somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সূচির চোখে জল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুই যমজ ভাইবোনের গল্প। এক মিনিটের বড় বোন সূচি, আর এক মিনিটের ছোট ভাই পত্র। চেহারা, গায়ের রং, হাঁটা চলা ও কথাবার্তায় দারুণ মিল। তবে হুবহু নয়। নারী পুরুষের প্রাকৃতিক পার্থক্যের কারণে এদের মধ্যেও অমিল রয়েছে। সবচে’ বড় অমিল হলো এদের স্বভাব। সূচি হলো চুপচাপ শান্তশিষ্ট মেয়ে, আর পত্র হলো ডাকাবুকো টাইপের অতি চঞ্চল ছেলে। ধৈর্য সহ্য একেবারে কম। মুখে তার সব সময় খই ফোটার মতো কথা ফোটে। কারো সাথে কথা বলার সময় সব কথা সে একাই বলে। অন্যকে কথা বলার সুযোগ দেয় না।

স্বাভাবিকভাবে এমন বাচাল ছেলে কারো প্রিয়পাত্র হবার কথা নয়। স্কুলে বা কলেজে পত্রের কোন বন্ধু ছিল না। এখন সে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, সেখানেও তার কোন বন্ধু নেই। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সূচিও পড়ে। ঘরে বাইরে সব জায়গায় সূচিই তার একমাত্র বন্ধু। ক্লাস না থাকলে দু’জন কলা ভবনের পেছনে আম গাছের ছায়ায় বসে গল্প করে। এ সময় পত্র হয়ে যায় বকাউল্লাহ, আর সূচি থাকে শোনাউল্লাহর ভূমিকায়। সূচিই হলো পত্রের একমাত্র ভক্ত শ্রোতা। সে কখনো পত্রের কথায় বিরক্ত হয় না। বাসায় ওদের বাবা মাও পত্রের ম্যারাথন কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যান। টালবাহানা করে তারা কেটে পড়েন। কিন্তু ঘরে বা বাইরে সূচি সব সময়ই পত্রের একজন নিবিষ্ট শ্রোতা। সে হাসি মুখে ভাইয়ের সব কথা শোনে। দু’একটা কথার জবাবও দেয়। আর মনে মনে ভাবে, তার ভাইটা যদি কথা বলে আনন্দ পায় তো পাক না! কত মানুষ তো কত খারাপ কাজ করে আনন্দ পায়! তার ভাই কোন খারাপ কাজ করছে না। সে শুধু কথা বলে। তার কথার কোন দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন নাই। তাতে কি? কথা বলে যদি তার ভালো লাগে তো বলুক না! ভাইকে সে সুখী দেখতে চায়।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে ভাইবোন দু’জনে চাকরি পেল। সূচির ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা করার। সে একটি বেসরকারি কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি পেল। পত্রের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ছিল না। তার বাবা ষ্টীল মিল কর্পোরেশনের রিটায়ার্ড অফিসার। সেই সুত্রে ধরাধরি করে বাবার চেষ্টায় এক রি-রোলিং কোম্পানিতে তার চাকরি হলো। জুনিয়র এ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ। বোন থেকে গেল ঢাকায়, আর ভাই চলে গেল চিটাগং। কিন্তু ভাইবোনের মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ হলো না। পত্র তার বেতনের প্রায় সব টাকা মোবাইল ফোনে কথা বলে উড়িয়ে দিতে লাগলো। এমনও হলো, ঢাকা থেকে সূচির পাঠানো টাকা দিয়ে সে কোন কোন মাসে তার ঘাটতি খরচ মেটাতে লাগলো। সূচি তবুও আগের মতো ধীর স্থির। সে আগের মতোই ধৈর্য ধরে তার ভাইয়ের কথা শোনে। তবে পত্রের ঘন ঘন ফোন কলে তার পেশাগত কাজে কিছু ব্যাঘাত হতে লাগলো। সূচি তবুও কল রিসিভ না করে ভাইকে কষ্ট দিতে চায় না।

সূচির দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন কানে ধরে রাখার কথা অধ্যক্ষ সাহেব জানতে পারলেন। তিনি সূচিকে নিজের অফিস রুমে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘ম্যাডাম, বায়োডাটায় দেখলাম আপনি আন ম্যারেড। সারাদিন ফোনে এত কথা বলেন কার সাথে? কোন বিশেষ বন্ধু আপনার থাকতেই পারে। কিন্তু কলেজে ডিউটিরত অবস্থায় তার সাথে এত কথা বলা তো এ্যাকসেপ্টেবল নয়। ছাত্র ছাত্রীরা পর্যন্ত হাসাহাসি করে। এগুলো তো খেয়াল করবেন!’
সূচি একটুও উদ্বিগ্ন না হয়ে শান্ত গলায় বললো, ‘স্যার, আমার ছোট ভাইয়ের সাথে কথা হয়। সে আমার টুইন। চিটাগং থাকে।’
অধ্যক্ষ পুরোপুরি অবিশ্বাসের সাথে বললেন, ‘ভাইয়ের সাথে বোনের এত কি কথা থাকতে পারে? ইওর আনসার ইজ নট লজিক্যাল।’
ঠিক এই সময় পত্রের ফোন এলো। সূচি কল রিসিভ করে স্পিকার অন অবস্থায় সেলফোনটা টেবিলের ওপর রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলতে অধ্যক্ষকে শোনার জন্য ইঙ্গিত করলো। প্রায় আধা ঘণ্টা কথাবার্তার মধ্যে সূচির হুঁ হাঁ ছাড়া অবশিষ্ট সব কথাই পত্রের। কথা শেষ হলে অধ্যক্ষ সাহেব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে সূচির মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। সুচি চলে যাবার পর তিনি দু’হাতে মাথা চেপে ধরে বসে থাকলেন।

পত্রের চাকরি করতে ভালো লাগেনা। সে এ্যাকাউন্টিং-এ মাস্টার্স করে এলেও কোম্পানির হিসাব নিকাশের খটমটে কাজে বিরক্ত হয়। বিরক্তি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সে মোবাইলে সূচির সাথে কথা বলে। বিরামহীন কথা, বিরামহীন সুখ। ফাইলের কাজ পেন্ডিং পড়ে যায়। টানা ছয় মাস কাজ পেন্ডিং পড়ায় কোম্পানির ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ও ভ্যাটের চালান দাখিল করা হয় না। কোম্পানির নামে এন বি আর থেকে নোটিশ আসে। পত্রের বস রেগে আগুন। কোম্পানিতে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন লোক চলে না। একদিন কোম্পানি থেকে পত্রের হাতে টাইপ করা টারমিনেশন লেটার ধরিয়ে দেওয়া হলো। ইওর সার্ভিস ইজ নো লংগার রিকোয়ার্ড।
পত্র ভীষণ খুশি। এখানে অফিসে কারো সাথে কথা বলে শান্তি নেই। সব গোমড়ামুখো রোবট। এদের সাথে চাকরি করা যায় না। এমন চাকরি থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। সে খুশি মনে ঢাকায় ফিরে এল। কিন্তু সূচি ছাড়া সে আর কাউকে খুশি করতে পারলো না। বাবা মাসহ সবাই তার ওপর নাখোশ। সূচি বললো, ‘চিন্তা করো না, বাবা। ওর নিশ্চয় অন্য কোথাও চাকরি হয়ে যাবে।’
পত্র ব্যাংকে ইন্টারভিউ দিল, বায়িং হাউসে ছুটাছুটি করলো, এমনকি সরকারি চাকরির জন্য বি সি এস পরীক্ষাও দিল। কিন্তু কোথাও কিছু হলো না। শেষে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক পদে আবেদন করে সে ঘোষণা দিল যে, এবার যদি চাকরি না হয় তো সে আর চাকরিই করবেনা।
সূচি বললো, ‘তাহলে কি করবি?’
পত্র বললো, ‘ব্যবসা করবো।’
সূচি বললো, ‘ব্যবসা করার টাকা পাবি কোথায়? বাবা রিটায়ার্ড মানুষ। পেনশন ছাড়া তো বাবার আর কিছু নাই।’
‘তুই আছিস না!’ ব্যবসার ফজিলত নিয়ে পত্র ভাষণ দেওয়া শুরু করে দিল। নবীজির ব্যবসা করার দৃষ্টান্ত থেকে শুরু করে বিল গেটসের বিশ্বসেরা ধনী হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুই বাদ গেল না। সফল ব্যবসায়ী হতে হলে কি কি করতে হবে, এ সম্পর্কিত ডেল কার্নেগীর এক ডজন পরামর্শ সূচিকে জানিয়ে দিল সে। সূচি ধৈর্য ধরে সব শুনে মনে মনে হাসলো। হায় রে ভাইটি তার! দুনিয়াটা তার কাছে কত সহজ! মুখে বললো, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে, আগে দেখ এই চাকরির কি হয়! তারপর নাহয় ব্যবসা নিয়ে ভাবা যাবে।’

সূচি চাকরি পাওয়ার আগে থেকেই বাবা করিম সাহেব ওর বিয়ের চেষ্টা করছিলেন। মেয়ের বয়স হয়েছে। চাকরি করাও দু’বছর হয়ে গেল। আর দেরি করা যায় না। চাকরিজীবী মেয়ের বরের অভাব হয় না। করিম সাহেব উপযুক্ত বর পেয়ে গেলেন। ছেলে সদ্য বি সি এস করা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। বংশ ফ্যামিলি ভালো। ছেলের ভাই বোনেরা সবাই উচ্চ শিক্ষিত।

পত্রের প্রাইমারী শিক্ষক পদের চাকরি হলো না। কিন্তু সূচির বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। ছেলে পক্ষের কোন দাবি দাওয়া নেই। তারা যত দ্রুত সম্ভব বিয়ের কাজ সেরে ফেলতে চায়। কিন্তু বিয়ের সাতদিন আগে শাহবাগের রাস্তায় মোটর সাইকেল এ্যাকসিডেন্ট করে পত্র তার ডান পা ভেঙ্গে ফেললো। প্লাস্টার করা ভাঙ্গা পা নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে বক বক করতে লাগলো। এ্যাকসিডেন্টের জন্য সে যে মোটেই দায়ী না, সেটা নানা তথ্য উপাত্ত দিয়ে সে বাবা মা ও বোনকে বোঝানোর চেষ্টা করতে লাগলো। সূচির চোখে জল। সে বাড়ি ফিরে বাবাকে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিতে বললো। ছেলেপক্ষ খুবই ভদ্র ও সহানুভূতিশীল। তারা হাসপাতালে গিয়ে পত্রকে দেখে যথেষ্ট সমবেদনা জানিয়ে এল। কিন্তু বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিতে তারা রাজী নয়। তাদের সমস্যা হলো, ছেলের বড় বোন ও দুলাভাই আমেরিকায় থাকে। শুধু এই বিয়ে উপলক্ষেই তারা বাচ্চা কাচ্চাসহ দেশে এসেছে। বিয়ের একদিন পরেই তারা আমেরিকা ফিরে যাবে। সেভাবে তাদের ফ্লাইট কনফার্ম করা আছে। বাচ্চা কাচ্চার লেখা পড়ার ব্যাপারে ওদেশে খুব কড়াকড়ি। তাছাড়া দু’পক্ষ থেকেই বিয়ের কার্ড বিলি বণ্টন করা হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বিয়ের তারিখ পেছানো যায় না।

করিম সাহেব দিশাহারা হয়ে পড়লেন। সূচি পত্রের মামা শামসুলের সাথে পরামর্শ করে একটা উপায় বের করা গেল। যেহেতু বিয়ের এখনো ক’দিন বাকি আছে, তাই এই সময়ের মধ্যে পত্রকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে আনা যায়। ফ্র্যাকচার কেসে বাসায় শুয়েও বিশ্রাম নেওয়া যায়। তবে পত্রের গায়ে জ্বর থাকায় হাসপাতালের ডাক্তার বিনা বন্ডে ছেড়ে দিতে রাজী নন।
বিয়ের একদিন আগে বন্ড দিয়ে পত্রকে বাসায় আনা হলো। সে তার বিছানায় শুয়ে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা নিয়ে বক বক করতে লাগলো। ডাক্তাররা অযোগ্য, নার্সরা ইনহিউম্যান। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। অল আর ননসেন্স।

সারা বাড়ি বিয়ের সাজে সেজেছে। ফ্ল্যাট বাড়ি হলেও পুরো বিল্ডিং নানা রঙের ডেকরেটিভ লাইটের আলোয় ঝলমল করছে। করিম সাহেবের আত্মীয়স্বজনে বাড়ি ভর্তি। কাছাকাছি এক কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান ও অতিথি সেবার আয়োজন করা হয়েছে। শামসুলকে সাথে নিয়ে করিম সাহেব সব আয়োজন দেখ ভাল করতে ব্যস্ত।

ভাইয়ের বিছানার পাশে বসে সূচি নিঃশব্দে কাঁদছে। তার বিয়েতে একমাত্র ভাইটি ভাঙ্গা পা নিয়ে বিছানায় পড়ে থাকবে- এটা মেনে নিতে পারছেনা সে। খুব কষ্ট হচ্ছে তার। কিন্তু কোন কথা বলছেনা সে। কথা যা বলার পত্রই বলছে। সূচির একটা হাত নিজের ব্যান্ডেজ করা হাতের মধ্যে নিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে সে। বরের ছবি দেখে সে খুব খুশি হয়েছে, সূচির সাথে দারুণ মানাবে, এত ভালো ফ্যামিলিতে বিয়ে হচ্ছে ভাবা যায়না, ‘সূচি, তোর ভাগ্য খুব ভালো রে বোন!’-এইসব বিরতিহীন প্রশংসাবাক্য পত্রের মুখে। সূচি অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকে ভাইয়ের মুখের দিকে। আহা! হতভাগা ভাইটি তার! যমজ ও একমাত্র বোনের বিয়েতে ভাঙ্গা পা নিয়ে বিছানায় পড়ে আছে সে।

বিয়ের দিন সকাল থেকে কাঁদছে সূচি। দুপুরে জুম্মার আগে কালমা হবে। সাজানোর জন্য মেয়েরা সূচিকে পার্লারে নিয়ে যেতে জোরাজুরি করছে। কিন্তু পত্রকে ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছা করছেনা সূচির। পত্রের গায়ে ভীষণ জ্বর। ডাক্তার এনে দেখিয়ে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। পত্র নিজেকে সুস্থ দেখাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। জ্বরে টসটসে লাল চোখ মুখ নিয়ে সে বার বার সূচিকে তাগাদা দিচ্ছে পার্লারে যেতে। যেন তার কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব। প্লাস্টার করা ভাঙ্গা পা নিয়ে সে বিছানা থেকে উঠতে পারছে না, পারলে হয়তো সে নিজেই বোনকে নিয়ে যেত পার্লারে।

দুপুরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে সূচির গা কাঁপিয়ে জ্বর এলো। জমকালো বেনারসি ও গয়না গাঁটি পরে কাঁপা কাঁপা হাতে বিয়ের রেজিস্টারে সই করলো সে। মুখের ভেতরটা তেতো। লিপস্টিক দেওয়া দুই ঠোঁট খসখসে শুকনো। ভীষণ তেষ্টা পাচ্ছে সূচির। পাশে বসা সুদর্শন বরের প্রতি একটুও ভ্রুক্ষেপ নেই ওর। বাবাকে কাছে পেয়ে সে জিজ্ঞেস করলো, ‘পত্র কেমন আছে, বাবা? ওর কাছে কেউ আছে তো?’ করিম সাহেব মেয়েকে আশ্বস্ত করে বললেন, ‘চিন্তা করো না, মা। তোমার মা আছে ওর কাছে। আমি এইমাত্র মোবাইলে খবর নিলাম। পত্রের জ্বর ছেড়ে গেছে। সে এখন ঘুমাচ্ছে।’

পত্রকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেল সূচি। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবার সাথে সাথে সে বাসায় যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করে দিল। কারো কথা শুনতে সে রাজী নয়। তাকে এক্ষুনি পত্রের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কমিউনিটি সেন্টারে তদারকির দায়িত্ব শামসুলকে দিয়ে করিম সাহেব মেয়ে জামাই নিয়ে বাসায় চলে গেলেন।

পত্র সত্যি সত্যিই ঘুমাচ্ছে। তবে ঘুমের মধ্যেও তার মুখ বন্ধ নেই। জড়ানো কণ্ঠে একটানা কথা বলে চলেছে সে। ঘুমের মধ্যে কথা বলা তার পুরনো অভ্যাস। পাশে বসে থাকা মা হাত ইশারায় জানালেন, পত্রের কথা বোঝা যাচ্ছেনা। সূচি নিঃশব্দে পত্রের পাশে বসে ওর মুখের কাছে কান নিয়ে শুনতে চেষ্টা করলো সে কি বলছে? আর কেউ না বুঝলেও পত্রের কথা সূচি ঠিকই বুঝবে। হাঁ, এই তো বোঝা যাচ্ছে! পত্র বিড় বিড় করে বলছে, ‘তোর বিয়ের পর আমি কার সাথে কথা বলবো, বোন? তুই ছাড়া যে আমার কথা কেউ শোনে না!’
**********************************************************************************************************************
(এই গল্পটি মাসিক মৌচাকে ঢিল পত্রিকার ফেব্রুয়ারি/২০১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত। ব্লগার বন্ধুরা যারা পড়েননি, তাদের জন্য ব্লগে প্রকাশ করলাম )
রি-পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×