somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিয়া পাইপ লাইন ভার্সেস সুন্নী পাইপ লাইন,গ্যাসপ্রম ভার্সেস পশ্চিম ইউরোপঃ সিরিয়ান গৃহযুদ্ধ

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০১৩ সালের বিশ্বে চলমান সঙ্ঘাত গুলোর মধ্যে সিরিয়ান গৃহযুদ্ধ নিঃসন্দেহে ভয়াহব। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার নারী পুরুষ শিশু ও ৩ লক্ষাধিক আহত।বাস্তুচ্যুত কমপক্ষে দশলক্ষ মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই ভয়াবহ নৃশংশ আত্মঘাতি লড়াই?



সাধারন মানুষের চোখে বিশ্ব মিডিয়া একে সিরিয়ার দীর্ঘ ৪ দশকের শাষক সংখ্যালঘু আলাওয়িদ গোস্টির এক শাষক পরিবারের স্বৈর শাষক বাশার আল আসাদ সরকারের ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই অথবা শিয়া সুন্নী সঙ্ঘতা আখ্যা দিলেও এ লড়াই কি শুধুই গদি ধরে রাখার লড়াই? আর স্বৈরশাষন হটানোর যুদ্ধ? আরব বসন্ত? যাতে হাজার হাজার মানুষের প্রান চলে যাচ্ছে নিমেষেই।

এ যুদ্ধ কারো কাছে শ্রেফ আঞ্চলিক আধিপত্যের সংঘাত, কারো কাছে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থে বর্নিত বহুল প্রতিক্ষিত “বিলাদ আল শাম” এর লড়াই, কারো কাছে দীর্ঘ কয়েকযুগ পর ইসলামি খেলাফত পুনরায় কায়েমের মহান কোন লড়াই..আবার কারো কাছে লাভের গুড় গোছানোর যুদ্ধ।

আসুন দেখি চেস্টা করি এই লড়াই কিসের লড়াই এবং কেন এই লড়াই।

"It is easier to kill one million people, than it is to control them"
- Zbigniew Brzezinski


... শুধু বিনা লাভে একুশ শতকে এখন যুদ্ধ হয় না,ইতিহাসে কোন দিনই বিনা লাভে কোন যুদ্ধ হয় নাই। কেন এই লড়াই তা জানতে এর সাথে জড়িত পক্ষগুলো সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। এ নারকীয় যুদ্ধের পেছনের প্রধান কারন মুলত কয়েটি গুরুতর প্রশ্নের উপর নির্ভরশীল। মোটা দাগে এই সঙ্ঘাতের পক্ষসমুহ :




পক্ষ-১
ক) সিরিয়ার শিয়া মুসলিম ধর্মাবলম্বিদের অন্যতম আলাওয়িদ শাষক গোস্টি অর্থাৎ বাশার আল আসাদের সরকারের অনুগত বাহিনী,সিরিয়ান বাথ পার্টি।
তার মাঠে তাকে সহায়তা করছে ইসলামিক রিপাবলিকান গার্ড অভ ইরান, বাসিজ মিলিশিয়া,ইরানিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা ভিভাক, হিজবুল্লাহ , হামাস

খ) ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান
গ) রাশিয়ান ফেডারেশন
ঘ) হিজবুল্লাহ)
ঙ) হামাস
চ) এসভিআর (রাশিয়া)

পক্ষ -২

ক) ফ্রী সিরিয়ান আর্মি
খ) আল- নুসরা ফ্রন্ট (ইরাকি আল কায়দা)
গ) সিরিয়ান মুজাহেদিন
(কুয়েত,কাতার,লেবানন,ইরাক,অস্ট্রেলিয়ায়,সৌদি,ইউএই,চেচনিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হতে আগত খেলাফত প্রত্যাশি ও হিজবুত তাহরির অনুসারি সুন্নী মুসলিম যোদ্ধাদল) তেহেরিক-ই তালেবান (পাকিস্তানি তালেবান,বাংলাদেশি সেচ্ছাসেবক)
ঘ) কুর্দি মিলিশিয়া গ্রুপ
ঙ) সিআইএ
চ) আল মুখাবারাত আল আ'মআহ (সৌদি)

আর এদের পেছনে সার্বিক সহায়তায় আছে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, সৌদি রাজপরিবার,কাতার রাজ পরিবার,তুরস্ক, ব্রিটেন,ফ্রান্স ,আরব আমিরাত।

প্রধান অর্থ যোগানদাতা কাতার রাজপরিবার। পরিমান ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।



এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিরিয়ান গহযুদ্ধের পক্ষ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ, সৌদি,কাতার,তুরস্ক আরব আমিরাত এর কি লাভ? অন্যদিকে ইরান রাশিয়া অপ্রকাশ্য ভাবে চীনের কি সুবিধা? এই প্রশগুলোর মধ্যে নিহিত আছে কেন এই সিরিয়ান গহযুদ্ধ।

প্রধান ও সম্ভবত একমাত্র কারন একুশ শতকের চিরচেনা সেই পাইপ লাইন পলেটিক্স।

কার গ্যাস ইউরোপের বাজারে যাবে কাতারের?না ইরানের?
নাকি পশ্চিম ইউরোপের উপর রাশিয়ার বর্তমান এনার্জি মনোপলি অব্যাহত থাকবে?


েই লড়াই এখন দ্য শিয়া ইসলামিক পাইপ লাইন ভার্সেন সুন্নী ইসলামিক পাইপ লাইন এবং রাশিয়ান গ্যাসপ্রম ভার্সেস ওয়েস্টার্ন ইউরোপ কনজিউমারের লড়াই।

* পশ্চিম ইউরোপের বাজারে কে বেশি বেশি গ্যাস রপ্তানীর সুযোগ পাবে?

*পশ্চিম ইউরোপ কতটা নিরাপদে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস আমদানী করে তা ব্যাবহারের সুবিধা নিতে পারবে? এবং

*কার গ্যাস তুলনামুলক বেশিমাত্রায় অবিক্রিত থাকার ফলে কে ভু-রাজনৈতিক ভাগে দুর্বল হয়ে পড়বে?

এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরগুলো থেকেই সিরিয়ান যুদ্ধের উৎপত্তি। সিরিয়া ও এর জনগনের দুর্ভাগ্য তারা ভু-কৌশলগত ভাবে এমন এক অবস্থানে পড়ে গেছেন যা সহজে গ্যাস রপ্তানীতে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।

বর্তমান রিজার্ভের অবস্থা এক নজরেঃ

কাতার পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম গ্যাস রিজার্ভের অধিকারি।রিজার্ভের পরিমান ২৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার এবং এর বেশির ভাগ গ্যাসকুপে মার্কিনযুক্ত রাস্ট্রের শেয়ার আছে।

ইরান পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম গ্যাস রিজার্ভের অধিকারি।রিজার্ভের পরিমান ৩০ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার।

রাশিয়া পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম গ্যাস রিজার্ভের অধিকারি।রিজার্ভের পরিমান ২৫ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার

পশ্চিম ইউরোপের একমাত্র জ্বালানী গ্যাসের পাইপ লাইন রুটঃ



বর্তমান রপ্তানী রুটের অবস্থাঃ

পশ্চিম ইউরোপে একছত্র ভাবে গ্যাস রপ্তানী করে রাশিয়া। ইউক্রেইনের উপর দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাশিয়া বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তোলন করা গ্যাস সরাসরি প্রবেশ করে পশ্চিম ইউরোপের জ্বালানী মার্কেটে। পশ্চিম ইউরোপকে তার ইন্ডাস্ট্রিয়াল
জ্বালানীর জন্য সম্পুর্ন ভাবে রাশিয়ার মর্জির উপরে নির্ভর করতে হয়। বিশাল রিজার্ভ থাকার কারনে কারনে পশ্চিম ইউরোপের উপর সরাসরি রাশিয়ান প্রভাব বাড়ছেই এবং ইউরোপিয়ানদের শিল্প টিকিয়ে রাখতে গেলে সহজলভ্য জ্বালানীর যোগানদাতা রাশিয়ার মেজাজ মর্জির উপর নির্ভর করা ছাড়া এ মুহুর্তে বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। রাশিয়া এই লিভারেজ ব্যাবহার করে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর উপরে প্রায়ই প্রভাব বিস্তার করার চেস্টা করছে।

বর্তমান চলতে থাকা মিশর টু সিরিয়া আরব পাইপ লাইনের অবস্থানঃ



যুদ্ধে সুন্নী গালফ রাস্ট্র ও তাদের মার্কিন ও পশ্চিম ইউরোপের মিত্রদের পরিকল্পনা ও কৌশলগত লাভঃ

এক দশক আগে রাশিয়ার মনোপোলি জ্বালানী ব্যাবসার হাত থেকে নিস্কৃতি পেতে ন্যাটোভুক্ত পশ্চিম ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাস্ট্রর জ্বলানী কোম্পানীগুলি এক বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেয়। সে পরিকল্পনায় বিশ্বের ৩য় বৃহৎ গ্যাস রিজার্ভ কাতার ও গালফ রাস্ট্রগুলো থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বর্তমান মিশরিয় “আরব পাইপ লাইন” ব্যাবহার করে ইরাক সিরিয়া তুরস্ক উপর দিয়ে পশ্চিম ইউরোপে সরাসরি পাইপ লাইন টানা।

এ পাইপ লাইন একবার টানতে পারলে মধ্যপ্রাচ্যের গালফ রাস্ট্রগুলোর ন্যাচারাল গ্যাস সরাসরি সম্পুর্ন নিরাপদে পৌছে যাবে পশ্চিম ইউরোপে।

ফলাফলঃ

১) অত্যন্ত দ্রুত গ্যাস বিক্রি করে ব্যাপক পরিমানে লাভবান হবে কাতার, আরব আমিরাত,কাতারের মার্কিন জ্বালানী কোম্পানি এক্সন,হেলিবার্টন, কনোকো ফিলিপ্স।

২) পাইপ লাইনের ফী ও ইউরোপের প্রধান ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্ট বা প্রবেশ দ্বার হিসাবে প্রচুর অর্থ ও কৌশলগত বিশাল সুবিধা পাবে তুরস্ক।

৩) আর পশ্চিম ইউরোপের বাজারে রাশিয়ান গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা ফুরানোয় ইউরোপে সম্পুর্ন ভাবে প্রভাব হারাবে রাশিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে গ্যাসপ্রম এবং গ্যাস রপ্তানীর অর্থ আমদানি ব্যাহত হওয়ায় ভয়াহব ধস নামবে রাশিয়ার অর্থনীতিতে যার ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়া ঘুরে দাড়ানোর সব আশা ধুলায় মিশবে।

৪) সিরিয়ায় সৌদির অনুগত সরকার থাকলে ভাতৃসম কাতারের ব্যাবসা নিশ্চত করার পাশাপাশি এর উপর নজরদারির সুযোগ থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে হুমকীর মুখে থাকা সৌদি প্রভাব ব্যাপক ভাবে শক্তি অর্জন করবে। এমনকি ঐ পাইপ লাইনে সদ্য পাওয়া লেবানন ও সিরিয়ার ভু মধ্যসাগরীয় উপকুলে গ্যাসও সরাসরি রপ্তানী করা সম্ভব।


পাইপ লাইন টানার জন্য বা রুখার জন্য প্রথমেই দরকার সিরিয়ার ভুখন্ড। রাশিয়ার প্রভাব মুক্ত অনুগত সিরিয়ার ভুখন্ডের উপর দিয়ে পাইপ লাইন যাবে তুরস্ক হয়ে ইউরোপে যাবে নাকি ইরানের পাইপ লাইন যাবে এ প্রশ্নের সমাধান নিয়েই আপাত এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।


মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমান পাইপ লাইন ও ভবিষ্যত সম্ভাব্য পাইপলাইন সমুহঃ





রাশিয়া ইরান ও মিত্রদের অবস্থান ,পরিকল্পনা ও কৌশলগত লাভঃ

সিরিয়ার উপর দিয়ে চলা বর্তমান “আরব গ্যাস পাইপলাইন” যার সাহায্যে মিশরের গ্যাস জর্ডান, লেবানন,ইসরায়েলে রপ্তানী হয় তা আরো দূরে টেনে নিয়ে তুরস্ক সীমান্ত পর্যন্ত নেয়া এবং ঐ পাইপ লাইনে কাতার সহ গালফস্টেট গুলোর পরিকল্পিত পাইপ লাইন যুক্ত হয়ে পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস রপ্তানীর কথা ছিলো। সম্প্রতি বাশার আল আসাদ ঐ পাইপ লাইন পরিকপনা বাতিল করে ইরান-সিরিয়া পাইপ লাইনের প্রস্তাব গ্রহন করেন।

ইরান পরিকল্পিত রাশিয়া প্রভাবিত ঐ ১০ বিলিয়ন ডলারের ইরান ইরাক ও সিরিয়া পাইপলাইন চুক্তি অনুযায়ি ২০১৬ সালের মধ্যে ইরানের অত্যন্ত সমদ্ধ ও বিখ্যাত সাউথ পাস গ্যাস ফিন্ড থেকে পাইপ লাইন টেনে নিয়ে ইরাক সিরিয়া হয়ে ভু-মধ্য সাগরের নীচে দিয়ে সাইপ্রাস হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করবে।

তুরস্কও যদি যথাযথ নেগোশিয়েশন করতে পারে সেক্ষেত্রে তুরস্কর উপর দিয়েও ঐ পাইপপাইনের একটা অংশ প্রবেশ করতে পারে। এবং প্রয়োজনে পরবর্তিতে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তি রাশিয়ান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সহজেই ইরানের ঐ পাইপ লাইনে সংযোগ দিয়ে রাশিয়াও ঐ রপ্তানী বানিজ্যে সংযুক্ত হতে পারবে।

ফলাফলঃ

১)সুন্নী অধ্যুষিত মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর গ্যাস রপ্তানী প্রবৃদ্ধিতে ধস ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের আশংকা।

২) কাতারের বিশাল সব স্বপ্নের আপাত সমাপ্তির পাশাপাশি কাতারে ইনভেস্ট করা মার্কিন কোম্পানীগুলোর খুব অল্প সময়ে প্রচুর মুনাফা করা , দ্রুত খরচ উঠানো ও লাভে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রেভেন্যু দ্রুত আসার পরিকল্পনা নস্ট হয়ে যাওয়া।

৩) ন্যাটোভুক্ত পশ্চিম ইউরোপিয়ান দেশগুলোর রাশিয়ার একছত্র জ্বালানী আধিপত্য থেকে মুক্ত হয়ে আশার সব চেস্টা ব্যার্থ হয়ে যাওয়া ও ন্যাটোভুক্ত তুরস্কে রাশিয়ার প্রভাব তৈরির মার্কিন আশংকা।

৪) গ্যাস রপ্তানী বানিজ্যে রাশিয়ার তার অবস্থান ধরে রাখার ফলে ধসে পড়া ইউরোপিয়ান অর্থনীতির ঠিকা পাশে অবস্থান করা রাশিয়া অর্থনীতি অত্যন্ত মজবুত থাকা ও রাশিয়া তার পুরানো সুদিনের পথে ফেরার সুযোগ আরো একবার পাবে।

৫) মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বহুগুন বৃদ্ধি

৬) সৌদি রাজ পরিবারের প্রভাব আরো কমে যাওয়ার আশংকা

৭)ইরান শক্তিশালী হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া ইসলামের প্রভাব খুব দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রায় হাজার বছর পর সুন্নী ধর্ম নেতাদের প্রভাবের হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা।

৮) হামাস ও হিজবুল্লাহর অর্থের উৎস নিরাপদ থাকার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাওয়া।

৯) এই শতাব্দী পর ইসরায়েলের টিকে থাকার সম্ভবনা ক্ষীন হয়ে আসা


ইক্যুয়েশনের এ অবস্থায় রাশিয়া ইরান অক্ষ সাময়িক ভাবে বিজয়ী হলেও কাতার,সৌদি,মার্কিন ও পশ্চিম ইউরোপ অক্ষ সহসাই ফিরে আসার চেস্টা করবেই কারন উভয় পক্ষের জন্য এ যুদ্ধ টিকে থেকে সামনে আগানো নিশ্চিত করার যুদ্ধ।

এই যুদ্ধে দিনের শেষে পুঁজিবাদ বিজয়ী হলেও সিরিয়ার সাধারন জনগনের দুর্দশার সমাপ্তি কবে হবে তা বলা মুশকিল। তাদের ভাগ্যে কি ঘটলো তাতে কারোই কিছু আসে যায় না।

তবে এ যুদ্ধে যে জয়ী হবে সে আগামী দিনের পুঁজি নিয়ন্ত্রনের জন্য খুব ভালো একটা অবস্থানে চলে যাবে নিশ্চিত ভাবেই। তাই বলা যায় আরেকটি বিভাজিত কোল্ডওয়ারময় বিশ্ব হয়তো অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

পুনশ্চঃ সম্প্রতি মায়ানমারের উপকুলে গ্যাসের রিজার্ভের পরিমান ২ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার বলে জানা গেছে।এই গ্যাস কে কার কাছে বিক্রি করবে এবং এ পন্য বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়ার উপকরন পাইপ লাইন কার উপর দিয়ে টানা সহজ ও কস্ট এফেক্টিভ হবে এ নিয়া বাংলাদেশের চিন্তা করার ও চিন্তায় পড়ার সুযোগ আছে বৈকি।

তথ্যসুত্রঃ

১)দ্যা গ্লোবাল রিসার্চ
২)এশিয়া টাইমস
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
১৭টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×