মোবাইলে কাজ করে প্রতিদিন আয় করুন ৫/৬ ডলার অনলাইন মাইক্রোজব সাইট থেকে।

প্রথমেই বলে নেই টাকা উপার্জন করা কোন সহজ কাজ না এবং এ কথাটি অনলাইন এর ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য। ইন্টারনেটে টাকা ওড়ে না যে ৩ মিনিটে একটা এ্যাপ ডাউনলোড করলেই বা একটা সাইন আপ করলেই আপনাকে ৩/৫ ডলার বা ২৫০/৫০০ টাকা দিয়ে দিবে । ৩ মিনিটে ইন্টারনেটে ১০ টাকা আয় করাও খুব কস্টের কাজ। তাই এক ক্লিকে ১০০ ডলার জাতীয় অফার থেকে দুরে থাকুন।

আজ আমি যে সাইটটির কথা বলবো সেটি মাইক্রোজব সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় সাইটগুলোর মধ্যে একটি যার নাম ক্লিক্সসেন্স। এ সাইটটি বর্তমানে পিটিসি বাদ দিয়ে বিভিন্ন মাইক্রো জব, সার্ভে, অফার ও রেফারেল এর মাধ্যমে ডলার উপার্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে। আপনি ভালভাবে কাজ করলে প্রতিদিন ৫/৬ ডলার আর আপনার কাজের গতি বেশি হলে আরও অনেক বেশি ( যত আপনি করতে পারবেন তত ) আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজে লেগে থাকতে হবে । তাই কাজ করার ধৈর্য না থাকলে আর না আগানোই আপনার জন্য ভাল হবে।

এই সাইটের আরেকটি সুবিধা হল বেশিরভাগ কাজ আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারবেন। আর কম্পিউটার দিয়ে তো সব কাজই করা যাবে । তবে কম্পিটারে কাজ করাই আপনার জন্য বেশি ভাল হবে । তো আর কথা না বাড়িয়ে কি করতে হবে তাই বলি।

প্রথমে https://csl.ink/48e4 এই লিংকে গিয়ে সাইন আপ করুন । তারপর আপনার ই মেইলে গিয়ে একাউন্টটি ভেরিফাই করে নিন।

এবার কাজ কিভাবে শুরু করবেন তাই বলি। এই সাইটের কাজগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। একেকটি করে এখানে সবগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

১. মাইক্রোজব

ক্লিক্সসেন্স এ সবচেয়ে বেশি আয় করা যায় মাইক্রোজব করে যাকে টাস্ক বলা হয়ে থাকে। একেকটি টাস্ক একেক রকম এবং তাদের জন্য নির্ধারিত পেমেন্টও ভিন্ন। এখানে সাধারনত অসংখ্য টাস্ক দেয়া থাকে । তার মানে আপনি যত বেশি টাস্ক করবেন আপনার আয়ও তত বেশি হবে।
টাস্কগুলোর ধরণ সাধারনত এমন – বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করা, লিংক কপি পেস্ট করা, গুগলে সার্চ করে বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট খুজে বের করা, কোম্পানির ফেসবুক পেজ, লিংকডইন পেজ খুজে বের করা ইত্যাদি। তবে প্রতিদিনই পুরোনো কাজ শেষ হয়ে নতুন কাজ শুরু হয়। টাস্ক করতে নিচের পদ্ধতি ফলো করুন ।

১. ক্লিক্সসেন্স এর মেনু বার এ যান । ওখানে Complete Task এ ক্লিক করুন । কিছু টাস্ক এর লিস্ট এবং ঐ টাস্ক এ কত ডলার পাবেন তার বর্ণনা দেখতে পাবেন । আপনার পছন্দমত একটি টাস্ক এর নামের ওপর ক্লিক করুন ।

এখানে এখন Figure Eight এর কাজ চলছে তাই আপনাকে Figure Eight এর সাইটে নিয়ে যাবে এবং সাইন আপ করতে বলবে । সাইন আপ করে ই মেইল ভেরিফাই করুন।

২. এবার আপনি কাজ করার জন্য প্রস্তুত । প্রথমেই কাজটি কিভাবে করতে হবে তা ভাল করে পড়ে বুঝে নিন। এই অংশটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারন কাজ ভালোভাবে বুঝে না নিলে কাজে ভুল হবে এবং যদি আপনি ৩০% এর বেশি ভুল করে ফেলেন তবে ঐ টাস্কটির পেমেন্ট পাবেন না আর ঐ জব আইডির কাজও আর করতে পারবেন না । শেখা হয়ে গেলে যথাসম্ভব নিখুতভাবে কাজটি সম্পন্ন করুন । তারপর সাবমিট করুন । প্রতিটি কাজ সফলভাবে শেষ করার ১/২ ঘন্টার মধ্যেই ঐ কাজের জন্য বরাদ্দ করা ডলার আপনার ক্লিক্সসেন্স একাউন্টে জমা হয়ে যাবে । কাজ করতে থাকুন আর ডলার জমাতে থাকুন।



এখানে আরও একটি বিষয় আছে আর তা হল আপনার কাজের Accutacy আর কাজের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে আপনার লেভেল বাড়বে। যত বেশি লেভেল এ যাবেন কাজ ততো সহজ হবে এবং ঐসব কাজের পেমেন্টও বাড়বে।

একেকটি জব আইডিতে একই রকম ১০০/২০০ টাস্ক থাকে। তাই এমন জব আইডির টাস্ক সিলেক্ট করুন যাতে টাস্ক বেশি আছে। তাহলে একবার কাজ শিখেই ১০০/২০০ টাস্ক শেষ করা যাবে ফলে কম সময় ও শ্রমের বিনিময়ে আয় বেশি হবে ।

২. সার্ভে থেকে আয়

বিভিন্ন ধরনের সার্ভে প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে ক্লিকসেন্সে আরো বেশি আয় করা সম্ভব। প্রতিটি সার্ভে সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য তারা আপনার ১.২৫ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট দিয়ে থাকে।

খেয়াল রাখার বিষয়টি হলো সার্ভে প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার সার্ভে প্রোফাইলটি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। সার্ভে প্রোফাইলের লিংকটি আপনার অ্যাকাউন্টের মেনু বারে থাকে। সার্ভে প্রোফাইল সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা, আপনার শখ সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিতে হবে যার মাধ্যমে ক্লিকসেন্স বুঝতে পারবে যে কোন ধরনের সার্ভেগুলোর জন্য আপনি সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। তবে এখানে ভুল তথ্য না দিলে এবং পরে ধরা খেলে আপনাকে আর কখনো সার্ভের কাজ করতে দিবে না। তাই সতর্ক থাকুন, ঠিক তথ্য দিন।

৩. অফার থেকে আয়

অফারের মধ্যে সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরী করা বা কোন একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করার মত ১১ ধরনের কাজ থাকে যা থেকে অতিরিক্ত অর্থ আয় করতে পারবেন।

এবার আসি পেমেন্ট এর কথায় । Clixsense এ পেমেন্ট কয়েকটি মাধ্যমে দেয়া হয় তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল পেওনিয়ার। Payoneer Master Card এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশের এটিএম বুথেই টাকা তোলা যায় (বাংলাদেশ ও ভারত সহ ) । পেওনিয়ার এ কিভাবে টাকা আনবেন তা গুগল এ সার্চ দিয়ে যে কোন সময় জেনে নিতে পারবেন । ক্লিক্সসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার হলে ডলার ইউথড্র করা যায় তবে পেওনিয়ার এ ২০ ডলার এর নিচে ইউথড্র করা যায় না ।

সবশেষে কিছু সতর্কতামূলক বিষয় জেনে নিন। একটি আইপি দিয়ে ( একই কম্পিউটার/মোবাইল/ডিভাইস/মডেম/সিম/ইন্টারনেট কানেকশন ) একাধিক আইডি খুলবেন না। তাহলে আপনার সব আইডি সাসপেন্ড হয়ে যাবে ফলে আপনার কষ্টার্জিত ডলার আপনি হারিয়ে ফেলবেন।

এবার অনলাইনে কাজ শুরু করার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি জেনে নিন । টাকা উপার্জন করা বাস্তব জীবনে যেমন কঠিন, অনলাইনেও ঠিক তেমনই কঠিন । অনলাইনে আয় করতে চাইলে এই কঠিন সত্যটি মেনে নিতে হবে, পরিশ্রম করার মানসিকতা নিয়ে কাজে নামতে হবে।

প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ অনেক কঠিন মনে হবে। কাজ ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করবে। এই পর্যায়ে যারা হার মেনে নেয় তারাই ব্যর্থ হয়, আর যারা হাল ছেড়ে না দিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে তাদের কাছে ধীরে ধীরে কাজটি সহজ মনে হয়, এবং সফল হয়।


ক্লিক্সসেন্স রেফারেল দিয়েও আয় করতে পারবেন । ভবিষ্যতে আরও নতুন উপায় ও আসবে তাই দেরি না করে এই লিংকে https://csl.ink/48e4 গিয়ে সাইন আপ করে কাজ করা শুরু করে দিন।

যাদের নিজেদের ল্যাপটপ নেই তারা ঠিকভাবে কাজ করলে হয়ত এক মাসেই একটি ল্যাপটপ কেনার মত ডলার উইথড্র করতে পারবেন এবং পরের মাস থেকে আরও বেশি ডলার আয় করতে পারবেন । তাই ফেসবুকে অযথা সময় নস্ট না করে এখনই কাজ শুরু করে দিন।


বি:দ্র:

১. আপনি জদি সাইন আপ করার সময় বা পরবর্তিতে আপনার যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তা না দেন তবে আপনার একাউন্ট এক্টিভেট হবে ফলে আপনি ডলার উইথড্র করতে পারবেন না। তাই ঝামেলা এড়াতে সাইন আপ করার সময়ই আপনার সকল তথ্য দিন।

২. সার্ভের মাধ্যমে ডলার পেতে মেনু বারের সার্ভে পেজে গিয়ে আপনার সার্ভে প্রোফাইল আপডেট করে নিন।

৩. নতুনরা প্রথমেই টাস্ক না করে অফারের কাজগুলো করুন কারণ এগুলো করা সহজ।

হাল না ছেড়ে কাজে লেগে থাকুন । একজন সফল ও একজন ব্যার্থ মানুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল সফলরা হাল না ছেড়ে কাজে লেগে থাকে আর ব্যার্থরা ব্যার্থতাকেই জীবনের সঙ্গী করে নেয়।

শুভকামনা রইলো।