(যে কারণে আমাকে এখনো সেফ ব্লগার হিসেবে ঘোষণা না দেয়ার অপরাধে মডুদের ব্লগ হতে বিতাড়িত করা সম্ভব হচ্ছেনা)
এক জঙ্গল ছিল। ঘন গাছগাছালি ও নানাবিধ প্রাণীতে ভরা। সেখানে বাস করত এক প্রজাতির মাছি। একদম একরত্তি, সারাক্ষণই ভোঁ ভোঁ করে। একেবারেই অপ্রয়োজনীয় এক প্রাণী। সর্বোপরি, তারা সবাইকে কামড়ায়—মানুষ, জীবজন্তু কাউকেই বাদ রাখে না। মানুষের শরীরে ফুসকুড়ি উঠে যায় এদের কামড়ে। তো মানুষ স্থির করল, মাছিগুলোকে নির্বংশ করতে হবে। ডিডিটি-জাতীয় কী একটা পাউডার ছড়াল তারা জঙ্গলে। সব মাছি মরে ভূত হয়ে গেল। এরপর কী হয়েছিল জানেন? খুবই ভয়াবহ এক ব্যাপার।
অচিরেই এই জঙ্গল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল এক জাতের ছোট ছোট পাখি, যাদের প্রধান খাদ্য ছিল ওই মাছি। এরপর হারিয়ে গেল বড় পাখির দল, যারা ওই ছোট ছোট পাখি ধরে ধরে খেত। পাখিকুলের অনুপস্থিতিতে ক্ষুদ্রাকৃতির নানাবিধ কীটপতঙ্গের সংখ্যা বেড়ে উঠল প্রবলভাবে। আগে এই কীটপতঙ্গগুলো পাখিদের ভয় পেত খুব। তো অলক্ষুণে এই কীটপতঙ্গের পাল ঘাস-পাতাসহ সব শ্যামলিমা কুরে কুরে খেয়ে সাফ করে ফেলল। নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ঘাস, উধাও হয়ে গেল দুই প্রজাতির হরিণ—ঘাস ছাড়া জীবনধারণ যাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিলুপ্ত হতে শুরু করল শিকারি প্রাণীগুলোও—বাঘ, জাগুয়ার। হরিণ ছাড়া তাদের অভুক্ত থাকতে হয় যে।
কিছুদিন পর জঙ্গলটি নিষ্প্রাণ হতে শুরু করল। তারপর একদিন এর ওপর দিয়ে বয়ে গেল শুকনা, গরম হাওয়া। জঙ্গলের জায়গায় এখন মরুভূমি।
** সংগৃহীত ও সংক্ষেপিত
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




