নিউ ইয়র্ক টাইমস বনাম সুলিভান [৩৭৬ ইউ এস ২৫৪ (১৯৬৪)]
নিউ ইয়র্ক টাইমস কোম্পানি -- আবেদনকারী
এল বি সুলিভান -- রেসপন্ডেন্ট
রায় ঘোষণার তারিখ: মার্চ ৯, ১৯৬৪
বিচারপতি উইলিয়াম জে ব্রেইনেন সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণ
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে যখন নাগরিক অধিকার আন্দোলন চলছিল, তখন নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটা বিজ্ঞাপন চাপা হয়। পূর্ণ পৃষ্ঠা ব্যাপী ঐ বিজ্ঞাপনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং এর বিরুদ্ধে আনিত মামলার খরচ মিটানোর জন্য দান করার জন্য আবেদন করা হয়। ঐ বিজ্ঞাপনে কিছু ছোটোখাটো ভুল তথ্য ছিল, যেমন-এলাবামার মোন্টগোমেরি পুলিশ কতবার লুথার কিংকে গ্রেফতার করেছে এবং কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে। শহরের জননিরাপত্তা কমিশনার এল বি সুলিভান নিউ ইয়র্ক টাইমসকে চিঠি দিয়ে বলে বিজ্ঞাপন থেকে ভুল তথ্যগুলি প্রত্যাহার করতে, যদিও বিজ্ঞাপনে সুলিভানের নাম কোথাও উল্লেখ করা হয় নাই।
নিউ ইয়র্ক টাইমস সুলিভানের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায়, সে টাইমস এবং বিজ্ঞাপন দাতা আফ্রিকান-আমেরিকান একটা গ্রুপের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করে। আদালত ৫ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়। এলাবামার গভর্নর জন পেটার্সনের অনুরোধে টাইমস বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নেয়।
বিচার্য বিষয়
(১) এলাবামার মানহানির আইন অসাংবিধানিক ভাবে সংবিধানের ১ম সংশোধনী, যাতে বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, লঙ্ঘন করেছে কি?
রায়
বিচারপতি উইলিয়াম জে ব্রেইনেন সংখ্যাগরিষ্ঠ রায় প্রদান করেন।
বিচার্য বিষয়ের উত্তর--হাঁ। এলাবামার মানহানির আইন অসাংবিধানিক ভাবে সংবিধানের ১ম সংশোধনীকে লঙ্ঘন করেছে। আক্রোশমূলক না হলে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো বক্তব্য, তা যদি মিথ্যাও হয়, তা প্রকাশ করার অধিকার সংবিধানের ১ম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত।
বিশ্লেষণ
এই রায়ের মাধ্যমে --
১. সংবাদ মাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতার নতুন একটা মাত্রা লাভ করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭