somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম এবং মানবিকতা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কিছুদিন আগে ফেসবুকে পড়েছিলাম, নবিজীকে গালি দেওয়ায় এক শিক্ষককে ছাত্ররা মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি, কার্টুন, বিকৃত ছবি, বই ইত্যাদি প্রায়ই শোনা যায়। নানা দেশে এসবের তীব্র প্রতিবাদও হয়। কখনো কখনো মাথার দাম নির্ধারণ, 'মুরতাদ' ঘোষণা, খুন - এসবও হয়। প্রতিবাদ সাভাবিক। কেননা আমাদের ধর্মে তা করতে বলা হয়েছে। শুধু কি ইসলাম ধর্ম নিয়েই লোকে কটুক্তি করে? না। উদাহরণ দেই।

অনেক পুরনো ভারতীয় বাংলা ছবি 'যমালয়ে জীবন্ত মানুষ' ছবিতে ভগবানের বিচারব্যবস্থাকে তীব্রভাবে ব্যাঙ্গ করা হয়েছে। হিন্দুধর্মে যদি প্রতিবাদ করতে বলা হতো, তাহলে এ ছবি মুক্তি পাবার কথা নয়। ভুলক্রমে মুক্তি পেলেও হিন্দুদের প্রতিবাদের কারণে ব্যান হবার কথা। তা হয়নি। সম্প্রতি 'পিকে' ছবিতেও ধর্ম নিয়ে অনেক আপত্তি করার মত বিষয় উঠে এসেছে। এটিও ব্যান হয়নি।

বিভিন্ন লেখা, নাটক-সিনেমায় প্রতিনিয়ত ধর্ম নিয়ে মানুষ আপত্তিকর মন্তব্য করে।কিন্তু আমরা মুসলিমরা ছাড়া আর কোন ধর্মাবলম্বীরা সেভাবে আপত্তি করেনা। তাদের ধর্মে তা করতে বলা হয়নি বলেই হয়তো করেনা।

ভারতের কোন কোন রাজ্যে, যেমন গুজরাটে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ। গরুর মাংস খাওয়া ও রাখার গুজব ছড়িয়ে যখন ভারতে মুসলিম হত্যা শুরু হয় তখন হিন্দু হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভা দে, ভারতের সুপ্রীম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মার্কন্ডেয় কাটজু প্রকাশ্যে গরুর মাংস খান, খাবেন, এতে দোষের কিছু আছে বলে তারা মনে করেন না, এমন ঘোষণা দেন। কিন্তু আমাদের মত কোন হিন্দু তাদের 'মুরতাদ' জাতীয় কোন ঘোষণা দিয়ে খুন করতে যায়নি।

প্রশ্ন হলো, কেন ইসলামকে নিয়েই বার বার নানা আপত্তিকর মন্তব্য, বই, ছবি প্রকাশ করা হয়? এর কারণ কি? কেন মানুষ ইসলাম বা নবীকে নিয়ে কটুক্তি করে? কি লাভ তাতে?

মানুষের সহজাত কিছু প্রবৃত্তি আছে ( যার কারণে অন্যায় জেনেও আমরা কিছু কাজ করি) যেগুলো এর পেছনে দায়ী হতে পারে। যেমন -

- আমাদের প্রবৃত্তি আছে অন্যকে কষ্ট দিয়ে মজা পাওয়া,

- অন্যের মনে আঘাত দিয়ে প্রতিবাদ দেখা,

- আলোচনায় আসা, বিখ্যাত হওয়া, নিজের জ্ঞান জাহির করা,

- নিজে যা পছন্দ করিনা তা অন্য কেউ পছন্দ করুক তা মেনে না নেওয়া,

- নিজের মত অন্যের উপর চাপানো,

- অন্যের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া,

- ক্ষমতার অপব্যবহার করা,

- ভিন্ন ধর্মের মানুষের বিশ্বাস বা আচারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব,

- ভিন্ন ধর্মের লোকেদের হত্যা করে বা উচ্ছেদ করে তাদের সম্পদ বা সম্পত্তি দখল করার জন্য ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয় সম্পর্কে কুটসা রটানো বা ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা,

- ধর্ম নিয়ে নানা কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য বা বিপরীত মত প্রকাশ করার আরেকটি বড় কারণ হল ধর্মের নানা বিষয় সস্পর্কে একমত হতে না পারা বা যুক্তিসংগত মনে না হওয়া।

হতেই পারে। সেটা তার সমস্যা। মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা থাকা দরকার। ভাবতেই পারে যা খুশী। যেমন আমরা ভাবতে পারি আমাদের ধর্ম সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। একজন হিন্দু, বৌদ্ধ বা ক্রিশ্চিয়ান ভাবতে পারে তার ধর্ম শ্রেষ্ঠ। তেমনি একজন অবিশ্বাসী ভাবতে পারে সব ধর্মই মিথ্যা বা বানোয়াট।

অন্য ধর্মের লোকেরা প্রতিবাদ করেনা বলেই তাদের ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বলেনা বা আমাদের ধর্ম নিয়ে বলে। পশ্চিমা দেশগুলোতে কেউ যদি যীশু বা বাইবেল সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলে, তাহলে লোকে দেখে মুচকি হেসে চলে যাবে। কিছুই বলবে না। নিষেধ ও করবেনা। কি বলছে, কেন বলছে জানার চেষ্টাও করবেনা।

কাউকে জব্দ করার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হল, তাকে এড়িয়ে যাওয়া, তার কথায় কান না দেয়া। আমরা কান দেই বলেই সালমান রুশদীরা বিখ্যাত হয়ে যায়, একের পর এক সালমান রুশদী জন্ম নেয়, ইসলাম নিয়ে কটুক্তি বাড়ে, মুসলিমরা কট্টর-উগ্রপন্থী-ধর্মান্ধ হিসেবে কুখ্যাতি কুড়ায়, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ-নির্যাতন বাড়ে।

একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, একজন বিধর্মী বা অবিশ্বাসী নেতিবাচক কিছু বললেই কি ইসলাম ধংস হয়ে যাবে? ইসলাম কি অতই ঠুনকো? একজন বিধর্মী বা অবিশ্বাসীর কথায় কি এসে যায়?

আমার নানাবাড়ী জয়পুরহাটের দোগাছি ইউনিয়নের ঘাশুরিয়া গ্রামে (পোস্টঅফিস দরগাতলাহাট)। এ গ্রামের ৬/৭ ঘর মুসলিম আর বাকী পুরো গ্রামের বাসিন্দারা হিন্দু। আমার নানা ছিলেন এ গ্রামের প্রধান। সারাজীবন উনি গ্রাম্য নানা সালিশে বিচার করেছেন, গ্রামের মানুষের নানা প্রয়োজনে পাশে থেকেছেন। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, যখন পুরো গ্রামে মোটে ২/৩ টা টিউবওয়েল ছিল তখন নানার বাড়ীর আশপাশের সবকটি হিন্দু বাড়ীর লোকজন নানার কলের পানি খেত, নানার পুকুরে গোসল করত, ষষ্ঠী পূজার ফল নিয়ে যেত নানার বাগান থেকে।

সবচেয়ে বেশী অবাক হতাম, গ্রামের পূজা-কীর্তনের সময় ঢাকঢোল বাজিয়ে গ্রামের নারী-পুরুষ উৎসব করতো, কিন্তু নানার উঠানে আসতোনা। কি সুন্দর সহাবস্থান! গ্রামের প্রতিটা বিয়েতে নানার দাওয়াত থাকতো। নানা তাঁর পুকুরের বড় বড় কাতল মাছ তুলে দিতেন বিয়েতে রান্নার জন্য। নতুন বর-বৌ নিয়ে লোকজন আসতো নানার দোয়া নিতে। নানা নতুন বর-বৌকে দোয়া করতেন, নতুন বৌয়ের হাতে টাকা দিতেন।

নানার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলেন যতীন বৈরাগী দাদু। তিনি নানার সাথে বর্ষার দিনে একই ছাতার তলে আধাআধি ভিজতে ভিজতে হাসিমুখে গল্প করতে করতে হাট থেকে ফিরতেন। ছোটবেলায় দাদু আমাকে মাছ ধরার খুতি বানিয়ে দিতেন। আখের জমির ভিতর দিয়ে যে নালা বয়ে গেছে, সেইখানে খুতি ফেলে রাখলে রাতে তাতে মাগুর আর টাকি মাছ পড়ত। কিডনি রোগে ভুগে দাদু মারা যাবার পর গ্রামের হিন্দুদের সাথে আমিও কেঁদেছি।

এখনো নানার বাড়ী গেলে গ্রামের লোকেরা আমাকে দেখে খুব খুশী হন , একান্ত আপনজনকে দেখলে লোকে যেমন হয়। কুশল বিনিময় করে। আমি অনেকের বাড়ীতে যাই। আমার মনে আছে, আমার সন্তান হবে শুনে এক কাকীমা বলেছিলেন, "আশীর্বাদ করি তোমার ছেলে হোক মা।" আমি অবাক হয়েছিলাম। আমার ছেলে হলেও ওনার কিছু যায় আসেনা, মেয়ে হলেও না। ওনার মেয়ের জন্য তিনি যে দোয়া করতেন, আমার জন্যও তাইই করেছেন। এরই নাম মানবতা। এখনো নানা কাজে নানার গ্রামের হিন্দু লোকজন রাজশাহী এলে আমাদের বাসায় ওঠে। আম্মা পরম যত্নে তাদের দেখাশোনা করেন। দেখে আমার ভাল লাগে।

গত ২৭ জানুয়ারী শুক্রবার রাত ন'টায় রাজশাহী মেডিকেলে হার্ট এ্যাটাকে আমার মামা মারা যান। পরেরদিন সকালে মামার লাশের পাশে সিঁদুর পরা বৌগুলোকে অঝোরে কাঁদতে দেখে আবার অবাক হলাম। একদিকে শোক, আরেকদিকে ভিন্ন ধর্মের মানুষগুলোর এমন মনের টান আমাকে আনন্দ দিয়েছে, এই ভেবে যে, আমাদের মানবিকতাবোধ এখনও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি।

মায়ানমারে গণহত্যার ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখেছি, কি নির্মম নির্যাতন। মানুষের কান্নায় যে মানুষের মন বিচলিত হয়না, সে মানুষ মানুষ নয়। ধার্মিক তো নয়ই। যে স্রষ্টার সৃষ্ট জীবের প্রতি দয়া করতে জানেনা, সে স্রষ্টার আদেশকে অমান্য করে। সে ধার্মিক হয় কি করে?

একটা গ্রামের কৃষক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি.... সবার পরিশ্রমের ফল আমাদের কাজে লাগে। ধর্মের বিভাজন করে আমরা তাঁদের অবদান নিতে অস্বীকার করিনা। তেমনি পৃথিবীটাকে একটা গ্রাম ধরে নিলে সব ধর্মের মানুষের, এমনকি অবিশ্বাসীদের অবদান কে (জ্ঞান-বিজ্ঞান, চিকিৎসা, যোগাযোগ... ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে) গ্রহণ না করে আমরা বাঁচতে পারিনা।
অথচ শুধুমাত্র ভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের অজুহাতে আমরা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অপরাধকে আড়াল করি। যারা এটা করে, তারা নিজেরাও জানে সেটা অন্যায়। তবু করে। কারণ ব্যক্তিস্বার্থ মানবতার চেয়ে বড় হয়ে গেছে, দূর্বলের উপর অত্যাচারের শাস্তির নিশ্চয়তা কমেছে, বেড়েছে প্রশ্রয়।

ধর্মের কারণে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত রক্তপাত হয়েছে, আর কোন কারণে কি ততটা হয়েছে? তাহলে ধর্ম না থাকাই কি ভাল নয়?

একজন হিন্দু পাঁঠার মাংস খেতে পারলে একজন খ্রীষ্টান শুকরের মাংস খেতে পারলে একজন মুসলিমেরও গরুর মাংস খাবার অধিকার থাকার কথা।

একজনের ধর্ম মানার অধিকার থাকলে আরেকজনের তা না মানার অধিকারও থাকা উচিত।

নিজ ধর্মের কেউ ভিন্ন ধর্মের কাউকে মারলে যেমন পাপ হয়, তেমনি নিজ ধর্মের কেউ নিজ ধর্মের কাউকে মারলেও পাপ হবার কথা।

কোন অজুহাতেই মানুষ হয়ে মানুষকে আঘাত করা উচিত নয়। ধর্মের দোহায় দিয়ে হলেও নয়। যারা ধর্ম মানে, তারা জানে, অন্যায়ের শাস্তি থেকে স্রষ্টা কাউকে রেহায় দেবেন না। আমরা ধার্মিক হলে স্রষ্টার উপরে আমাদের ভরসা থাকা উচিত।

এখন প্রশ্ন হলোঃ ভিন্ন ধর্মের কারো দ্বারা নিজ ধর্মের কেউ নির্যাতিত হলে আমরা যতটা বিচলিত হই, নিজ ধর্মের কেউ ভিন্ন ধর্মের কাউকে নির্যাতন করলে ততটা বিচলিত হই কি????

বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হলে ভারতের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কোন ভারতীয় হিন্দু কোন ভারতীয় মুসলিমকে নির্যাতন করলে তেমন পড়ে কি?

রামুর ঘটনায় মায়ানমারের লোকেরা যতটা বিচলিত ছিল, মায়ানমারে মুসলিম হত্যায় ততটা ছিল কি?

ভারতে হিন্দুদের দ্বারা, মায়ানমারে বৌদ্ধদের দ্বারা, ফিলিস্তিনে ক্রিশ্চিয়ান ইসরাইলদের দ্বারা মুসলিমরা নির্যাতিত হলে আমরা যতটা প্রতিবাদমুখর হই, আমাদের দেশে বৌদ্ধ-হিন্দুরা মুসলিমদের দ্বারা নির্যাতিত হলে ততটা হই কি? কিংবা পাকিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়ায় মুসলমানদের দ্বারা মুসলমানরা নির্যাতিত-খুন হলে ততটা হই কি????

এই প্রশ্নের জবাব বুকে হাত দিয়ে দিতে পারলেই মানবতার জয় হবে। ধর্ম নিয়ে ধর্মান্ধতা, ধর্মের নামে অধর্ম নির্বাসিত হবে।

খুব খুব ভাল থাকবেন বন্ধুরা.....

লেখকঃ ড. আকতার বানু, সহযোগী অধ্যাপক, আই. ই.আর., রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।

(আমার এই লেখাটি আমি আমার মরহুম মামাকে উৎসর্গ করছি। মামা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার পদে থাকাকালীন স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছিলেন। ওনার নাম ছিল মোঃ সানোয়ার হোসেন প্রধান। বয়স ছিল ৫৪ বছর। হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। আমি ওনার জন্য দোয়া চাচ্ছি।)

(রিপোস্ট)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
২৭টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×