এলাকায় রহিম সাহেবদের একমাএ গলিটার অবস্হা নাজুক।তের চোদ্দ ফুটের আধাপাকা রাস্তা।পাশে এক ফুটের একটি ড্রেন।বর্ষা এলেই রাস্তা আর ড্রেন মিলে এটি চীনের দুঃখ হোয়াংহো তে পরিনত হয়।ট্রাক আর গাড়ির জন্য রাস্তা আর ড্রেনে উপচানো ময়লা পানিতে গলিটার অবস্হা ধর্ষিতা নারীর মত হয়ে যায়।এলাকার কেও আবার ড্রেনে সুয়্যারেজ কানেকশানও দিয়েছেন।
এলাকার বাড়িওয়ালারা অনেকেই পাচ ছ তলা বাড়ির মালিক।এলাকায় বাড়িভাড়ার চলমান রেটে তাদের প্রতিমাসেআয় দের দু লাখের কম না।তাদের আরো ইনকাম সোর্স থাকতে পারে। রহিম সাহেবের জানা নেই।তাদের তুলনায় রহিম সাহেবের বাড়ি অনেক ছোট।এ জন্য রহিম সাহেবের কোন ইনফিওরিটি কমপ্লেক্স নেই।শো এটিচুড অপ্রয়োজনীয় বলেই তিনি সবসময় ভেবেছেন।টাকা কমাই করে লাভ কি যদি নিজেরা কষ্ট পাই।
এলাকার লোকজন প্রতিদিন নোংরা মাড়িয়ে বাজারে যায়-চাকুরীতে যায়-মসজিদে যায় আর গজগজ করে পৌরসভার শাপ শাপান্ত করছে।
পৌর কমিশনার বছরে দুএকবার আসেন।এসে একটি ষ্টেরিও টেপ বাজিয়ে যান-জুনের পর বাজেট আসলে আপনাদের রাস্তার কজ ধরবো।
দুতিন বছর ধরে একই গান শুনে লোকজন ক্লান্ত। আর রহিম সাহেব ভাবেন-হায়.কোথায় গেল উন্নয়ন? শুধু হবে -কেউ বলেনা হয়েছে।শুধু অজানা ভবিষ্যতের রংগীন ফানুষ।বর্তমান যে ক্রমে দুঃসহ হয়ে উঠছে..।আর তো মানুষ পারেনা-দেয়াল পিঠের অনেক কাছে চলে এসেছে।
সংঘ্ষ যে কোন সময়ে।মানুষ বলতেও পারেনা-সইতেও পারেনা।যাবে কোথায়? তথাকথিত স্বপ্ন দেখানো মানুষগুলি কি স্মার্ট? রহিম সাহেবতো জানতেন-যারা ঠোট দিয়ে যা বলে-হৃদয় দিয়ে তা বিশ্বাস করেনা বা মনেযা থাকে কজে তার বাস্তবায়ন নেই-তারা তো মোনাফেক।
তাদের স্হান তো জাহান্নামে।কাফেরদেরও নিচের স্তরে। তবে কি স্মারটনেসের ডেফিনেশন ইদানিং চেন্জ হয়েছে? চলমান..
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯