somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঁচ ব্লগারের কবিতার বই "দীঘির জলে রোদের স্নান" এখন বইমেলায়

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





প্রথম যে কোন কিছুতেই একটু আলাদা অনুভূতি কাজ করে -সেটা প্রথম প্রেমের স্পর্শ হউক অথবা প্রথম কবিতার বই হউক। "দীঘির জলে রোদের স্নান" আমাদের প্রথম কবিতার বই । তাই হয়ত একটু বেশি অনুভূতি,একটু বেশি আবেগ,এটু বেশি উৎকণ্ঠা,একটু বেশি কৌতূহল,একটু বেশি অপেক্ষা "দীঘির জলে রোদের স্নান"নিয়ে আমার বা আমাদের মধ্যে কাজ করছে ।আমাদের ইনবক্স আর সেন্ড মেইল বক্স ভরে উঠেছে দীঘির জলে রোদের স্নানের আপডেটের খবর দিয়ে । সর্বশেষ আপডেট হল আমাদের কবিতার বই "দীঘির জলে রোদের স্নান" এখন বইমেলায় - পাওয়া যাচ্ছে লিটল ম্যাগ চত্বর - স্টল - ভনে ।

যাদের কবিতা আছে

কবির য়াহমদ
পদ্ম
মাসুম আহমদ
ইথার আখতারুজ্জামান
সাজনুস সাহীর

পাওয়া যাচ্ছে - লিটল ম্যাগ চত্বর
স্টল - ভনে ( ২৬ নং ষ্টল )
সিলেটের অভিজাত লাইব্রেরি বিশেষ করে "বই-পত্র" তে পাওয়া যাচ্ছ -
মূল্য - ৮০ টাকা

রোদের পৃথুলা পুত স্নান দেখতে চাইলে লিটল ম্যাগ চত্বর ভনের স্টলে হাতে নিতে পারেন সাইদুর রহমান চৌধুরীর করা নন্দন প্রচ্ছদের "দীঘির জলে রোদের স্নান" বইটি ।

প্রথম ফ্ল্যাপ
আ.শ.ম.এরশাদ
আন্তর্জালিক প্লটে কাব্য সাগরের বালি আহরণে নিয়োজিত ছিল অনেক শ্রমিক। কয়েকজন ছিল বেশ কাছাকাছির। রোদ পুড়া বালির নীচে উপমা খুড়তে গিয়ে এ-কথা সে-কথায় ঐক্যমত্যে তারা হাতে হাত রাখল । তারা হলেন কবির য়াহমদ,পদ্ম,মাসুম
আহমদ,ইথার আখতারুজ্জামান,সাজনুস সাহীর। ওরা। হ্যাঁ মলাট চাই, মলাটের ভেতরে শুদ্ধতার গুচ্ছ চাই। একখানা বই চাই। নিরেট কবিতার বই। বালিশের নিচে রেখে নির্ঘুম রাত কাটানো যাবার মত একখানা বই চাই তাদের। পঞ্চ যোগে
পঞ্চেন্দ্রিয়,পঞ্চভূত,পাঁচশালা। সে পঞ্চ নিয়েই পঞ্চ নতুন কবির যৌথ প্রয়াসেরই এক হৃদয় নিংড়ানো নির্মাণ "দীঘির জলে রোদের স্নান।" বইয়ের পরতে পরতে, কবিতার পঙক্তিতে পঙক্তিতে পঞ্চ কবি যেন শরতের নরম রোদ আর পুরা বইটি
যেন সচল দীঘি। আর সে দীঘিরই জল হতে চাইবে অগণন পাঠক। "দীঘির জলে রোদের স্নান"এ আরও আছে রোদের পৃথুলা পুত স্নান, জল রঙে আকা বিশুদ্ধ বাতাসের গান,সাদা ভাত বা শিউলি ফুলের গল্প, কিছু ক্ষ্যাপা তরুণের খুনসুটি বালক বেলা,জ্যোৎস্না ধোয়া রাতের ঘ্রাণ ।

শেষ ফ্ল্যাপ
পদ্ম
আমাদের জন্মের মতো আমাদের মৃত্যুগুলোও হয়ত কোথাও লিখা থাকবে না। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেখা শেষ দৃশ্যগুলোও বিলীন হয় নিঃশব্দ রাতে। কিন্তু এরই মাঝে কিছু অনুভূতি জেগে উঠে দ্রোহে, চৌচির হয় রুঢ় বাস্তবতায়,
আবার কখনো বা মেতে উঠে উল্লাসে সুখ সুশীতল প্রাপ্তির খাতায়। আমরা নিয়ে এসেছি তেমনি সব অনুভূতির গল্প, কাব্যকথায়। যা কখনো আমাদের সামনে থেকে দেখা আবার কখনো বা কল্প শক্তির ক্যানভাসে আঁকা, প্রশান্ত দীঘির জলে রৌদ্রজ্জ্বল
কবিতায়। এই বইয়ের প্রতিটি পাতায়। আমাদের বিশুদ্ধ অনুভূতিগুলো ছাপার অক্ষরে জমাট হতে যারা সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছেন, কিংবা যারা একটিও কবিতা পড়েছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

কৃতজ্ঞতা - কবি তমিজ উদ্‌দীন লোদী,কবি সুমিন শাওন,সাইদুর রহমান চৌধুরী,আ.শ.ম.এরশাদ ।

"দীঘির জলে রোদের স্নান" থেকে একটি কবিতা

সুনীলে'র বরুণা
পদ্ম
কোন এক ঝড়ো সন্ধ্যায় জড়িয়ে ধরে বরুনা বললো,
“নাও ধর, যেদিন আমাকে তুমি ভালবাসবে
সেদিন এই সাপটাও ফুল হয়ে আমার কথা কবে”
বরুণা বললো, বিশ্বাস কর, সাপটা একটুও কামড়াবে না,
সাপটা বড় হবে, ফণা তুলবে,
সাপে সাপে খেলা হবে,
কিন্তু কামড় দিবে না।
এক লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে
পূজার প্রতিমার সামনে দাড়িয়ে মা বলেছিলেন,
“বাবা, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”
বরুনার ক্ষেত্রে আমি মায়ের কথাটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলাম।
আমি তর্কে যাইনি,
আমি বিশ্বাস করলাম,
বরুনার হাতে রাখলাম হাত,
যাত্রা শুরু করলাম সর্পিল পথে।
আমি হাটি, সাপ হাটে,
আমি ঘুমালেও সাপটা হাটে,
থেমে থাকেনি কখনো।
গতি ছিল তার, কখনো মন্থর, কখনো দূর্বার,
নিয়ে নিলো দখল যা ছিল আমার
অতুল অনন্ত অপার।
বর্ণীল আগ্রহে শুরু হল অনিমেষ ভালবাসার শ্লোগান
আজ সাপের গায়ে আমার গায়ের সুতীব্র গন্ধ।
বরুনা, সাপটা একেবারেই কামড়ায়নি…ঠিক যেমনটি তুমি বলেছিলে…।
অতঃপর, এক অমাবস্যা রাতে যখন ফুলের প্রত্যাশায়-
আমার এত দিনের বিশ্বাসের ফলন দেখার তাড়নায় উজ্জীবিত
ঠিক তখনি--দিয়েছে ছোবল
আমার এতদিনের পোষা কাল নাগিনী।
বরুনা, কোথায় সে ফুল? আজ কোথায় তুমি???
সাপের ছোবলে করলে নীলাভ আমার ভালবাসার পুণ্যভূমি !!!!
বরুনা? তবে তোমাকে ভালবাসা কি আমার হলো পাপ?
নয়তো ভালবাসা কেন ফুল না হয়ে রয়ে গেল বিষাক্ত কাল সাপ??
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৫২
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×