদের কাটসাস নামে পরিচিত।
অপারেশন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মোসাদকে আটটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ বিভাগ, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিভাগ, বিশেষ অপারেশন বিভাগ, ল্যাপ বিভাগ, গবেষণা বিভাগ, প্রযুক্তি বিভাগ।
১৯৭৭ সালে পাওয়া মোসাদের অর্গানোগ্রাম



ইসরায়েলি সামরিক ও অসামরিক গোয়েন্দা বিভাগের বাছাই করা কর্মকর্তাদের দিয়ে পরিচালিত মোসাদের মোট আটটি বিভাগ রয়েছে।

১.অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন বিভাগঃ অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কো অর্ডিনেশন বিভাগ মুলত মোসাদের প্রশাসনিক ইউনিট.ব্যাবস্থাপনার সাথে জড়িত এই বিভাগ প্রাপ্ত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যাবহার করে বিভাগ স্মুহের মধ্যে সমন্নয় সাধন করে এবং অপারেশনাল পরিকল্পনা প্রনয়ন,প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়তা প্রদান করা।

২. ইনফর্মেশন কালেকশন ডিপার্টমেন্ট : বহির্বিশ্বে ডিপ্লোম্যাট, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ অন্যান্য ছদ্মবেশে কভার্ট অপারেশন পরিচালনা করা এই বিভাগের প্রধান কাজ। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ১৩ থেকে ১৪টি অপারেশন এ বিভাগ একসাথে করতে পারে। এ বিভাগে আটটি অঞ্চল ভিত্তিক ডেস্ক রয়েছে ১.মধ্য আমেরিকা,২.দক্ষিন আমেরিকা,৩. পুর্ব ইউরোপ ও রাশিয়া,৪. আফ্রিকা,৫.এশিয়া ওশেনিয়া,৬. ভুমধ্য সাগর ও নিকট প্রাচ্য,৭.পশ্চিম ইউরোপ,৮.উত্তর আমেরিকা।
প্রতি ডেস্কে একজন করে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় স্টেশনগুলোর সাথে এই বিভাগ যোগাযোগ রক্ষা করে।

৩. পলিটিক্যাল অ্যাকশন এবং লিয়াজোঁ ডিপার্টমেন্ট : এ গ্রুপের কাজ প্রতিটি বন্ধুভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা।এছাড়া যে সব দেশের সাথে ইসরায়েলের সরাসরি কুটনৈতিক সম্পর্ক নেই সে সব দেশ ও রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা, যোগাযোগ রাখা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৪. স্পেশাল অপারেশন ডিপার্টমেন্ট : এই বিভাগ মোসাদের সবচাইতে ভীতিজাগানিয়া ডিপার্টমেন্ট। ডাকনাম মেটসাদা। এদের প্রধান কাজ বিশ্ব জুড়ে ইসরায়েল রাস্ট্র ও জায়নিজমের জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তি,গোস্টি,প্রতিস্টান সমুহকে দুনিয়ার বুক থেকে মুছে দেয়া...।যে বা যারা ইসরায়েল রাস্ট্রের জন্য বিপজ্জ্বনক দেশ কাল পাত্র নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক গুপ্ত হত্যার পরিচালনা করা। এছাড়া আধা-সামরিক অপারেশন, নাশকতামূলক কাজ, রাজনৈতিক কলহ তৈরি, মনস্তাত্তিক যুদ্ধাবস্থা তৈরি বা প্রপাগান্ডা চালানো এই বিভাগের কাজ।

৫. ল্যাপ ডিপার্টমেন্ট : এই গ্রুপ প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মনস্তাত্তি্বক যুদ্ধের জন্য প্রচার চালায় ও শত্রু শিবিরে ভুল খবর ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে।
৬. রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট : গবেষণা ও 'কাউন্টার ইনটেলিজেন্স'-এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বৃদ্ধির কাজ করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উহুদি বংশভুত সব বিজ্ঞানী টেকনিশিয়াদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা ও তাদের গবেষনা সমন্ধে ওয়াকিফহাল থাকা।


রিক্রুটমেন্ট ও ট্রেনিংঃ

মোসাদ প্রধানত বিদেশের মাটিতে রিক্রুটমেন্ট এর ক্ষেত্রে ইহুদি বংশভুত জনগোস্টি কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে..।প্রবাসী ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা পলিটিক্যান জায়ানিজম সমন্ধে সচেতন এবং ইস্রায়েল রাস্ট্রের প্রতি একধরনের ধর্মীয় ও জাতিগত আনুগত্য পোষন করে তাদেরকেই এজেন্ট হিসাবে রিক্রুট করা হয়। এছাড়া প্রচুর আরব “ওয়াক ইন” দেরো বিভিন্ন ভাবে রিক্রুট করা হয় তবে এদের দেয়া তথ্যের উপর মোসাদ খুব একটা নির্ভর করে না। জেন্টাইল বা অ ইহুদি রিক্রুটদের সাধারনত গুরুত্বপুর্ন কাজের জন্য নির্বাচন করা হয় না।
এজেন্ট রিক্রুটমেন্টের সময় প্রুধান বিবেচ্য দিকগুলো অচ্ছে

ধর্মীয় ও জাতিগত সহানুভুতি যেমন মা বাবার কোন একজন ইহুদি বংশভুত এমন ব্যক্তি

এমন সব প্যালেস্টাইনী যাদের অর্থ বা পারিবারিক সম্পদ ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থ প্রতিস্টানে সাময়িক বায়েয়াপ্ত অবস্থায় আছে।

এন্টি সেমিটিসিজম ঘৃনা করে এমন লোক

এন্টি কমিউনিস্ট মনোভাব সম্পন্ন ( সাবেক সোভিয়েত যুগের সময়ের কথা)

ব্ল্যাক মেইল

ব্যবসার সুযোগ অর্থ প্রাপ্তি, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আছে এমন ব্যক্তির ঘনিস্ট আত্মীয়,বন্দী অবস্থা থেকে মুক্তিকাংখি আরব,গোত্রগত দন্দ্বের কারনে অসন্তুস্ট মানুষ,প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় এমন ব্যক্তি, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষি ব্যক্তি।


সাধারন রিক্রুট কে চার মাস মেয়াদি বেসিক ট্রেনিং দিয়ে মাঠে ছাড়া হয়। এরপর সুবিধা মত ২ বছর মেয়াদি বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রেনিং প্রদান করা হয়। বিশেষ অপারেশনের দায়িত্ব দেয়ার জন্য সময়ে সময়ে এজেন্টদের স্পেশাল কোর্স করানো হয়ে থাকে। এই ট্রেনিং তেল আভিভ এলাকায় অবস্থিত ৩ টি ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে।এছাড়া জেরুজালেমে স্পেশাল অফিসার্স কোর্সে ৩.৬ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি স্পেশাল কোর্স করানো হয়। কোর্সে আরবী ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন,বিশ্ব রাজনীতি,ইসরায়েল রাস্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য,প্রযুক্তিগত অপারেশন পরিচালনা কৌশল এবং আরব ও বিশ্বের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সুহের কাজের ধরন সম্পর্কে বিষদ ধারনা দেয়া হয়।সব সময় কমপক্ষে ৪০/৫ জন ছাত্র এই অ্যাাডভান্স কোর্সগুলিতে নিয়োজিত থাকে। কোন কোন ইচ্ছুক তরুন মোসাদ অফিসার বিদেশে এক বা একাধিক মিশন শেষ করে আসার পরে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাময়িক ভাবে মোসাদের অপারেশনাল ডিউটি থেকে ছাড় দেয়া হয়।ইসরায়েলি পরাস্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ জন অফিসার কে মোসাদ ট্রেনিং নেয়ার জন্য প্রেরন করা হয়।
এছাড়া গুপ্তহত্যার পরিচালনার জন্য বিশেষ দলকে নিয়মিত প্রশিক্ষন দেয়া হয়ে থাকে।

অপহরণ ও গুপ্তহত্যা:
অপহরন ও গুপ্তহত্যাকে শিল্পের পর্যায়ে উন্নিত করার ক্ষেত্রে মোসাদের অবদান সর্বাধিক। ইসরাইলের নিরাপত্তা প্রশ্নে বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও কর্মকান্ড- মোসাদকে গোয়েন্দাবৃত্তিতে সর্বোচ্চ মান দিয়েছে। দুর্ধর্ষ এই গোয়েন্দা সংস্থার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনী মুক্তি আন্দোলন প্রতিহত করা ও আরব বিশ্বসহ মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। ইসরাইল প্রসঙ্গে বিতর্কিত বা রাজনৈতিক প্রশ্ন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী বাদানুবাদ তৈরি হলে এ সংস্থা তার কর্মীদের ওই ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কাউকে অপহরণ বা হত্যা পর্যন্ত করতে পারে। মোসাদের দ্বারা গুপ্র হত্যার শিকার হওয়ার আতংকে ভোগে না এমন আরব নেতা নেই।প্রতিটি আরব ও প্যালেস্টাইনি স্বাধীনতাকামী ও উগ্রবাদি সঙ্গঠন এর নেতারা মোসাদ এর গুপ্তঘাতক দলকে ভয় করে। জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জের মত মানুষ পর্যন্ত ইসরায়েলের কোন ক্যাবেল প্রকাশ করার সাহস করতে পারে নি।

কৌশলঃ
চিঠি বোমা,গাড়ি বোমা,বিষ প্রয়োগ,বেরেটা পিস্তল,উজি সাব মেশিন গান

গুপ্তহত্যা ও অপারেশনঃ

১৯৫৬ সালে জোসেফ স্ট্যালিনকে অবমাননা করে নিকিতা ক্রুশ্চেভের বক্তৃতা সংগ্রহ ও ফাঁস করা.
অপারেশন গ্যারিবালাডিঃ ১৯৬০ সালে পলাতক নাতসী নেতা অ্যাডলফ আইখম্যান কে আর্জেন্টিনা থেকে অপহরন করে ইসরায়েলে নিয়ে আসা।

হার্বার্ট চুক্রু হত্যাঃ১৯৬৫ সালে মন্টেভিডিওতে লাটভিয়ান নাতসি সহোযোগী হার্বার্ট চুক্রু কে হত্যা।

অপারেশন ডায়মন্ডঃ ১৯৬৩ সালে অপারেশন শুরু করে ১৯৬৬ সালে সে সময়ের অন্যতম সেরা সোভিয়েত জঙ্গী বিমান মিগ-২১ ইয়ারক থেকে চুরি করে তেল আভিবে অবতরন। খৃস্টান বংশদ্ভূত ইরাকী পাইলট মুনির রিদফা এই বিমান উড়িয়ে নিয়ে আসে। মিগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার ফলে আরব দেশগুলি কখনোই মিগ ২১ দিয়ে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর যুদ্ধ করতে পারে নাই।

সিক্স ডেজ ওয়ারঃ ১৯৬৭ সালের ৬ ডেজ ওয়ারের পুর্বে আরব রাস্ট্রগুলির সমস্ত বিমান বন্দরের ম্যাপ,ডিউটি শিডিউল ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার ছবি সংগ্রহ করা ও যুদ্ধে ব্যাবহার করে এক হামলায় সমগ্র আরব বিশ্বের বিমান বাহিনী ধংস করতে সহায়তা করা।

অপারেশন প্লামব্যাটঃ ১৯৬৮ সালের একটি ঘটনা। ইসরাইলের একটি শিপে ২০০টন ইউরেনিয়াম অক্সাইড সরবরাহ করতে একটি কার্গো বিমান যাত্রা শুরু করেছিল। জার্মনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিমানটি তাদের রাডারের বাইরে চলে যায়। পরে তুরস্কের একটি পোর্টের রাডারে এটি ধরা পড়লে ওই কার্গো বিমান থেকে বলা হয় পথ হারিয়ে তারা এদিকে চলে এসেছে এবং তাদের জ্বালানী ফুরিয়ে গেছে। গালফ থেকে জ্বালানী নিয়ে তারা আবার ফিরে যাবে। পরে তার নিরাপদে ওই ইউরেনিয়াম অক্সাইড ইসরাইলের একটি শিপে খালাস করে। এটি ছিল রেকেম ও মোসাদের একটি যৌথ অপারেশন। এটি অপারেশন প্লামব্যাট নামে পরিচিত। ইউরেনিয়াম অক্সাইড পারমানবিক বোমার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


অপারেশন ওয়ার্থ অব গডঃ ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর গ্রুপের(পি এল ও গেরিলাদের) হাতে নিহত ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের মৃত্যুর জন্য জড়িতদের খুজে বের করে হত্যা করা।

জুহের মহসিন হত্যাঃ সিরিয়ান বাথ পার্টির প্যালেস্টাইনি অংশের নেতা জুহের মহসিন কে হত্যা।
অপারেশন এন্টবিতে সহায়তাঃ ইসরায়েলি কমান্ডোরা ১৯৭৬ সালে জিম্মি উদ্ধারে উগান্ডার এ্যান্টোবি বিমান বদরে অপারেশন চালায় সেখানে মোসাদ সক্রিয় সহায়তা করে।

এহিয়া এল মাসুদ হত্যাঃ ১৯৮০ সালে প্যারিসে মিশরীয় পরমানু বিজ্ঞানী এহিয়া এল মাসুদ কে হত্যা। তিনি ইরাকের পরমানু প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিলেন।

অপারেশন স্ফিঙকসঃ ১৯৮১ ইরাকের ওসিরাকে সাদ্দামের পারমানবিক প্রকল্পের খবর বের করা ও ধংসে সহায়তা।

সোভিয়েত বিরোধি যুদ্ধঃ ১৯৮২ সালে লেবাননে গেরিলাদের উদ্দেশ্যে সোভিয়েতদের পাঠানো বিপুল পরিমান অস্ত্র গোলাবারুদ বোঝাই জাহাজ ভুমধ্য সাগরে আটক করে মোসাদ সেই অস্ত্র পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে প্রেরন করে।

অপারেশন মোসেসঃ ১৯৮৪ সালে মোসাদ ও সিআইএ ইথিওপিয়ার ইহুদিদের সহায়তার জন যে অপারেশন পরিচালনা করে তার নাম দেয়া হয় অপারেশন মোসেস।

মোরদেচাই ভান্নু কে গ্রেফতারঃ মোরদেচাই ভান্নু একজন ইসরায়েলি প্রমানু টেকনিশিয়ান যিনি ১৯৮৬ তে ইসরায়েল থেকে পালিয়ে লন্ডনে যাওয়ার পথে মোসাদ এজেন্টরা তাকে নারী টোপ যাবহার করে রোম বিমান বন্দর থেকে ধরে ইসরায়েলে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

জেরাল্ড বুল হত্যাঃ ১৯৯০ সালে সাদ্দামের একটি লং রেঞ্জ আর্টিলারি প্রজেক্টে (১৬ ইঞ্চি দূর পাল্লার কামান) কাজ করার সময় কানাডিয়ান বিজ্ঞানী ও সররাস্ত্র নির্মাতা জ়েরার্ড বুলকে গুলি করে হত্যা করে মোসাদ। এই অপারেশনে সি আই এ,ইরানি ভিভাক ও মোসাদ একসাথে কাজ করেছে বলে জানা যায়।

আতেফ বেইসো হত্যাঃ পি এল ও গোয়েন্দা প্রধান আতেফ বেইসা কে ১৯৯২ এ হত্যা।

ফাতিহ সিদ্দিকী হত্যাঃ ১৯৯৫ সালে ইস্লামিক জিহাদের প্রতিস্টাতা ফাতিহ সিদ্দিকিকে মাল্টায় হত্যা।

শেখ আহামেদ ইয়াসিন হত্যায় সাহায্যঃ ২০০৪ সালে হামাসের স্পিরুচ্যুলেয়ল লিডার পঙ্গু শেখ আহামেদ ইয়াসিন কে ভোরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মোসাদ গোয়েন্দারা স্পট করে সিগ্যানেল পাঠায় এবং অ্যাপাচি হেলিকাপ্টার থেকে মিসাইল ছুড়ে তাকে হত্যা করে।

শেখ খালিল হত্যাঃ হামাস নেতা শেখ খালিল কে ২০০৪ সালে দামেস্কে হত্যা।

ইমাদ মুঘ্নিয়া হত্যাঃ হিজবুল্লাহ নেতা ইমাদ মুঘ্নিয়া কে ২০০৮ এ দামাস্কে হত্যা।

মাহমুদ আল মাবহু হত্যাঃ ২০১০ সালে দুবাইয়ে হামাস নেতা মাহমুদ আল মাবহু হত্যা।

ধারাবাহিক ভাবে ইরানের পরমানু বিজ্ঞানী দের অপহরন ও হত্যা।

এছাড়া বসনিয়া হার্জেগোভিনিয়ার রাজধানী সারাজেভো থেকে বিমান ও স্থলপথে ইহুদিদের ইসরাইলে স্থানান্তর করা হয় মোসোদের পরিকল্পনায়।
ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপক ততপরতা পরিচালনা করা।


ব্যার্থতাঃ
মিশরে ওলফগ্যাং লজের নেতৃত্বে গোয়েন্দা মিশন পাঠায় মোসাদ ১৯৫৭ সালে। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিনি মিশরে গামাল আবদেল নাসেরের সামরিক বাহিনী ও তার যুদ্ধোপকরণ ও কৌশল জানতে গোয়েন্দা তৎপরতায় নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৪ সালে লজের চেয়ে বড় মিশন নিয়ে মিশরে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করেন মোসাদের আর এক স্পাই ইলি কৌহেন। তার সহযোগিতায় ছিল হাই প্রোফাইলের বেশ কয়েকজন স্পাই। ইলি কৌহেন ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে সিরিয়ায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে তথ্য পাঠানোর সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হন। মিশর ও সিরিয়ায় মোসাদ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন রেডিও লিঙ্ক স্থাপন করেছিল।

২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে বযার্থতা
২০১০ এ তুরস্কতে অভ্যুত্থান ঘটানোর ব্যার্থ প্রচেস্টা।


ইরান ও প্যালেস্টাইনে মোসাদের তৎপরতাঃ
ইসরাইল ইরানকে বড় ধরণের হুমকি মনে করে। মোসাদ মনে করে ২০০৯ সালের মধ্যে ইরান পারমানবিক শক্তিধর দেশে পরিণত হবে। যদিও অনেকের ধারণা এই সালটি হবে ২০১০। সম্প্রতি মোসাদের ডিরেক্টর মীর দাগান তার এক বক্তৃতায় একথা স্বীকারও করেছেন। ফলে মোসাদের তৎপরতা ইরানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সিআইএ এ কাজে মোসাদকে সহযোগিতাও করছে। ২০০৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ইরানের পারমানবিক বিজ্ঞানী ড. আরদেশির হোসেনপুরকে হত্যা করে মোসাদ। মৃত্যুর ছয় দিন পর আল কুদস ডেইলি তার নিহতের খবর প্রচার করে। প্রথম দিকে তিনি গ্যাস বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সে দেশের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ওয়াশিংটনের প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা স্ট্রাটফোর হোসেনপুরকে মোসাদের টার্গেট ছিল বলে উল্লেখ করে। অবশ্য মোসাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। হোসেনপুর ছিলেন ইরানের একজন জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক। ২০০৩ সাল থেকে ইরানে মোসদের হয়ে কাজ করতেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী রেজা আসগারি। তিনি মোহাম্মদ খাতামী প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরানের সহকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন। ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাকে সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসাননি।

মোসাদের ইয়াসির আরাফাত কানেকশন:
ফিলিস্তিন মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাত কি মোসাদ বা সিআইএ’র হয়ে কাজ করেছেন এমন প্রশ্ন প্রচলিত আছে। ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ইয়াসির আরাফাতকে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করেছে সিআইএ। এজন্য বৃদ্ধ বয়সে এক ইহুদি নারীকে “সুহা” কে বিয়ে দেয়া হয়েছিল ইয়াসির আরাফাতের সাথে। বিয়ের পর তিনি ইসরাইল প্রশ্নে অনেক নমনীয় ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তি হয়েছিল ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে। শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়েছিল তাকে। জাতীয়তাবাদী নেতা ইয়াসির আরাফাতকে নমোনীয় হতে মোসাদ সিআইএ’র সহায়তা নিয়েছে। তার মৃত্যুকে অনেকে হত্যাকান্ড বলছেন।

মোসাদ সংক্রান্ত গুজব ও সন্দেহঃ
ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বেশ কিছু ঘটানায় মোসাদের হাত রয়েছে বলে অনেকে সন্দেহ করেন।

জন এফ কেনেডি হত্যাকান্ড,বলা হয় কেনেডী পরিবার কে ধংশ করে দেয়ার পিছনে মোসাদের হাত রয়েছে।
আনোয়ার সাদাত কে নিজেদের হাতে নেয়া।
সৌদি আরব ও জর্ডানের বর্তমান রাজ পরিবারে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করা।
রোডেশিয়া ও দক্ষিন আফ্রিকায় কালোদের বিরুদ্ধে স্মিথ সরকার ও শেতাঙ্গদের সমর্থন,সহায়তা ও ট্রেনিং প্রদান।
লেবাননে রফিক হারিরি হত্যা কান্ড।
৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলা।
মিশর ও লিবিয়ায় মোবারক ও গাদ্দাফীর পতন এবং সিরিয়ার বর্তমান ঘটনা।
মার্ক জুকার্সবাগ কে মোসাদের এজেন্ট গুজব।
লিওনার্ডো ডী ক্যাপ্রিও এবং নাতালি পোর্টম্যান মোসাদ এজেন্ট
ইরাকে শিয়া সুন্নি সঙ্ঘর্ষ এর ক্ষেত্র তৈরীতে শিয়া মুসলিম ধর্মাবলম্বিদের পবিত্র স্থান হজরত আলীর মাঝারের কাছে গাড়ি বোমা বিস্ফোরন ঘটানো ও শিয়াদের উপর ধারাবাহিক আত্মঘাতি বোমা হামলার প্লট তৈরি করা।

বাংলাদেশে মোসাদঃ
মুসলিম জঙ্গোস্টির আধিক্যের কারনে এ অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রহ দীর্ঘ দিনের। ২০০৩ সালে সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ইসরায়েল যাত্রার সময় পুলিশের হাতে আটক হলে বাংলাদেশে মোসাদের ততপরতা প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলা কালে জাপানে মোসাদ অফিসাররা বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের কাছে ১০ লক্ষ ডলারের সল্প পাল্লার বিমান বিদ্ধংসী ক্ষেপনাস্ত্র সরব্রাহের প্রস্তাব দেয়। তবে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশের সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।

স্বাধীন বাংলাদেশের এরপর সক্রিয় ভাবে মোসাদের যাত্রা ৮০র দশকের মাঝামাঝি থেকে।এখানে মোসাদ “র” এর সাথে সম্মিলিত ভাবে কর্মকান্ড পরিচাওলনা করে।তবে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কর্মীর সংখ্যা খুব কম। তারা শুধু পরিকল্পনা প্রনয়নে জড়িত আছে।মোসাদ সাধারনত বাংলাদেশের আরব ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভুক্ত রাস্ট্রগুলির দুতাবাস কর্মী,তবলিগ জামায়েতের সাধারন বিদেশী দাওয়াতি,বিদেশী ফান্ড প্রদান কারী এনজও দের মাধযমে কাজ পরিচালনা করে। পার্শবর্তি দেশ ভারতের ম্যাক্লিওদগঞ্জে প্রচুর মোসাদ অপারেটর অবস্থান করছে। তবে সাধারনত নেপাল থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে মোসাদ তাদের কাজ পরিচালনা করে।

দুস্ট লোকেরা বলে যা বলেঃ

একজন বিখ্যাত বাম তাত্বিক যিনি বৈজ্ঞানী সমাজতন্ত্র সমর্থকদের গুরু তিনি মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে গেলে মোসাদের অধীনে আসেন।

বিশ্বখ্যাত চেইন ফার্স্ট ফুড এর একটি প্রতিস্টান যা বর্তমানে ঢাকায় আছে তার বাঙ্গালী ম্যানেজার এর সাথে মোসাদের ঘনিস্ট যোগাযোগ রয়েছে।

একজন বিতর্কিত নির্বাসিত নারীবাদি লেখিকার প্রাক্তন স্বামী ও একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোসাদের ঘনিস্ট লোক।

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপক যার নাম এর শেষে মুসা নবী একটি নামের সাথে মিলে।

ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি নামে আফগান ফেরত একদল লোকের তৈরী করা সঙ্গঠনে মোসাদের হাত রয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর বিদেশ পলাতক খুনিদের বিদেশের মাটিতেই হত্যা করতে ’৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলি ভাড়াটে সেনা (মার্সেনারি) প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজারবাগ ও মতিঝিল কেন্দ্রীক একাধিক পীর বাবার সাথে মোসাদের যোগাযোগ রয়েছে।

কট্টর মৌলবাদি একটি পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক যার পিতা রাজাকার ছিলেন।

একটি পাতার ছবি সম্বলিত গি-৮ ভুক্ত দেশের রাস্ট্রদুত বর্তমানে মোসাদের হয়ে দায়িত্ব পাওল করছেন।
তেল সমৃদ্ধ মায়ানমার উপকুলের কাছে পার্বত্য চটগ্রামের বিচ্ছিন্নতা আন্দোলনে মোসাদ সহায়তা করছে।

২০০৬ সাল বাংলাদেশে ইসরায়েল একটি অনলাইন অ্যাম্বেসী পরিচালনা করছে।
আরো অনেক বিষয় দেয়া যেত কিন্তু সঙ্গত কারনে দিতে পারছি না।

নেন একটা মোসাদ টি শার্ট দিলাম ..গায়ে দিয়া জয়েন করেন



সংযুক্তিঃ
ব্লগঃ অগুনিত মেহেরের গল্প - সৌম্য
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৯
৬১টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×