somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড. ইউনুস সমীপে : স্যার কোনটা গণতন্ত্র? 1 দিনের নির্বাচন না 5 বছরের সুশাসন।

২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতান্ত্রিক রাজনীতি জনগণের জন্য যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশী গনতন্ত্রকে রাজনীতির জন্য প্রয়োজন, সেটা রাজনীতিবিদদের স্বার্থে। বিশেষতঃ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক জীবনকে গণতন্ত্র নামক লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও ইতিহাস যদি আপনি পড়েন তাহলে দেখবেন গনতন্ত্র শব্দটি একটি সরকারের 5 বছরের রাজনৈতিক নানান কর্মকান্ডের সাথে মাত্র একদিনের কর্মকান্ড জড়িত। সেটা আবার ঐ সরকারের শাসন আমলের সাথে জড়িত নয়, শাসন আমল শুরু হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহুর্তের সাথে জড়িত। শাসন আমল শুরু হয় একটি নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হবার পর। তারপর তারা 5 বছর শাসনভার গ্রহণ করে। গনতন্ত্রের সম্পর্কটা শুধুমাত্র একটি নির্বাচন; তারপর মনে হয় না গণতন্ত্রের সাথে সরকারের আর কোন আক্ষরিক অর্থে সম্পর্ক আছে।নিচে উইকিপিডিয়া প্রাপ্ত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা হুবুহু কপি করে দেওয়া হলো। যা পড়লে উপরোক্ত লেখার বাস্তবতা বোঝা যাবে।

(গণতন্ত্র হলো কোন জাতিরাষ্ট্রের (অথবা কোন সংগঠনের) এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহনের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। যদিও শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্র-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসী শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ δημοκρατία (ডেমোক্রেসিয়া) থেকে, যার অর্থ "জনগণের শাসন"[১]শব্দটির উৎপত্তি δῆμος (ডেমোস) "জনগণ" ও κράτος (ক্রাটোস) "ক্ষমতা" থেকে। খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতকে এথেন্স ও অন্যান্য নগর রাষ্ট্রে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝাতে শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয়।)

সংজ্ঞার আলোকে বর্তমান সরকার এবং বর্তমান বিরোধীদল কর্তৃক একাধিকবার করে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হয়েছে। তার ফলাফল সবাইতো দেখেছে। কখনও দেশের জনগণ সুশাসন দেখেনি। তবে গণ বিরোধী কর্মকান্ডের অভাব দেখেনি। তাহলে শেষ কথা দাঁড়াচ্ছে এইরকম সু-শাসনের সাথে গণতন্ত্রের কোনপ্রকার সম্পর্ক নেই।

এতকিছুর পরও একদিনের ঐ গণতান্ত্রিক নির্বাচনটাও বাংলাদেশের জন্য বিরাট এক ইস্যু (সমস্যা) হয়ে দাঁড়িয়েছে যদিও অবশিষ্ট্য 5 বছর তেমন কোন ইস্যু বলে মনে হয়না। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। কথা সত্য। নিরপেক্ষ একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব। কিন্তু সুশাসন? সেটা কি পাওয়া সম্ভব? তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যদি থাকে তাতে উপরোক্ত সংজ্ঞার মত শুধুমাত্র নির্বাচনের সাথে সম্পর্কযুক্ত গণতন্ত্র শব্দকে বাঁচিয়ে রাখা গেলো। কিন্তু তাতে প্রায় ষোল কোটি জনগণের আশা কি বেঁচে থাকবে?
তাহলে গণতন্ত্র কোনটা? সুষ্ঠু নির্বাচন না সুশাসন?

আপনি বলবেন সুষ্ঠু নির্বাচন ও সুশাসন দু’টোই। সুষ্ঠু নির্বাচন 5 বছর মেয়াদ শুরু হওয়ার পূর্বের 1 দিনের ঘটনা মাত্র আর সুশাসন সেতো পুরো 5 বছরের জন্য। রাজনীতিবীদরা একিদিনের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাস্তায় নামেন, আন্দোলন করেন, সেমিনার করে, গোলটেবিল বৈঠক করেন, নোবেল বিজয়ী মহামান্য ব্যক্তিও মুখরোচক কথা বলেন। অথচ সুশাসন নিয়ে নোবেল বিজয়ীকে তেমন কোন কথা বলতে শুনিনি, এমনকি মিডিয়াতেও প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবিদের 1 দিনের নির্বাচন নিয়ে যতটা কথা বলতে শুনি 5 বছরের সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমণকে সুমসৃণ করার জন্য ততটা কথা বলতে শুনিনি। তাহলে এটা কি হাতি ও মাহুত বাদ দিয়ে শুধু ছড়ি নিয়ে টানা হেঁচড়া করার সামিল নয়? তাই নোবেল জয়ীর নিকট সবিনয়ে জানতে চাই, “ স্যার কোনটা গণতন্ত্র? 1 দিনের নির্বাচন না 5 বছরের সুশাসন।”
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×