somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আলুমিয়া
বাংলা লিখতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে। আবার দেশের বিভিন্ন খবর পড়ে উতলা লাগে মাঝে মাঝে। করোটির ভিতর কথাগুলা ঘুরাফিরা করে। লেখক না তাই সুন্দর করে লিখতে পারি না। জানি। তাই আমি আলুমিয়া। এইটা আমার ব্লগ। আলুমিয়ার বাংলা ব্লগ।

মনে মনান্তর-৭ (ইলিয়াস সমাচার)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিদিন সময়ের অনেকটা যায় দৈনিক পত্রিকাগুলো পড়ে। প্রতিদিনই বেশ কয়েকটা খুনের খবর পড়তে হয়। রাহাজানি, ছিনতাই, কালো বেড়াল, ইত্যাদীতো পড়েই আছে। এসব দেখে মন খারাপ হয়। খারাপ লাগে দেশের মানুষগুলো এত কষ্টে আছে। কিন্তু কেন যেন ইলিয়াস আলী কথাটা শুনে মন খারাপ হয়নি। বরং ইলিয়াস আলীকে নিয়ে ব্লগারদের লেখাগুলো দেখে মনে হয়েছে -এরা এত সহজে ভুলে যায় কি করে।

প্রথম যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকি - ইলিয়াস আলি আর অভির কি দাপট। বন্ধুক যুদ্ধ এদের কাছে তখন ছেলেখেলার মত। একদিন মনে আছে - এরা মনের সুখে গোলাগুলি করছে আর আমরা লেকচার থিয়েটারের বারান্দায় উপুর হয়ে শুয়ে আছি। কোথাও যেতে পারছি না আর টিয়ার গ্যাসের ঝাঝে জান যায় যায়। রাত নয়টা কি দশটার দিকে আই বি এ ভবন টপকিয়ে কোনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হই। পরের দিন পেপারে দেখলাম একজন ছাত্র নিহত। এটা প্রায়ই হত। আমার এতকিছু ভাল করে মনে নেই -তবু মনে হয় ইলিয়াস সাহেবকে এর কিছুদিন পর ইউনিভারসিটি থেকে বের করে দেয়া হয়। তবুও পরবর্তিতে ইনিই হন ছাত্রদলে নেতা।

আমি হয়ত ভুল হতে পারি। গ্রামে গন্জে থেকে ঢাকার রাজনীতি বোঝা বড় দায়। বিরোধিদল বলছেন - সরকার ইলিয়াস আলিকে গুম করেছেন। লোকে দেখেছে। তাদের মত অনুযায়ী তারা কালো বিড়ালের ঘটনা ধামাচাপা দিতে চান। কিন্তু আওয়ামি রাজনীতিত সেটা বলে না। তারা ইচ্ছা করলেই জামাতের নেতাদের গুম করে ফেলতে পারত। বংগবন্ধুর হত্যাকারীদের গুম করে ফেলতে পারত। সেটা তারা করেনি। গ্রেনেড হামলা, কিবরিয়ার হত্যাকারী বলে কাউকে ধরে গুম করে ফেলতে পারত। তারা সেটা করেনি। তাহলে ইলিয়াস আলি কেন-আর এত মানুষ থাকতে। আচ্ছা ব্যাপারটাত জামায়াতও করতে পারে। এখন আওয়ামী লীগ আর বিএনপি মধ্যে গোলযোগ লেগে দেশে অস্হিরতা সৃষ্টি হলে জামাতের চেয়ে বেশি আর কে খুশি হবে। তবু তর্কের খাতিরে ভাবলাম জামায়াত করেনি(!)। এত বড় একজন নেতা(!)। উনার যেমন প্রচুর বন্ধু তেমন শত্রুর ও ত অভাব হওয়ার কথা না। আবার উনি ব্যাবসায়ি(!)। এই কিছুদিন হল এক বিশাল বাড়ি করেছেন। উনার ব্যাবসায়ের শত্রুওত থাকতে পারে। তাই আরেকটু খোজ খবর করে তারপর হরতাল দিলে হত না?

বিরোধিদল হরতাল দিয়েছেন। সারাদেশ তাদের কথায় হরতাল পালন করবে। একজন মানুষের জন্য হাজার হাজার লোকের দৈনিক রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। হাজার হাজার বাচ্চারা না খেয়ে থাকবে। এটা কোন ব্যাপার না। হরতাল হলেত শুধু সরকার আর সরকারী দলের ক্ষতি। কারন বিরোধীদলতো দেশের খারাপ করতে পারেন না। একজন নেতার জন্য এটা কোন ত্যাগই না। হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে থাকলেও একজন ইলিয়াস ফিরে আসলে দেশের অনেক ভাল হবে। ইলিয়াসের মায়ের কান্না হয়ত থামবে।

ইলিয়াছ সাহেবের মায়ের কান্নার কথা পেপার ছাপা হয়েছে। আমি জানি - মা, আপনি অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। আমি জানি - মায়েদের কত কষ্ট হয়। আমি আমার নিজের মাকে দেখেছি - বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরতে দেরি হলে - না খেয়ে বসে থাকতেন। আমি বাবা। আমার ছেলের একটু অসুখ করলেই নিজের কিছুই ঠিক থাকে না। কিন্তু মা - আপনিকি কখনো আপনার ছেলেকে বকেছেন - ওর জন্য আর কত মায়ের ছেলে মারা গেছে। আপনি হয়ত বকেছেন। আমরা জানি না। আল্লাহ আপনাকে শক্তি দিন সহ্য করার যেমন দিয়েছেন আরও অনেক মাকে- যাদের বুক আরও অনেক আগেই খালি হয়ে আছে আপনার ছেলের জন্য।

আমি আশাবাদি। আমি চাই ইলিয়াস আলি ফিরে আসুক। সুস্হ স্বাভাবিক ভাবে ফিরে আসুক। (না, উনার স্ত্রীর মত বলব না - লাস হলেও ফিরিয়ে দিন)। আমি চাই উনি ভাল থাকুন।

আমার কিন্তু সপ্ন দেখতে আজও ভাল লাগে...........
হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে.....
দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরে।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪৯
৩০টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×