
মসজিদকে কেন্দ্র করে ইস্যু তৈরী করার মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে রাজনৈতিক ও ব্যক্তি সার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এক ঘৃন্য মিথ্যাচারের অনন্য খেলা শুরু হয়েছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে গেন্ডারিয়া থানা এলাকার কতিপয় রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অস্ত্র, মাদক ব্যবসায়ী এবং হত্যা মামলার আসামীরা। এদের প্রচার-প্রচারনার ধরন দেখে মনে হচ্ছে অত্যান্ত সুপরিকল্পিত ভাবে এরা ধর্মকে পুজি করে জনগনের মাঝে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে দেশের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করাই এদের একমাত্র লক্ষ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে মিথ্যাচারের যে অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে তার জবাব দিতেই এই পোষ্টের অবতারনা করতে হল। একজন মুসলমান হিসেবে যেকোনো সংবাদের সত্যতা যাচাই পূর্বক তা প্রচার বা মন্তব্য করা উচিৎ। আমি এই পোষ্টটি লেখার আগে আজ নিজে গিয়ে ঐমসজিদে যোহর এর নামাজ আদায় করে এসেছি। অপপ্রচারকারীদের প্রচার করা ছবি আপনারা দেখেছেন; এখন আমার দেয়া কিছু ছবি আপনারা দেখুন। তারপর নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন যারা আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদ নিয়ে এমন নির্লিপ্ত মিথ্যাচারে ব্যস্ত তাদের কি বলব কাফের/ মুশরিক/ নাকি নাফরমান???
*** আসল ঘটনা ***
গেন্ডারিয়া থানার কালীচরন সাহা রোডে কিছু দুষ্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ফেইসবুকে পূলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরেনর কুতসা রটনা করিতেছে। প্রকৃত পক্ষে ঘটনাটি হইল কালীচরন সাহা রোডে রাধারানী দাস্যার মালিকানাধীন এস.এ ৪৫৪৩ নং খতিয়ানের ৭৮৩৮ নং দাগের ৩৮৪ অযুতাংশ ভূমি যাহার সিটি করপোরেশন হোল্ডিং নং ৩১ যাহা একটি অর্পিত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বর্তমানে জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে রহিয়াছে। এই সম্পত্তির উপর কিছু দুষ্কৃতিকারী কালা শরীফ, (এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মন্ডল ও মাইকেল হত্যা মামলায় ১৪ বছর সাজা ভোগকারী আসামী। মর্তুজা (সাবেক বিএনপি নেতা), শিপন সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানার ৭/৮ টি হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামী। হাসিব মাদক ব্যবসায়ী সহ আরো অনেকে অবৈধ ভাবে মসজিদ নির্মাণ করিয়াছে। এই সংক্রান্তে উক্ত স্থানের হিন্দু সম্প্রদায় বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় একটি জিডি করেন। যাহার নম্বর ১৩৩৮ তারিখ ২৪/০৬/২০১৬ ইং। উক্ত জিডি সংক্রান্তে জানার জন্য উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মহোদয়ের নেতৃত্বে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ), সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী জোন), অফিসার ইনচার্জ কাজী মিজানুর রহমান, গেন্ডারিয়া থানা, ডিএমপি, ঢাকা সহ আরও অনেক পুলিশ অফিসার সহ উক্ত স্থানে উপস্থিত হইলে কালা শরীফ মর্তুজা সহ কিছু দুষ্কৃতিকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মহোদয়ের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচারন করা শুরু করে সেই সাথে লাঠি-শোঠা নিয়ে হামলা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার চেষ্টা শুরু করে। এমত অবস্থায় মসজিদের ভিতরে ও বাহিরে অবস্থানরত মুসুল্লিগণ ও পথচারীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সবাইকে নিরাপদে উক্ত স্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন; যা সত্যিই প্রশংসা করার মত। অথচ উক্ত দুষ্কৃতিকারীরা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে ফেইসবুকে বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ঘটনা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ও এক্সক্লুসিভ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
এই খানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





