যানজট নিরোসনে বিভিন্ন দেশে আকাশরেল পাতালরেল ইত্যাদি বিভিন্ন রেলওয়ে চালু আছে। আমদের সরকার বিভিন্ন সময়ে আমাদেরকেও এসব সপ্ন দেখিয়েছে। কজনতো আরও এককাঠি এগিয়ে ম্যাগনেটিক রেলের কথাও বলেছে।
সাধারনত যে সব শহরে অনেক লোকের বাস সে সব এলাকায় সহজে চলাচলের জন্য রেলওয়ের প্রয়োজন। থাইল্যন্ডে স্কাইরেল নামক একটি রেলওয়ে আছে যা রাস্তার উপরদিয়ে ফ্লাইওভারের আদলে করা হয়েছে রাস্তার আইল্যান্ডের উপর একটি করে পিলার দিয়ে যা খুব কম জায়গা নস্ট করেছে। মালয়েশিয়াতে প্রায় একই জিনিস রয়েছে মনোরেল নামে। সাথে করে পাতালরেলতো আছেই। সম্প্রতি ভারতর দিল্লীতেও স্কাইরেল ও পাতালরেলের সমন্নীত একটি রেলওয়ে হয়েছে যা মেট্রো রেল নামে পরিচিত। নাম বা টেকনোলোজি যাই হোক, উদ্দেশ্য সবার একই। কম সময়ে যানজট এড়িয়ে যাত্রীদেরকে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া
উপমহাদেশে পাতালরেল প্রথম চালু হয় কোলকাতাতে। প্রথমবার কোলকাতা যেয়ে খুবই অবাক হয়েছিলাম মাটির নিচে বিশাল আয়োজন দেখে। যারা কখনো পাতালরেল দেখেনি তাদের জন্য এটি আসলেই চমকপ্রদ। তারচেয়েও অবাক হয়েছিলাম মুম্বই যেয়ে। মুম্বাইকে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল ও ব্যায়বহুল শহর ভাবা হয়। সেই মুম্বাইতে মেট্রোরেল নামক একটি বস্তু আছে যা পাতালরেল নয় আকাশরেলও নয়। সেটি হচ্ছে নিছক একটি সাধারন রেলওয়ে। আমাদের দেশের মতই মাটির সাথে লাগানো রেললাইনের উপর দিয়ে সধারন রেল চলছে যা শহরের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পৌছে দিচ্ছে। খুবই সাধারন বগি, ভিতরে কাঠের শক্ত সিট ও রডের হ্যন্ডেল। আমদের সৈয়দপুরেও মনে হয় এর চেয়ে ভালো বগি বানানো সম্ভব। তবে ৫ মিনিট পরপরই ট্রেন আসছে ও যাত্রীরা গাদাগাদি করে উঠে কম সময়ে যে যার গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম সরকার ১১০০ কোটি টাকা খরচ করে রেলওয়েকে আধুনিক করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মধ্যে আছে নতুন বগি কেনা, সিগলান উন্নত করা, ইত্যাদি।
এতসব উন্নয়ন না করে সরকার যদি চায় একটি মেট্রো রেলওয়ে চালু করতে উল্লেখিত বাজেটের ১০ ভাগের এক ভাগ খরচ করলেই তা সম্ভব।
কিভাবে?
ঢাকার মতিঝিল এলাকায় যারা বিভিন্ন কাজে আসে বেশিরভাগই আসে শহরের আশপাশ থেকে । যা নিম্নরুপ
মোঃপুর, ধানমন্ডি,
ফার্মগেট, মিরপুর, সাভার
বনানী, খিলক্ষেত, উত্তরা, গাজিপুর
নারায়নগন্জ
এক্ষেত্রে গাজিপুর ও নারায়ংন্জ পর্যন্ত রেললাইন অলরেডি রয়েছে। উক্ত রেললাইনগুলোতে যদি আধা ঘন্টা পরপর ট্রেন চালু করে দেয়া হয় তা হলে অনায়াশে সম্ভব শহরে যানজট কমিয়ে ফেলা। সেটি হলে এখন যারা নারায়নগন্জ, টংগি থেকে ৩ ঘন্টায় মতিঝিল আসে তারা ৪০ মিনিটে মতিঝিল আসতে পারবে।
অনেকে হয়ত বলতে পারেন এতে করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেলগেটগুলোতে যানজট বৃদ্ধি পাবে। তার ও সমাধান আছে। রেল রাইনের দু পাশের রাস্তা উচু করে মাঝে কালভার্ট টাইপ একটি সেতু করে রাস্তাটি রেল লাইনের উপর দিয়ে নিয়ে গেলেই হলো। সম্পুর্ন দেশিয় প্রযুক্তিতে সেটি সম্ভব। ঢাকা - ময়মনসিংহ রোডে গাজিপুরে, ঢাকা-সিলেট রোডে নরসিন্দিতে, ঢাকা - চিটাগাং রোডে শনির আখরাতে এ রকম ব্রীজ রয়েছে, সম্প্রতি রেংগস ভবন ভেংগে যে রাস্তা হচ্ছে সেখানেও এই ভাবে রেল লাইনের উপর দিয়ে রাস্তা নিয়ে যাইয়া হয়েছে।
মিরপুর বা সাভার -এর জন্য ঢাকার ক্যন্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মিরপুর ১০ ও মিরপুর ১ হয়ে সাভার পর্যন্ত একটি রেল লাইন বানলেই মিরপুর ও সাভারের লোকজনও রেললেইন ব্যবহার করতে পারবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




