somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ইসলামে" মুতা বিয়ে!! ছি ছি ছি ছি (আস্তাগ....)

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মন দিয়ে পড়ুন
-----
"ইসলামে" মুতা বিয়ে!!
ছি ছি ছি ছি (আস্তাগ....)
এর সাথে প্রাসঙ্গিক অনেক কথাই চলে আসে।।
যেমন কোন দেশে হালাল পতিতালয় চালু করেছে যেখানে খদ্দেরকে পতিতার সাথে মুতাবিয়ে দিয়ে পতিতাবৃত্তি হালাল করা হয়।।
★★ইরানে তো সরকারী নিয়মেই মুতা বিয়ে চালু আছে।।
মহানবী (সা) এর আমলে যুদ্ধবন্দি নারীদেরকে মুতা বিয়ে করে হালাল (!) ধর্ষন করা হোত।।
বিষয়টা সত্যই অমানবিক।।
যুদ্ধবন্দী মহিলার স্বামীকে যে লোকটি দুপুরে হত্যা করল,,
সেই লোকটিই মুতা বিয়ে করে রাত্রে ওই মহিলার সাথে রঙ্গলীলায় মত্ত।। যদিও এত যোদ্ধা ও এত যুদ্ধবন্দী নারীর ভেতরে বেছে বেছে স্বামীর হত্যাকারীটিই কিভাবে ওই মহিলার শয্যাসঙ্গী হোত সেটা তারা বলেননা। সবকিছু মিলিয়ে, উনাদের মুল কথা হল – মুতা বিয়ে হল, নারীকে ভোগের বস্তু বানানোর আর পুরুষের মজ মাস্তি করার মাধ্যম। এই ব্যাবস্থা যেই ধর্মে আছে, সেই ধর্মে নারীর সন্মানের কথা বলেনা।।
----
হ্যা, উনাদের (তিনাদের) এই কথার সাথে আমি সম্পুর্ন একমত।।
এমন ব্যাবস্থা আসলেই নারীকে ভোগের বস্তু বানায়। এমন ব্যাবস্থা যে ধর্মে আছে সেই ধর্ম নারীর সন্মান দেয় না। তবে আমার আমার মতবিরোধ ছোট একটি যায়গায়। সেটা হল – এমন ধর্ম ইসলাম নয়।কথাটি হল, “মুতাহ নিকাহ” যার অর্থ “প্রমোদ বিয়ে”। খাস বাংলায়, মৌজ মাস্তি করার জন্য বিয়ে । কথাটি সত্য, অস্থায়ী বিয়ে মাস্তি করা ছাড়া আরকি? তবে, এই কথাটা জেনে রাখুন – এই মুতাহ বিয়েরআবিস্কারক ইসলাম নয়। ইসলাম আসার অনেক আগে থেকেই আরবে এই মুতাহ বিয়ে প্রচলিত ছিল। হ্যা, আরবের যেই সমাজে মেয়ে শিশুকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হোত, সেই সমাজেরই পদ্ধতি এই মুতা বিয়ে। এই মুতা বিয়ের জন্য ইসলামকে দায়ী করা যাবে তখনযখন কোরআন বা হাদিসে কোথাও এর সমর্থনে কিছু লেখা থাকবে।ইসলামে মুতা বিয়ে হারাম, নিষিদ্ধ। ধর্মকারীর মতন ধর্ম বিদ্বেষী ওয়েব সাইট নয়, নিরপেক্ষ তথ্যভিত্তিক যে কোন ওয়েব সাইট দেখুন। যে কোন বিশ্বকোষ
(Encyclopedia)
দেখুন।
মুসলমানদের নয়, ইহুদী খিস্টানদের লেখা নিরপেক্ষ ওয়েব সাইটদেখুন। কোথাও এই কথা লেখা নেই যে মুতা বিয়ে ইসলামে হালাল। এটা অস্বীকার করছি না যে এই মুতা বিয়ে এখনো অনেক মুসলমান সমাজে প্রচলিত আছে। কিন্তু এজন্য তারা ইসলাম দায়ী নয়। যেমন, ইসলাম ধর্মে - কবর, মাজার পুজা হারাম, সুদ হারাম, বিবাহ বহির্ভুত সেক্স হারাম, মদ হারাম। এর পরেও তো মুসলমানেরা সমানে এসব করছে। এজন্য সেই লোকগুলো দায়ী, ইসলাম নয়। ঠিক তেমনি, মুতা বিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ হবার পরেও অনেক মুসলমান এটাকে পালন করছে। এজন্য ইসলামকে দায়ী না করে ওই লোকগুলোকে দায়ী করতে হবে।মুতা বিয়ের পক্ষে একটী হাদিস তারা উপস্থাপন করেনআমরা চুক্তি করে (মুতা) বিয়ে করতাম কয়েক মুঠো আটার বিনিময়ে। ঐ সময় আল্লাহর রসুল আমাদের মাঝে জীবিত ছিলেন। এই ব্যবস্থা চলতে থাকে আবু বকরের সময় পর্যন্ত। কিন্তু হারিসের ঘটনা শোনার পর উমর এই ধরণের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।লক্ষ্য করুন, এখানে কিন্তু বলা নেই যে রাসুল (সাঃ) মুতা বিয়ে করতে বলেছেন। বলা আছে যে তিনি বেচে থাকাকালীন সময় লোকেরা মুতা বিয়ে করত। লোকেরা আবু বকরের সময় পর্যন্ত মুতা বিয়ে করত। উমর এই ব্যাবস্থা নিষিদ্ধ করেন। তাছাড়া তখন মানুষ বিয়ের মোহরানা ছোট ধার্য্য করত।। যেমন একটি টুপী, যায়নামাজ, গম ইত্যাদি।।
----
এখানে
★★তিনটি প্রশ্ন থেকে যায়।।
ইসলামে যদি মুতা বিয়ে নিষিদ্ধই হবে তাহলে- মুতা বিয়ে চোখের সামনে হওয়াতেও রাসুল (সাঃ) চুপ ছিলেন কেন?-
আবু বকরের আমল পর্যন্ত এই মুতা বিয়ে কিভাব চলেছে?-
ইসলামে কোন কিছু নিষিদ্ধ করার উমর কে? (সে তো নবী নয়)
------
বিষয়টিকে আমরা মদ খাওয়ার সাথে তুলনা করতে পারি।।
ইসলামে প্রথম যুগে মদ হারাম করা হয়নি। প্রচুর সাহাবী পাওয়া যাবে যারা এক সময় নিয়মিত মদ খেতেন। হয়ত রাসুল (সা) এর সামনে বসেই খেয়েছেন।।
কোন সাহাবী যদি এমন বর্ননা করতেন “আমি অমুক দিনে রাসুল (সাঃ) এর সামনে বসে মদ খেয়েছি” তখন তো সেটা একটা হাদিস হয়ে যেত। সেই কথাতে কি মদ হালাল হয়ে যেত? না হোত না।।
কারন পরবর্তীতে মদকে স্পস্ট ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।হাজার বছরের প্রচলিত মদকে রাসুল (সাঃ) প্রথম দিনেই যেমন বন্ধ করে দিতে পারেননি তেমনি হাজার বছরের মুতা বিয়েও প্রথম দিনেই বন্ধ করতে পারেননি। প্রথম দিকে রাসুল (সাঃ) মুতা বিয়েকে সম্মতি দিলেও পরবর্তীতে নিষেধ করেছেন। কাজেই মুতা বিয়ের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যাবে। ঠিক তেমনি পরবর্তীতে নিষেধ করার হাদিসও পাওয়া যাবে।রাসুল (সা) মুতা বিয়ে নিষেধ করার পরে সেটা ওই আমলে ফেসবুক বা টুইটারে ছড়িয়ে দেওয়া যায়নি।।
কোন টিভি চ্যানেলেও দেখানো যায়নি।।
অনেক সাহাবী তখন নিষেধের ব্যাপারটি জানতই না।।
রাসুল (সাঃ) এর প্রত্যেকটি কথা একজন সাহাবীর পক্ষে
জানা সম্ভবও নয়।।
অনেকেই আবু বকরের আমল পর্যন্ত মুতা বিয়ের প্রাচীন পদ্ধতিকে হালাল মনে করে চালিয়ে গেছে। শুধু আবু বকর এর আমল কেন, এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। উমর খালিফা হবার পরে যখন মুতা বিয়ের ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) এর নিষেধের ব্যাপারে নিশ্চিত হলেন তখন তিনি এটা বন্ধ করার ঘোষনা দিলেন। উমর ইসলামে চালু কোন জিনিস বন্ধ করেননি। মুতা বিয়ে ইসলামে নিষেধ, তাই এটা বন্ধ করেছিলেন।এতক্ষন তো অনেকবার বললাম যে, ইসলামে মুতা বিয়ে নিষেধ আছে। কোথায় নিষেধ আছে? হাদিসে প্রায় ২০-২৫ বার অস্থায়ী বিয়ে নিষেধের কথা এসেছে। এককথা বার বার এসেছে। এর কয়েকটি নিচে দেওয়া হল।১। আলী আবু তালিব থেকে বর্নীত – খাইবরের যুদ্ধের দিন আল্লাহর রাসুল মুতা বিয়ে ও গাধার মাংশ খাওয়া নিষেধ করেন Bukhari, Volume 5, Book 59, Number 527
:২। আলী আবু তালিব বলেছেন – খাইবর এর দিন আল্লাহর রাসুল অস্থায়ী বিয়ে ও গৃহ পালিত গাধার মাংশ খাওয়া হারাম করেন। Muslim, Book 21, Number 4763:৩। সাবুরা ইবনে মাবাদ থেকে বর্নীত – আল্লাহর রাসুল মহিলাদের সাথে অস্থায়ী বিয়ে হারাম করেন। Abu Dawood, Book 11, Number 2068:৪। সাবরা আল জাহানী বর্ননা করেন – আল্লাহর রাসুল বলেছেন – হে মানব সম্প্রদায়, আমি অস্থায়ী বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহ সেটা (এখন) কেয়ামত পর্যন্ত নিষেধ করেছেন। অতএব যাদের কাছে এখন এমন অস্থায়ী স্ত্রী আছে তারা তাদেরকে মুক্ত কর, এবং তাদেরকে যে মোহরানা দিয়েছ সেটা ফেরত নিও না। Muslim, Book 008, Number 3255:৫। আবদুল আল মালিক বর্ননা করেছেন – আল্লাহর রাসুল রাসুল অস্থায়ী বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলেন কিন্তু মক্কা বিজয়ের দিন সেটা নিষেধ করে দেন। Muslim, Book 008, Number 3257:৬। রাবী সাবরা বর্ননা করেছেন – আল্লাহর রাসুল চুক্তি (অস্থায়ী) করে বিয়ে করা বাতিল করেছিলেন। Muslim, Book 008, Number 3259:৭। রাবী সাবরা বর্ননা করেছেন – আল্লাহর রাসুল মক্কা বিজয়ের দিন অস্থায়ী বিয়ে নিষেধ করেন। Muslim, Book 008, Number 3260:৮। সাবরা আল জাহানী বর্ননা করেছেন – আল্লাহর রাসুল চুক্তি করে অস্থায়ী বিয়ে বাতিল করেছিলেন এবং বলেছিলেন – শোন, আজ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত তোমাদের জন্য অস্থায়ী বিয়ে বাতিল হল, যারা মোহরানা দিয়েছ তা ফেরত নিও না। Muslim, Book 008, Number 3262:এতবার নিষেধ করার পরে মুতা বিয়ে ইসলামে হালাল থাকে না।।
মুতা বিয়ে স্পস্ট হারাম।।
যারা মুতা বিয়ে করে তারা তাদের মতন করে।। এটা তাদের পদ্ধতি।।
।।ইসলামে এটা নিষিদ্ধ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×