প্রশ্নঃ পতিতালয়ের কোন নারী ধর্ষণ বা গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে?
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ কোন কর্মজীবি বা কোন ছাত্রী ধর্ষণ বা গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
বর্তমানে যে ধর্ষন বা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়- ধর্ষণের মতো ঘৃন্যতম কাজ নিজের ইচ্ছায় গ্রহণ করলে ধর্ষণ হয়না। পক্ষান্তরে জোরপূর্বক হলে তা হয়ে যায় ধর্ষণ বা গণধর্ষণ। আর যে ঘটনাগুলো নিজের ইচ্ছায় করতে গিয়ে গণধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে? সেগুলো আমরা কোন চোখে দেখব।
উইকিপিডিয়া ধর্ষণের সংজ্ঞা- ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অনুমতি ব্যতিরেকে যৌনাঙ্গের মিলন ঘটিয়ে বা না ঘটিয়ে যৌন সংগমে লিপ্ত হওয়াকে ধর্ষণ বলা হয়।
ধর্মীয়(পিডিয়া) মতে সংজ্ঞা কি? ধর্মীয় ভাবে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বিবাহ ব্যতিরকে সবই ব্যভিচার বা জেনা বা ধর্ষণ।
কয়েক মাস আগে টিভিতে শিরোনাম-
“কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর উত্তরায় এক বিক্রয়কর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণ”
একজনকে জোর করে গণধর্ষণ করা এত সহজ নয়। নিশ্চয় তার ভিতরে ধর্ষণ হওয়ার কিছু আলামত ছিল।
উক্ত শিরোনাম হলো, প্লেকার্ড নিয়ে মিছিল-সমাবেশ সবই হলো; কিন্তু সঙ্গিনীর অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন যা ধর্ষন হয় জোরপূর্বক ধর্ষণ এক বছরে তার চেয়ে কম হয়। আবাসিক হোটেলগুলোকে উল্লেখ্য না-ই রাখলাম।
টিভিতে শিরোনাম করতে যখন এতই ইচ্ছে এগুলোকেই শিরোনাম করুক। যতই শিরোনাম হোক, মিছিল-সমাবেশ, মানববন্ধন হোক আর যতই আইন-আদালত হোক তাতে কোন ফলপ্রসুতার কথা চিন্তাও করা যাবে না। ১৫০০ বছর পূর্বে মুহাম্মদের(স) কাছে যে মহা ঐশীগ্রন্থ এসেছে তাতে মানুষের রব- আল্লাহ আইন করে দিয়েছেন।
৩০) হে নবী ! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি ৷ যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন ৷
৩১) আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া ৷ আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে৷তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া স্বামী,বাপ,স্বামীর বাপ, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, নিজের মেলামেশার মেয়েদের , নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ ৷ তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্য সজোরে পদক্ষেপ না করে৷ হে মু’মিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে৷(সূরা নূর)
এর চেয়ে সর্বোকৃষ্ট আইন আর কি হতে পারে?
এখন শুধু প্রয়োজন এই আইনের অনুভূতি দিয়ে
আমাদের বিবেককে জাগ্রত করা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭