somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কিছু বাস্তব কথা। পার্ট- দুই

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১। রহস্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে।
কৌতূহলেরও জন্ম দেয়।
বলার আগে শুনে নাও, প্রতিক্রিয়া
দেখানোর আগে চিন্তা কর,
সমালোচনার আগে ধৈর্য্য ধর,
প্রার্থনার আগে ক্ষমা চাও, ছেড়ে
দেয়ার আগে চেষ্টা কর।

২। না চাইতেই যা পাওয়া যায়, তা
সবসময় মূল্যহীন।

৩। পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস।
কিন্তু আলতাকে সবসময় গোড়ালীর
নিচে পড়ে থাকতে হয়, এর উপরে সে
উঠতে পারেনা।

৪। অতিরিক্ত যেকোন কিছু পতন নিয়ে
আসে। সবকিছু তাই নির্দিষ্ট সীমায়
রাখাই শ্রেয়।

৫। চুপ থাকা খুব সহজ একটা কাজ।
পারস্পরিক বহু সমস্যার সমাধান শুধু
চুপ থাকলেই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের
সবচেয়ে বড় অযোগ্যাতা হচ্ছে সে মুখ
বন্ধই রাখতে পারে না, অপ্রয়োজনে
অনর্গল বকে যায়।

৬। দুর্নামকারীরা সাধারণত
আড়ালপ্রিয়। সামনে ভাল মানুষ
সেজে বসে থাকে।

৭। বুদ্ধিহীনরা তর্কবাজ হয়। নিজের
বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।
বিচার যখন থাকে না, সমস্যার
সমাধানও হয় না। সব সমস্যা বরং
পুঞ্জীভূত হয় আরও। আমাদেরও তাই
হচ্ছে।

৮। পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে।
পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও
তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের
মত। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার
আকার বদলায়।

৯। এই পৃথিবীর প্রতিটি দিনই
সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময়ী এখানে
আসলে আমাদের প্রতিটি মুহুর্তই।
মানবজাতি ধীরে ধীরে সব
সুযোগকেই উপলদ্ধি করবে। অবশ্যই সব
সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিবে।

১০। উপকার করার পর 'করেছি' বলার
চেয়ে সাহায্য না করাই শ্রেয়।

১১। জীবনের জটিল ও মূল বিষয়গুলো
মানবজাতির কাছে রহস্যাবৃত হয়ে
থাকে। এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে
পারে?

১২। চলতে শুরু না করলে পথ হারাবার
ভয় থাকে না। কিন্তু তাতে গন্তব্যে
পৌছানোর আশাও ফুরিয়ে যায়।

১৩। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ কারও কাছ থেকে
বিদায় নেয় না। মায়া নামক ভ্রান্তি
তাকে ত্যাগ করে। গ্রাস করে তখন ভয়
নামক অনুভূতি। মৃত্যু ভয়াবহ নয়,
কুৎসিতও নয়। এর সৌন্দর্য জন্মের
চেয়ে আসলে কোন অংশে কম নয়। এই
অংশের সাথে পরিচিত নই বলেই
আমরা একে এত ভয় পাই।

১৪। ভয়াবহ বিপদ কিংবা দুর্যোগের
সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একে
অন্যের কাছে আশ্রয় খোজেঁ, আশ্রয়
খোঁজে প্রকৃতির কাছে। সবাই
দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। বৈষম্য ও
অনাচার বেষ্টিত এই আবাসভূমি হয়ে
যায় সাম্যবাদের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বড়
ধরণের বিপদ-আপদের প্রয়োজন তাই
পৃথিবীতে এখনও আছে।প্রতিটি
বিপদের দুটি অংশ থাকে। বিপরীত
অংশটি হল জীবন।

১৫। নগদ টাকা আলাদীনের চেরাগের মত।
হাতে থাকলে পৃথিবী নিজের হয়ে
যায়।

১৬। পথ কখনও শেষ হয় না। দীর্ঘ ভ্রমণের
পর গন্তব্যে পৌছেও কেউ স্থির
থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে,
অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থলে।

১৭। এক একটি দিন শেষ করে আমরা
এগুতে থাকি চুড়ান্ত যাত্রার পথে।

১৮। মানবমৃত্যুই পথের সমাপ্তি। নিরন্তর
ছুটে চলা মানুষের শেষ গন্তব্য। সবাই
মারা যায়। কিন্তু সবাই চলে যায় না।

১৯। নিঃস্বার্থ কর্মী মানুষরা মৃত্যুর পরও
থেকে যায়, কর্মপূণ্যে থেকে যায়
মানুষের মনে - যুগের পর যুগ ধরে।

২০। সৎ থাকো। অবশ্যই সুখী হবে।

আরো জানতে পড়ুন জীবনের কিছু বাস্তব কথা। পার্ট- এক
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×