somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওমানঃ দ্যা ল্যান্ড অফ ফ্লাইং কার্পেট!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ওমান তিন লক্ষ দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এবং তিরিশ লক্ষ (যার প্রায় দশ লক্ষই ওমানী নাগরিক নন) জনসংখ্যা নিয়ে আরব সাগরের পশ্চিম উপকূলের একটি রাষ্ট্র। যার উত্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান উপসাগর, দক্ষিণে ইয়েমেন, পূর্বে আরব সাগর এবং পশ্চিমে সৌদী আরব। আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ উপাখ্যানের কল্যাণে রূপকথার রাজ্যে যে দেশটি পরিচিতি ফ্লাইং কার্পেট নামে! মূলত আরব অধ্যুষিত অঞ্চল হলেও ১৯ শতকের গোড়ার দিক পর্যন্ত ওমান সাম্রাজ্য পারস্য উপসাগরের তীর ঘেঁষে আরব সাগর হয়ে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যার কারণে ওমানে কিঞ্চিত জাতি বৈচিত্র বিদ্যমান। বিশেষ করে ওমানের মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পারস্য উপসাগরের মুসান্দামে ফার্সী ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ১৯ শতকের মধ্যভাগে পূর্ব আফ্রিকা থেকে ওমানে মূল ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়া মানুষদের মধ্যে আফ্রিকান সোয়াহিলি ভাষায় কথা বলতে দেখা যায়। ওমানের অফিসিয়াল ভাষা আদর্শ আরবী হলেও আরবী ভাষাভাষীদের মধ্যে ওমানী আরবী এবং জোফারি আরবী প্রচলিত। এছাড়াও ওমানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনগণ বিভিন্ন দেশ থেকে কর্ম সুত্রে আগত আর সেটাও ওমানের ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের একটি অন্যতম কারণ। যদিও বর্তমান সময়ে ইংরেজী ভাষার বহুল প্রচলন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা পরবর্তী সকল শিক্ষা ইংরেজী মাধ্যমে চালিত হওয়ার কারণে ওমানী জনগণের মধ্যে ইংরেজী ভাষার বহুল ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। আধুনিকতা এবং রক্ষণশীলতার একটি মধ্যবর্তী অবস্থানের কারণে ওমানী সমাজ ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন একটি লক্ষ্যণীয় বিষয়। এই সময়ে সবচাইতে দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজসমূহের মধ্যে ওমানী সমাজ অন্যতম বললে মনে হয় খুব একটা অত্যুক্তি হবেনা।


সুলতান কাবুস বিন সাঈদ। ওমানের বর্তমান সুলতান।


মাস্কাট। ওমানের প্রধান বন্দর নগরী এবং বর্তমান রাজধানী।


খঞ্জর। খাপবদ্ধ ছোড়া ওমানের জাতীয় প্রতীক।


খঞ্জর পরিহিত এক ওমানী কিশোর।


গৃহ কর্মে ব্যাস্ত এক ওমানী গৃহবঁধু।


দোলনায় দোল রত ওমানী কিশোরী।


একটি গ্রাম্য বাড়ীর আভ্যন্তরীন চিত্র।


সুগন্ধী ধুপ ওমানের ঐতিহ্যের প্রতীক।


ট্র্যাডিশনাল গহনা পরিহিত ওমানী কিশোরী।


ষাড়ের লড়াই। ওমানের জনপ্রিয় একটি খেলা।


গেজেল। ওমানের জাতীয় পশু, ওমানীদের আদরের ধন।


২০০০ কিলোমিটারের সমুদ্র সীমা ওমানের প্রাণ ভ্রমরা।


সাওয়া। উৎসব অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী ওমানী খাবার।


লিসেনিং টু দ্যা উইন্ড অফ চেঞ্জ। শারিরিক কসরত শিক্ষারত ওমানী নারীরা।


র‍্যাম্পে ওমানী মডেল। ফ্যাশনে আধুনিকতার ছোঁয়া।


শোবিজে ওমানী নারী।


ইম্যাজিন কাপ ২০১২ তে ওমানী নারীরা।


মেহেদী। উৎসব অনুষ্ঠানের সাজে ওমানী নারীদেরও প্রথম পছন্দ।


সব শেষে শিল্পীর কল্পনায় গাধার পিঠে বসিয়ে নববধূ নেয়ার ছবি। আমাদের পালকির মতোই হারিয়ে যাওয়া এক ওমানী ঐতিহ্য।



একটি রেসিপি,

১/২ চা চামচ বা ১ গ্রাম সেফ্রন
১ চা চামচ বা ১ গ্রাম এলাচ গুড়া
১০ কাপ বা ২ লিটার পানি
২ টেবিল চামচ বা ৩০ মিলি গোলাপ জল
৩ কাপ বা ৭৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার
১ কাপ বা ২০০ গ্রাম কর্ণ ফ্লাওয়ার
১/২ কাপ বা ৭০ গ্রাম করে কাজু বাদাম এবং পেস্তা
১/৪ কাপ বা ৫০ মিলি ঘি
লবণ পরিমাণ মতো

প্রথমে গোলাপ জলের মাঝে সেফ্রন এবং এলাচ গুড়া গুলিয়ে নিন। একটি সসপ্যানে পানির সাথে ব্রাউন সুগার গুলিয়ে জ্বাল দিতে থাকুক। মোটামুটি অর্ধেক জ্বাল হয়ে যাওয়ার পর তার মধ্যে কর্ণ ফ্লাওয়ার ঢালুন এবং ঘুটতে থাকুন। গোলাপ জল সেফ্রন এবং এলাচের মিক্স সাথে কাজু পেস্তা এবং ঘি ঢেলে দিন। তিন চতুর্থাংশ পানি বাষ্প হয়ে যাওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে এবং ঘুটতে থাকুন। ব্যাস তৈরী হয়ে গেলে ওমানী ঐতিহ্যবাহী হালুয়া। আর হ্যাঁ, রন্ধন শিল্পীগণ কেউ রান্না করলে আমাকে দাওয়াত দিতে ভুলবেন না যেন!


আজ ১৮ই নভেম্বর ওমানের জাতীয় দিবসে সকল ওমানবাসীকে শুভেচ্ছা।



* ছবিসুত্রঃ ইন্টারনেট
৮০টি মন্তব্য ৮০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×