somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি পড়ছি, কি দেখছি, কি শুনছি আর কি ভাবছি

০৮ ই মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি পড়ছি: এবারে বই মেলায় যাই শেষ দিন । ভাবতেই পারি না বই মেলা হচ্ছে আর আমি যাইনি। এক সময় তো বই মেলাতেই পড়ে থাকতাম। বই কেনা আমার নেশা। এই প্রথম মনে হয় বই মেলা থেকে জাফর ইকবালের কোনো বই কেনা হল না। এই আফসুসটা থেকে গেল। বই কেনা হল। আর উপহার পেলাম নজরুলের লেখা বইটি। নজরুল আর ওর বউ নুপুর দুজনে মিলে বইটা দিল। সৈয়দ দেলগীর নজরুলের প্রকৃত নাম। নাটক লেখে ও বানায় নজরুল ইসলাম নামে। লেখকের কাছ থেকে বই পেলে মনটা অনেক ভরে যায়।
আমি এক সাথে কয়েকটি বই পড়া শুরু করি। মুডের উপর নির্ভর করছে কোনটা কখন পড়বো। নজরুলের বই অন্তস্থ: পৃথিবী, নির্মলেন্দু গুণের আত্মকথা ১৯৭১ আর পড়ছি ক্রাচের কর্ণেল। এর মধ্যে ক্রাচের কর্ণেলটাই এগিয়েছে অনেকদূর। শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস। কর্ণেল তাহের এর মূল চরিত্র। এই ধরণের লেখা আমাকে বেশি টানে। প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যাই পড়েছিলাম, তবে সেটি পূর্ণাঙ্গ ছিল না। মুগ্ধ হয়ে পড়ছি। তবে উপন্যাসের মধ্যে লেখক যখন পুরোনো ইতিহাসটা লেখেন তার স্টাইলটা পছন্দ হলো না। মনে হচ্ছে ছোটদের ইতিহাস টাইপ লেখা।

কি দেখছি: মুভিও আমি দেখি একই ভাবে। এক সাথে একাধিক দেখা শুরু করি। মুড অনুযায়ী দেখি। তবে বেশি ভাল লাগলে টানা দেখে ফেলি। যেমন টানা দেখেছি দি রিডার, দি বয় ইন দ্য স্ট্রাইপড পাজামাস। এখন দেখছি ব্রাড পিটের কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন। অনেকখানি দেখেছি। সত্যি কথা বলতে আমার খুব একটা ভাল লাগছে না। এই ধরনের গল্প আমাকে টানে না। একজনের উল্টো দিকের যাত্রার ছবি। জস্ম হয় বৃদ্ধ হিসাবে। তারপর বয়স উল্টো দিকে যেতে থাকে বেঞ্জামিনের।
দেখে শেষ করেছি Nights in Roadanthe. রিচার্ড গেরে আর ডায়ানা লেনের ছবি। কাছাকাছি সময়ে দুজন আমাকে ছবিটার কথা বললো। একজন নুশেরা আপা, আরেকজনের নাম নাইবা বললাম। প্রেমের ছবি। পরিণত বয়সের দুজনের একাকীত্ব আর প্রেম- এই ছবির বিষয়। অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আছে ছবিটার মধ্যে। আমার দেখে ভাল লাগছে।যদিও সমালোচকরা একদমই পছন্দ করে নাই। সমুদ্র আর বাংলোটা দেখে খুবই লোভ লাগলো।

রোমান পোলনস্কি আমার পছন্দের পরিচালক। দেখলাম রোজমেরিজ বেবি। অতিপ্রাকৃত ঘটনার ছবি আমার পছন্দের না। তাও দেখলাম পরিচালকের কারণে। অসাধারণ এক পরিচালক। এ জাতীয় ঘটনা বিশ্বাস করি আর নাই করি-পরিচালনার গুণ আর অভিনয়ের কারণে এই ছবিকে কোনো ভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। যারা মুভি পছন্দ করেন তাদের এই ছবি দেখা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। মাথা থেকে এই ছবি সহজে মুছবার নয়। শুনলাম এইটার নাকি রিমেক হচ্ছে।

বাংলা দেখলাম কালপুরুষ। মিঠুন আর রাহুল বোস। ছবিটা সবাইকে ভাবাবে। এটার কাহিনী বা এর ব্যাখ্যা দেওয়া সহজ না। একদমই ভিন্ন স্বাদের এক ছবি। ছবিটা ভাবাবে। আর মুগ্ধ সব শেষের গানটা।

নাক কামড়াই
কান কামাড়াই
কামড়ে দিলাম মন
তুমি আমার আঙ্গুরলতা
আমার ত্রিভুবন
কানের মধ্যে বেজেই চলছে গানটা……….
আর দেখলাম ওয়ান্স। এক বছর আগের ছবি। সমালোচকদের অত্যন্ত পছন্দের ছবি। গানের ছবি। প্রেমেরও ছবি। যে ধরণের রূপকথা টাইপ প্রেমের ছবি দেখে আমরা অভ্যস্থ, সেরকম না। দুই উঠতি শিল্পীর গান গাওয়া আর সম্পর্কের ছবি।
কেন জানি আজকাল মন খারাপ করার ছবি বেশি দেখা হচ্ছে।

কি শুনছি: সবাই যখন জয় হো তে মগ্ন, আমি তখন শুনছি একবছর আগের এক গান। ওয়ান্সের একটা গান। Falling Slowly । যতবার শুনি ততবারই মনে হয় আরেকবার হয়ে যাক। গতবার সেরা গানের অস্কার পেয়েছিল এটি।

I don’t know you
But I want you
All the more for that
Words fall through me
And always fool me
And I can’t react
And games that never amount
To more than they’re meant
Will play themselves out

Take this sinking boat and point it home
We’ve still got time
Raise your hopeful voice you have a choice
You’ll make it now

Falling slowly, eyes that know me
And I can’t go back
Moods that take me and erase me
And I’m painted black
You have suffered enough
And warred with yourself
It’s time that you won

Take this sinking boat and point it home
We’ve still got time
Raise your hopeful voice you had a choice
You’ve made it now
Falling slowly sing your melody
I’ll sing along

Glen Hansard I Marketa Irglová এর শিল্পী। ছবিটাতেও দুজন ছিলো।
গানটা পাওয়া যাবে এখানে………..
Click This Link

আর শুনছি মনপুরার গান। অল্প বয়সে পিরিতি করিয়া হইলো জীবনের শেষ…….জ্বীনা, কৃঞ্চকলি আর চন্দনার গলায় না। আমার ছেলে আমাকে প্রতিদিন শুনায় এইটা। আগামি ২০ এপ্রিল ওর তিন বছর হবে। ও দুইটা গান জানে। এইটা আর খায়রুন লো…….
শুনাতে বললে দিনের বেলায় শুনায় খায়রুন লো…..। আর ঘুমানোর আগে মনপুরা। একদম রুটিন করা।


কি ভাবছি: তার কথা ;)
৩১টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×