এখন সময়ের হাতে বন্দী নই। ইচ্ছামত সময়কে ব্যবহার করার স্বাধিনতা সময়ই আমাকে দিয়েছে। তাই আগের চেয়ে একটু ঘন ঘন গ্রামের বাড়ি নানার বাড়ি যাই। ঢাকা হতে সময়ও বেশি লাগেনা। রাস্তা ফ্রী থাকলে দুই আড়াই ঘন্টার জার্নি । প্রকৃতি আর মানুষ দেখা, সাথে স্মার্ট ফোনে মেইল পড়া ,গান শোনা, কোথাও চা খেয়ে নেয়া । সব মিলে বোর লাগেনা।
কেন যেন গ্রামে এসেও আজকাল খুব একটা তৃপ্তী পাইনা। গ্রামের দুপাশে দুটি নদীকে কানেক্ট করা একটি সুন্দর টলমলে জলের খাল ছিল। সেটি ভরাট করে এখন অনেক বাড়ি উঠেছে। আগে প্রধান বাহন নৌকা এখন নেই। টেম্পু আর মাইক্রোর শব্দ আর কার্বনে শহরের সাথে খুব একটা পার্থক্য নেই।দেখে বুঝা যায় অনেকর হাতে বেশ পয়সাকড়িও হয়েছে।
একদিন বিকেলে মসজিদে আছর নামাজ পরে কজন সমবয়সি কে নিয়ে চায়ের দোকানে বসে চা দিতে বলে পুরানো দিনের গল্পে মেতে উঠেছি। অল্প কিছুক্ষনেই দোকনটা মানুষে প্রায় ভরে উঠেছে। বসার যায়গা নেই,তাই দাড়িয়েই চা খাচ্ছে। আগে দেখতাম গ্রামে মানুষ খুব একটা চা খয়না।এখনতোে েদখছি উল্টা। মসজিদে আযান হলো। চায়ের বিল জানতে চাইলাম।দোকনি বললো পাচশ।আঠার টাকা। বললাম চারজন চা খেলাম,বিল এত বেশি কেন ভাতিজা? জবাব এলো এরাত সবাই আপনেরে দেখতে আইছে। গ্রামে আগে দেখতাম কোন অতিথী এলে আপ্য।য়নের ধূম পরতো। এখন অতিথী আপ্যায়ন করছে।
আমার প্রিয় টলটলে খালের সাথে আমার গ্রামের মনটিও হারিয়ে গেছে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮