একজন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তিনি আমার প্রিয় পরিচালক। তার প্রমাণ স্পষ্ট। তার উনিশ সিনেমার মধ্যে মাত্র ৪টি সিনেমা আমার দেখা হয়নি। বাকি সবগুলো দেখা। বলা যায়, প্রতিটি সিনেমা দেখে কেবল মুগ্ধ হয়েছি।
আজ তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব আফসোস হল। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন। একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে একেবারে বাচ্চা বয়স। তার কাছ থেকে আরো অনেক অনেক ভালো ভালো চলচ্চিত্র আমরা পেতাম। মেধাবী মানুষরা অকালে চলে গেলে খুবই আফসোস লাগে।
ভারতের খ্যাতিমান বাঙালি চলচ্চিত্রনির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ কলকাতায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০১৩ তারিখে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ ভুগছিলেন প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে।
জীবদ্দশায় ঋতুপর্ণ ১৯টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং ১২টি জাতীয় পুরস্কার পান। ১৯৯২ সালে ‘হীরের আংটি’ ছবিটি নির্মাণের মাধ্যমে তাঁর যাত্রা শুরু। তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘দহন’, ‘উত্সব’, ‘চোখের বালি’, ‘আবহমান’।
ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্ম ১৯৬৩ সালের ৩১ আগস্ট, কলকাতায়৷ কলকাতাতেই বেড়ে ওঠা আর পড়াশোনা। মাত্র ৪৯ বছর বয়সেই চলে গেলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে ‘উনিশে এপ্রিল’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান ঋতুপর্ণ ঘোষ।
ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমাগুলি :
তিনি মোট ১৯টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
০১) হিরের আংটি ( ১৯৯২)
০২) উনিশে এপ্রিল (১৯৯৪)
০৩) দহন (১৯৯৭)
০৪) বাড়িওয়ালি (১৯৯৯)
০৫) অসুখ ( ১৯৯৯)
০৬) উৎসব ( ২০০০)
০৭) তিতলি (২০০২)
০৮) শুভ মহরত (২০০৩)
০৯) চোখের বালি (২০০৩)
১০) রেনকোট (২০০৪)
১১) অন্তর মহল (২০০৫)
১২) দোসর (২০০৬)
১৩) সানগ্লাস (২০০৭)
১৪) দ্য লাস্ট লিয়ার (২০০৭)
১৫) সাহেব বিবি অউর গোলাম (২০০৭)
১৬) খেলা (২০০৭)
১৭) আবহমান (২০১০)
১৮) নৌকাডুবি (২০১১)
১৯) চিত্রাঙ্গদা (২০১২)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




