somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তমনা হওয়া কি কোন অপরাধ?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন আগের থেকে নিজেকে মুক্তমনা বলে দাবি করি। সমাজের কোন অন্যায় অত্যাচার কে যেমন সংঙ্গ দিতাম না। ঠিক তেমনি ধর্মীয় কোন ব্যাখ্যা বিশ্বাস করিনি কোনদিন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার হাজার হাজার জনগন তাদের উপর অত্যাচারের জন্য নিজেকে এবং দেশকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। তারা তাদের দেশকে বাঁছিয়েছে বলে আজ তারা মুক্তিযোদ্ধা। কেন আমি যদি এই অন্ধ বিশ্বাসকে না বিশ্বাস করি, এই অন্ধবিশ্বাস কে না মানি তাহলে কি আমার অপরাদ? সব সময় সত্যকে বিশ্বাস করেছি বলে খুব অল্প দিনে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। মা বাবার কাছ থেকে ও ধুরে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি যখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ি তখন থেকে আমি ধর্ম বিশ্বাস থেকে বিরত। কিন্তু তখন ভয় পেতাম। যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমার আস্ত রাখবেনা। সবার আগে আমার বাবা মা। আমার বাবা মা খুব জামাতী। বলা যায় এক ধরণের উগ্র জামাত। আমাকে এবং আমার ভাই বোনকে এতটাই ধর্মীয় কুসংস্কাররে তালিম দিয়েছে যে তারা মুসলিম ধর্মাবলাম্ভী কোন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ধর্মের ব্যক্তির সাথে মিশেও না। আমি যখন স্কুল এ পড়তাম তখন আমার অনেক গুলো বন্ধু ছিল হিন্দু। আবার আমি যে পার্টি করতাম তার ও অনেক হিন্দু কমরেড ছিল। যারা সব সময় আমার বাড়িতে যেতে চাইতো কিন্তু আমি আমার পরিবারের ভয়ে কোন দিন নিয়ে যেতাম না। কিন্তু যখন এসব কুসংস্কারকে লাথি মারতে শিখেছি ঠিক তখন থেকে আমি কোন না কোনদিন ইচ্ছা করে আমার হিন্দু বন্ধুদের বাড়িতে নিয়ে যাই। সে দিন থেকে ধর্ম কে বিশ্বাস করা পুরোপুরি বাদ দিয়েছি। সে দিন থেকে সব কুসংস্কার অন্ধকার জীবনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। এক সময় আমার মা বাবা জেনে যায়। আমি ইসলাম বিশ্বাস করিনা। আমি ধর্মের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখি। আমি তাদের মতের সাথে একমত নই। তাদের আদর্শ কে লাথি মারি। তারা অনেক চেষ্টা করার পর ও আমাকে নামাজ পড়াতে পারেনা। অনেক চেষ্টা করার পর ও আমার গলায় তাবিজ লাগাতে পারেনি। ঠিক তার কিছু দিন পর আামাকে আলটিমেটাম দিয়েছিল, তুমি যদি ঠিক না হও তাহলে তোমাকে অল্প দিনে বাড়ি চারতে হবে। আমি তখন বলেছিলাম। তোমরা আমাকে ছোট বেলা থেকে সব সময় সত্য কে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছো। আর আজ আমি যখন সত্যের স্ঙ্গং দিচ্ছি আর তখন আমকে তোমরা মিথ্যার আশ্চয় নিতে বলছ। আমি তখন এস.এস,সি পরিক্ষা পাশ করি। ঠিক সে সময় আমি বাড়ি ছাড়ি। তার পরে অনেক দিন যাইনা। আর আমার সমস্ত ব্যয় আমাকে বহন করতে হয়। অনেক কষ্ট করে কলেজে ভর্তির টাকা জোগাড় করেছিলাম। তার পর থেকে টিউশন করে মানুষের কাছ থেকে বলে কয়ে নিয়ে পড়া লেখা করে এখন এইচ. এস. সি শেষ করে বিশ্বাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু এখন কিছু ভাল আছি। সামান্য টাকা আসে আমার হাতে। ভাল ভাবে চলতে ও পারি। আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না। যখনই একটু সুখ পেতেছিলাম আর তখনই আজ একটা সমস্যা হয়। আমার সম্পাদক আমাকে বাবা মায়ের মতো শেষ আলটিমেটাম দিয়েদিয়েছে। যে তোমাকে আমাদের সাথে কাজ করতে হলে তিনটা কাজ করতে হবে।১. আমাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।২. ধর্ম বিরোধী লেখা লেখি বন্ধ করতে হবে। ৩.দাড়ি গোপ ২দিন পর পর কামাতে হবে। ৩টা আমি মানতে পারবো। কিন্তু প্রথম দ্টুা তো নয়। যে আদশ্য নিয়ে বড় হচ্ছি সেটা আমাকে ভুলে যেতে হবে। যে সত্যকে বিশ্বাস করে ঘর চেড়েছিলাম সেটাও বন্ধ করতে হবে?

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×