![]()
"বেঁচে থাকা - অহেতুক পরিহাস"
বড় অহেতুক হয়ে ওঠে বেঁচে থাকা
কপর্দকহীন আমি কোন এক রাস্তায় একা;
নির্বাক দর্শক দেখি সামাজিক কলুষতা
ঢাউস রঙা গাড়িতে বসে দারিদ্রের দশা।
ছেঁড়া শাড়ি অভুক্ত উদর সে মায়ের
নগ্ন পায়ে শোভিত ধূলোবালি ঢের;
তবু কোলে জুড়ে রয় নাড়ি ছেঁড়া ধন
অনিঃশেষ ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় মন।
বাবু দেবে কি দুটো টাকা
অভুক্ত গেল দুদিন আমার মেয়েটা,
করুন আকুতি ঠিকরে বেরিয়ে আসা কষ্ট
ঘৃণা আর সংকীর্ণমনায় হয় পিষ্ঠ।
তবু কাঁচের জানালায় বেঁচে থাকার ব্যর্থ প্রয়াস;
ফিরে আসে নিঃশব্দ হাহাকার হয়ে
ফুসফুস নিঙরে বেরিয়া আসা দীর্ঘশ্বাস যায় রয়ে।
যারা শহরের ঐ অট্টালিকা জুড়ে
ইট পাথরের মজবুত ইমারতের ভীড়ে
মনুষত্বের জলাঞ্জলি দেয় হাই সোসাইটির নামে;
ওরা ভূষিত হয় সমাজপতি
দেশপ্রেম আর মানবপ্রেমের কান্ডারী।
শহরের কোণঘেঁষা ঐ গিঞ্জি বস্তির কুঁড়ে ঘরে
অশ্রুজমা মায়ের চোখ অভিমানে রক্তজমাট
নিত্যকার কষ্টগুলো বাড়ছে হাওয়া দমকা বাতাস
আর আমি সেই ঘরঘেঁষা রাস্তায় একা
নির্বাক দর্শক হয়ে দেখি সামাজিক কলুষতা;
ওই মায়ের কান্না তবু রয়ে যায় অদেখা
বড় অহেতুক আজ তাই বেঁচে থাকা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




