আমি মেঘ হয়ে একাকী ঘুরে বেড়াই দুর আকাশে
চরি সাগরের পরে আছরে পরি উচা পাহাড়ের শীরে,
রোদের দাহণে দগ্দ হলে ভারী হয়ে নেমে আসি
বিজন প্রান্তরে রোদকে ঢেকে দিই কুয়াশার চাদরে ।
আনমনে ভাবি মেঘ বলে নীজকে কেমন দেখায়
হাওরের অথৈ নির্মল জলে তাই নিজের ছবি দেখি
স্বরূপে মুগ্দ আমি কর্ণফুলীর জলে ডোবা বনছায়ায়
মেঘ রোদ্দর হয়ে ময়ুর ময়ুরীর সাথে করি নাচানাচি ।
ক্ষনিকেই ফিরে যাই উর্ধাকাশে
তুলতুলে হয়ে উঠি ছায়াপথে
রোদের সাথে মিহিন বৃষ্টি হয়ে
আকাশে মিশে যাই রংধনু হয়ে ।
নিঝুম দ্বীপ মোহনায় সাগরের কুল বরাবর ধরে
করি বিচরণ , হিরণ কোণে দাঁড়িয়ে ভীরুপদে ধাবমান
মায়া হরিণের পানে আকুল নয়নে করি দৃস্টি নিক্ষেপন
ইচ্চে জাগে বিজলী হয়ে সংহারী শিকারীর প্রাণ ।
রোদের তিব্রতায় খরতাপে পুড়ে যাওয়া হরিত ঘাসবনে
কাল মেঘের সাথে বৃস্টি হয়ে অযুর ধারায় জাগাই ফুর্তি
সাগরের বুকে ভীম তরংগ নাচলে তরিৎ কাছে গিয়ে
আচল খানী খানিক মুচরে দিয়ে সংহারী তার রণমুর্তী ।
ক্লান্ত আমি চোখ বুদে ক্ষনিকের তরে রত হই চিন্তায়
ভাবি কি সম্পদ এনেছিলাম আর কিই বা যাব রেখে
অনাদি কালের জন্য, যারা সুখ নিদ্রায় থাকে স্বর্ন খচিত
সেগুন মেহগনী আর জারুল কাঠের পরে রচিত খাটে ।
তাদের চোখের কোণায় সতত দেখি কামনার বহ্নি জ্বলে
পাবনা তাদের কাছে উত্তম প্রতিদান সকলেই তা বলে
এত কিছুর পরেও মেঘ হয়ে একাকি বেড়াই ঘুরে
বিচিত্র সব আনন্দ অবগাহনে মনটা যায় যে ভরে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৫